ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তিতুদহের কলাগাছিতে স্কুল ম্যানিজিং কমিটি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষের জের থামেনি ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ! পুলিশ প্রশাসনের হাস্তক্ষেপ কামনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৪৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩০১ বার পড়া হয়েছে

wf

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহের কলাগাছিতে প্রাইমারি স্কুল ম্যানিজিং কমিটি নির্বাচন নিয়ে  চলছে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। দিনে প্রায় এক ঘন্টা দেড় ঘন্টা পর পর চলছে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। যেকোনো মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকালে কলাগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ম্যানিজিং কমিটি সদস্যদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানেই এক পর্যায়ে প্রার্থী কলাগাছী গ্রামের সুবোল ঘোষের পুত্র সুভাস ঘোষ এবং একই গ্রামের বুলুর পুত্র মনোজের সাথে বাকবির্তক শুরু হয় এরই এক পর্যায়ে হরেন ঘোষ ও সুবাস ঘোষ মারামারি করা অবস্থায় সুবাস ঘোষের স্ত্রী শ্রীমতি মিনতি ঘোষ বাঁধা দিতে গেলে মিনতি ঘোষের মাথায় রড দ্বারা আঘাত করে অধীর ঘোষ। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর কিছু সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও শুরু হয় আবারও কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে দুজনই ধারালো দা দিয়ে উভয়পক্ষই গায়ে কোপ দেয়। শুরু হয় বড় ধরনের মারামরি। এলাকাবাসী সমীকরণকে জানান, প্রথম পর্যায়ের মারামারির পর শ্রী অধীর ঘোষ গোবিন্দর বাড়ির পাশে খেজুরগাছ কাটতে এলে দুই পক্ষের ভিতরেই আবারো মারামারির উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে অধীর গাছ কাটা ছেড়ে দৌড়ে এসে দা দিয়ে গোবিন্দর মাথায় কোপ দেয়। শুরু হয় আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষ। হাতাহাতির এক পর্যায়ে দুই পক্ষ থেকেই আহত হয় ৫ জন। এরা হলেন- নিতাই ঘোষের ছেলে গোবিন্দ ঘোষ, গোবিন্দর স্ত্রী দেবী, গোবীন্দর ছেলে রিপন, নিতার ছেলে মনো, পদো ঘোষের ছেলে অধীর। পরে সুমন ঘোষ, অধীর, হরেন, সুনীল, মনোরঞ্জন, পরকাষ, শ্যামল, কুমারেশ, অমিত, অচিন্তো, আনান্দ, মিলন, সৌরভ ও সুনীল বিরুদ্ধে  গোবীন্দর বাড়ি ভাংচুর করা এবং নগত এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট করার অভিযোগ তুলে ধরে গোবীন্দ ও তার পরিবার। গোবিন্দ ঘোষ ও তার পরিবারের উপর হামলা করা অবস্থায় গোবিন্দ ঘোষ ও তার পরিবারের লোকজন ধাওয়া দিলে অধীর ও তার সাঙ্গপাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দুইটা দা, বাকা রড, পরনের লুঙ্গি ও একটি মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই সাজেদুর রহমান সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয়পক্ষের কাছে গিয়ে দেখা গেছে মোনোজ গুরুতরভাবে আহত হয়েছে বিরোধী দলের সুভাস তার মাথায় দা দিয়ে কোপ দিলে মাথায় ১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। অধীর ষোষ গোবিন্দ ঘোষের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় দুইটা মামলা দায়ের করেছে মনোজ ঘোষ। কিন্তু গোবিন্দ ঘোষ কোনো মামলা করার খবর পাওয়া যায়নি। যেকোনো মূহুর্তেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আগেই জেলা পুলিশ সুপারের সু-নজর কামনা করছে এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তিতুদহের কলাগাছিতে স্কুল ম্যানিজিং কমিটি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষের জের থামেনি ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ! পুলিশ প্রশাসনের হাস্তক্ষেপ কামনা

আপলোড টাইম : ০২:৪৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

wf

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহের কলাগাছিতে প্রাইমারি স্কুল ম্যানিজিং কমিটি নির্বাচন নিয়ে  চলছে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। দিনে প্রায় এক ঘন্টা দেড় ঘন্টা পর পর চলছে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। যেকোনো মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকালে কলাগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ম্যানিজিং কমিটি সদস্যদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানেই এক পর্যায়ে প্রার্থী কলাগাছী গ্রামের সুবোল ঘোষের পুত্র সুভাস ঘোষ এবং একই গ্রামের বুলুর পুত্র মনোজের সাথে বাকবির্তক শুরু হয় এরই এক পর্যায়ে হরেন ঘোষ ও সুবাস ঘোষ মারামারি করা অবস্থায় সুবাস ঘোষের স্ত্রী শ্রীমতি মিনতি ঘোষ বাঁধা দিতে গেলে মিনতি ঘোষের মাথায় রড দ্বারা আঘাত করে অধীর ঘোষ। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর কিছু সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও শুরু হয় আবারও কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে দুজনই ধারালো দা দিয়ে উভয়পক্ষই গায়ে কোপ দেয়। শুরু হয় বড় ধরনের মারামরি। এলাকাবাসী সমীকরণকে জানান, প্রথম পর্যায়ের মারামারির পর শ্রী অধীর ঘোষ গোবিন্দর বাড়ির পাশে খেজুরগাছ কাটতে এলে দুই পক্ষের ভিতরেই আবারো মারামারির উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে অধীর গাছ কাটা ছেড়ে দৌড়ে এসে দা দিয়ে গোবিন্দর মাথায় কোপ দেয়। শুরু হয় আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষ। হাতাহাতির এক পর্যায়ে দুই পক্ষ থেকেই আহত হয় ৫ জন। এরা হলেন- নিতাই ঘোষের ছেলে গোবিন্দ ঘোষ, গোবিন্দর স্ত্রী দেবী, গোবীন্দর ছেলে রিপন, নিতার ছেলে মনো, পদো ঘোষের ছেলে অধীর। পরে সুমন ঘোষ, অধীর, হরেন, সুনীল, মনোরঞ্জন, পরকাষ, শ্যামল, কুমারেশ, অমিত, অচিন্তো, আনান্দ, মিলন, সৌরভ ও সুনীল বিরুদ্ধে  গোবীন্দর বাড়ি ভাংচুর করা এবং নগত এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট করার অভিযোগ তুলে ধরে গোবীন্দ ও তার পরিবার। গোবিন্দ ঘোষ ও তার পরিবারের উপর হামলা করা অবস্থায় গোবিন্দ ঘোষ ও তার পরিবারের লোকজন ধাওয়া দিলে অধীর ও তার সাঙ্গপাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দুইটা দা, বাকা রড, পরনের লুঙ্গি ও একটি মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই সাজেদুর রহমান সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয়পক্ষের কাছে গিয়ে দেখা গেছে মোনোজ গুরুতরভাবে আহত হয়েছে বিরোধী দলের সুভাস তার মাথায় দা দিয়ে কোপ দিলে মাথায় ১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। অধীর ষোষ গোবিন্দ ঘোষের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় দুইটা মামলা দায়ের করেছে মনোজ ঘোষ। কিন্তু গোবিন্দ ঘোষ কোনো মামলা করার খবর পাওয়া যায়নি। যেকোনো মূহুর্তেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আগেই জেলা পুলিশ সুপারের সু-নজর কামনা করছে এলাকাবাসী।