ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তদন্তে সিআইডি, পুলিশ সদস্যদের সাক্ষী আজ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

কালীগঞ্জের সাবেক ওসি ইউনুচের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের
প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ):
কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, হয়রানিসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এবার ৩২ পুলিশ সদস্য সাক্ষী প্রদান করবেন। আগামীকাল বুধবার কালীগঞ্জ থানা চত্বরে সাক্ষীদের বক্তব্য শুনবেন খুলনা পুলিশের আরআরএফের কমান্ডেন্ট মোছা. তাছলিমা খাতুন।
জানা গেছে, এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদমর্যাদার ৩২ পুলিশ সদস্য সাক্ষী প্রদান করবেন। কালীগঞ্জ থানায় মো. ইউনুচ আলী দায়িত্ব পালনকালীন এ সদস্যরাও এখানে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও বিভিন্ন রকমভাবে হয়রানি করা হয়, এ বিষয়ে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন এসআই বলেন, ‘আমি ওসি মো. ইউনুচ আলীর সময়কালে কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালন করতাম। সারা রাত ডিউটি করে আসার পর সকালে যখন বাসায় ফিরব, ঠিক ওই সময় তিনি ফোন দিয়ে একটা স্থানের নাম উল্লেখ করে বলবেন, ওখানে ডাকাতি হয়েছে, তাড়াতাড়ি যান। যেয়ে দেখি, কিছুই ঘটেনি। এমন ঘটনা তিনি প্রায়ই অন্যদের সঙ্গেও করতেন।’ তিনি আরও বলেন, সকালে ওসি মো. ইউনুচ আলী থানায় না যাওয়া পর্যন্ত কেউ থানায় প্রবেশ করতে পারতেন না।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মো. ইউনুচ আলীর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কালীগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, আগামীকাল বুধবার ৩২ জন স্বাক্ষী দেবেন। এঁরা সবাই কালীগঞ্জ থানায় এর আগে কর্মরত ছিলেন। ওই দিন থানায় উপস্থিত থাকবেন খুলনা আরআরএফের কমাডেন্ট মোছা. তাসলিমা খাতুন।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালনকালে ওসি ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে ৪৫টি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এতে প্রায় ৭৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করছে যশোর সিআইডি।কালীগঞ্জের সাবেক ওসি ইউনুচের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের
তদন্তে সিআইডি, পুলিশ সদস্যদের সাক্ষী আজ!
প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ):
কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, হয়রানিসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এবার ৩২ পুলিশ সদস্য সাক্ষী প্রদান করবেন। আগামীকাল বুধবার কালীগঞ্জ থানা চত্বরে সাক্ষীদের বক্তব্য শুনবেন খুলনা পুলিশের আরআরএফের কমান্ডেন্ট মোছা. তাছলিমা খাতুন।
জানা গেছে, এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদমর্যাদার ৩২ পুলিশ সদস্য সাক্ষী প্রদান করবেন। কালীগঞ্জ থানায় মো. ইউনুচ আলী দায়িত্ব পালনকালীন এ সদস্যরাও এখানে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও বিভিন্ন রকমভাবে হয়রানি করা হয়, এ বিষয়ে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন এসআই বলেন, ‘আমি ওসি মো. ইউনুচ আলীর সময়কালে কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালন করতাম। সারা রাত ডিউটি করে আসার পর সকালে যখন বাসায় ফিরব, ঠিক ওই সময় তিনি ফোন দিয়ে একটা স্থানের নাম উল্লেখ করে বলবেন, ওখানে ডাকাতি হয়েছে, তাড়াতাড়ি যান। যেয়ে দেখি, কিছুই ঘটেনি। এমন ঘটনা তিনি প্রায়ই অন্যদের সঙ্গেও করতেন।’ তিনি আরও বলেন, সকালে ওসি মো. ইউনুচ আলী থানায় না যাওয়া পর্যন্ত কেউ থানায় প্রবেশ করতে পারতেন না।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মো. ইউনুচ আলীর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কালীগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, আগামীকাল বুধবার ৩২ জন স্বাক্ষী দেবেন। এঁরা সবাই কালীগঞ্জ থানায় এর আগে কর্মরত ছিলেন। ওই দিন থানায় উপস্থিত থাকবেন খুলনা আরআরএফের কমাডেন্ট মোছা. তাসলিমা খাতুন।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালনকালে ওসি ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে ৪৫টি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এতে প্রায় ৭৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করছে যশোর সিআইডি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তদন্তে সিআইডি, পুলিশ সদস্যদের সাক্ষী আজ!

