ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তওবা মুমিন জীবনে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০৫ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
প্রভুর সাজানো এই পৃথিবীর সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পরও যখন বান্দা তাকে ভুলে যায়, তখনো আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য তাঁর দরজা খুলে রাখেন। শয়তান যখন নিরাশার সাগরে বান্দাকে ডুবিয়ে মারতে চায়, তখনো আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী) আপনি বলুন, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের ওপর অবিচার করেছ! তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। কারণ তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ সুরা জুমুয়া, আয়াত ৫৩। তিনি আরও বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! তোমরা সব সময় সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তওবা কর, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ সুরা নুর, আয়াত ৩১। তিনি যে পাপের সাগরে পড়ে যাওয়া মানুষটিকেও ক্ষমার চাদরে আবৃত করেন, তা বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন। তাদের পাপ মোচন করেন। তোমরা যা কর, তিনি তা সবই জানেন।’ সুরা শুরা, আয়াত ২৫। অনুতাপের অনলে জ্বলা বান্দাদের তিনি বলেন, ‘যে অনুশোচনা করে, বিশ্বাস করে, সৎকর্ম করে ও সৎপথে চলে তার প্রতি আমি সব সময়ই ক্ষমাশীল।’ সুরা তোয়াহা, আয়াত ৮২। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। আমি দিনে ১০০ বার তওবা করি।’ মুসলিম। প্রতিটি মুসলিমেরই উচিত গুনাহ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তওবা করা। কারণ তওবা ও বিপদাপদে আল্লাহর কাছে ছুটে যাওয়ার ক্ষেত্রে শয়তান যখন আমাদের অলসতা দেখে, তখনই সে আল্লাহর পথ থেকে সরানোর জন্য আমাদের ওপর আক্রমণ করে। সে বলে, ‘কোথায় যাও? যে পথে যাচ্ছ তা খুবই দীর্ঘ। এখানেই থাক এ উর্বর জমিতেই চরে বেড়াও।’ এ কথা শুনে আমরা মনের লাগাম তার কাছে সমর্পণ করে দিই। ফলে সে আমাদের নিয়ে যায় অনুর্বর ভূমিতে এবং যখন আমাদের আল্লাহর দরজায় কড়া নাড়তে দেখে, তখন সে বলে, ‘এদিকে সহজ একটি পথ আছে। আমার অনুসরণ কর।’ এরপর সে আমাদের নিয়ে যায় পার্থিব উপকরণের ঠিকানায়। সেখানে আমাদের সময় ও শ্রম নষ্ট করে। যখনই আমরা আল্লাহর পথে ফিরতে চাই, সে তখনই বলে, ‘থাম, পথের শেষ মাথায় আমি আলো দেখতে পাচ্ছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তওবা মুমিন জীবনে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে

আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন:
প্রভুর সাজানো এই পৃথিবীর সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পরও যখন বান্দা তাকে ভুলে যায়, তখনো আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য তাঁর দরজা খুলে রাখেন। শয়তান যখন নিরাশার সাগরে বান্দাকে ডুবিয়ে মারতে চায়, তখনো আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী) আপনি বলুন, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের ওপর অবিচার করেছ! তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। কারণ তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ সুরা জুমুয়া, আয়াত ৫৩। তিনি আরও বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! তোমরা সব সময় সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তওবা কর, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ সুরা নুর, আয়াত ৩১। তিনি যে পাপের সাগরে পড়ে যাওয়া মানুষটিকেও ক্ষমার চাদরে আবৃত করেন, তা বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন। তাদের পাপ মোচন করেন। তোমরা যা কর, তিনি তা সবই জানেন।’ সুরা শুরা, আয়াত ২৫। অনুতাপের অনলে জ্বলা বান্দাদের তিনি বলেন, ‘যে অনুশোচনা করে, বিশ্বাস করে, সৎকর্ম করে ও সৎপথে চলে তার প্রতি আমি সব সময়ই ক্ষমাশীল।’ সুরা তোয়াহা, আয়াত ৮২। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। আমি দিনে ১০০ বার তওবা করি।’ মুসলিম। প্রতিটি মুসলিমেরই উচিত গুনাহ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তওবা করা। কারণ তওবা ও বিপদাপদে আল্লাহর কাছে ছুটে যাওয়ার ক্ষেত্রে শয়তান যখন আমাদের অলসতা দেখে, তখনই সে আল্লাহর পথ থেকে সরানোর জন্য আমাদের ওপর আক্রমণ করে। সে বলে, ‘কোথায় যাও? যে পথে যাচ্ছ তা খুবই দীর্ঘ। এখানেই থাক এ উর্বর জমিতেই চরে বেড়াও।’ এ কথা শুনে আমরা মনের লাগাম তার কাছে সমর্পণ করে দিই। ফলে সে আমাদের নিয়ে যায় অনুর্বর ভূমিতে এবং যখন আমাদের আল্লাহর দরজায় কড়া নাড়তে দেখে, তখন সে বলে, ‘এদিকে সহজ একটি পথ আছে। আমার অনুসরণ কর।’ এরপর সে আমাদের নিয়ে যায় পার্থিব উপকরণের ঠিকানায়। সেখানে আমাদের সময় ও শ্রম নষ্ট করে। যখনই আমরা আল্লাহর পথে ফিরতে চাই, সে তখনই বলে, ‘থাম, পথের শেষ মাথায় আমি আলো দেখতে পাচ্ছি।’