আপলোড টাইম : ১০:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

কালীগঞ্জের সাবেক ওসি ইউনুচের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের
প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ):
কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, হয়রানিসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এবার ৩২ পুলিশ সদস্য সাক্ষী প্রদান করবেন। আগামীকাল বুধবার কালীগঞ্জ থানা চত্বরে সাক্ষীদের বক্তব্য শুনবেন খুলনা পুলিশের আরআরএফের কমান্ডেন্ট মোছা. তাছলিমা খাতুন।
জানা গেছে, এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদমর্যাদার ৩২ পুলিশ সদস্য সাক্ষী প্রদান করবেন। কালীগঞ্জ থানায় মো. ইউনুচ আলী দায়িত্ব পালনকালীন এ সদস্যরাও এখানে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও বিভিন্ন রকমভাবে হয়রানি করা হয়, এ বিষয়ে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন এসআই বলেন, ‘আমি ওসি মো. ইউনুচ আলীর সময়কালে কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালন করতাম। সারা রাত ডিউটি করে আসার পর সকালে যখন বাসায় ফিরব, ঠিক ওই সময় তিনি ফোন দিয়ে একটা স্থানের নাম উল্লেখ করে বলবেন, ওখানে ডাকাতি হয়েছে, তাড়াতাড়ি যান। যেয়ে দেখি, কিছুই ঘটেনি। এমন ঘটনা তিনি প্রায়ই অন্যদের সঙ্গেও করতেন।’ তিনি আরও বলেন, সকালে ওসি মো. ইউনুচ আলী থানায় না যাওয়া পর্যন্ত কেউ থানায় প্রবেশ করতে পারতেন না।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মো. ইউনুচ আলীর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কালীগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, আগামীকাল বুধবার ৩২ জন স্বাক্ষী দেবেন। এঁরা সবাই কালীগঞ্জ থানায় এর আগে কর্মরত ছিলেন। ওই দিন থানায় উপস্থিত থাকবেন খুলনা আরআরএফের কমাডেন্ট মোছা. তাসলিমা খাতুন।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালনকালে ওসি ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে ৪৫টি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এতে প্রায় ৭৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করছে যশোর সিআইডি।কালীগঞ্জের সাবেক ওসি ইউনুচের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের
তদন্তে সিআইডি, পুলিশ সদস্যদের সাক্ষী আজ!
প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ):
কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, হয়রানিসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এবার ৩২ পুলিশ সদস্য সাক্ষী প্রদান করবেন। আগামীকাল বুধবার কালীগঞ্জ থানা চত্বরে সাক্ষীদের বক্তব্য শুনবেন খুলনা পুলিশের আরআরএফের কমান্ডেন্ট মোছা. তাছলিমা খাতুন।
জানা গেছে, এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদমর্যাদার ৩২ পুলিশ সদস্য সাক্ষী প্রদান করবেন। কালীগঞ্জ থানায় মো. ইউনুচ আলী দায়িত্ব পালনকালীন এ সদস্যরাও এখানে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও বিভিন্ন রকমভাবে হয়রানি করা হয়, এ বিষয়ে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন এসআই বলেন, ‘আমি ওসি মো. ইউনুচ আলীর সময়কালে কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালন করতাম। সারা রাত ডিউটি করে আসার পর সকালে যখন বাসায় ফিরব, ঠিক ওই সময় তিনি ফোন দিয়ে একটা স্থানের নাম উল্লেখ করে বলবেন, ওখানে ডাকাতি হয়েছে, তাড়াতাড়ি যান। যেয়ে দেখি, কিছুই ঘটেনি। এমন ঘটনা তিনি প্রায়ই অন্যদের সঙ্গেও করতেন।’ তিনি আরও বলেন, সকালে ওসি মো. ইউনুচ আলী থানায় না যাওয়া পর্যন্ত কেউ থানায় প্রবেশ করতে পারতেন না।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মো. ইউনুচ আলীর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কালীগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, আগামীকাল বুধবার ৩২ জন স্বাক্ষী দেবেন। এঁরা সবাই কালীগঞ্জ থানায় এর আগে কর্মরত ছিলেন। ওই দিন থানায় উপস্থিত থাকবেন খুলনা আরআরএফের কমাডেন্ট মোছা. তাসলিমা খাতুন।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালনকালে ওসি ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে ৪৫টি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এতে প্রায় ৭৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করছে যশোর সিআইডি।