ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঢাকাই ছবির প্রথম নায়ক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৩১৬ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকায় প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন নবাব পরিবারের কিছু সংস্কৃতিমনা তরুণ। এসব তরুণই ঢাকায় গড়ে তোলেন ‘ঢাকা ইস্ট বেঙ্গল সিনেমাটোগ্রাফ সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠন। তাদের হাত ধরেই নির্মিত হয় ঢাকার প্রথম চলচ্চিত্র ‘দ্য লাস্ট কিস’। এর আগে অবশ্য পরীক্ষামূলকভাবে ‘সুকুমার’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছিল। এটি নির্মাণ হয়েছিল ১৯২৭-২৮ সালের দিকে। মজার বিষয় হচ্ছে, এ চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা উভয়েই ছিলেন পুরুষ। এটি কোনো প্রেক্ষাগৃহে বা প্রকাশ্যে কোথাও প্রদর্শন হয়নি। শুধুমাত্র ঘরোয়াভাবে এটি দেখানো হয়েছিল। ‘সুকুমার’ চলচ্চিত্রের উদ্যোক্তারাই ১৯২৯ সালে এগিয়ে আসেন পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র নির্মাণে। এর পরিচালকের দায়িত্ব নেন অম্বুজ প্রসন্ন গুপ্ত। তিনি ছিলেন জগন্নাথ কলেজের শরীরচর্চা প্রশিক্ষক, তবে অভিনয়মোদী, নাট্য পরিচালক। প্রথমে ছবির নায়ক হিসেবে নির্ধারিত হন খাজা নাসরুল্লাহ। কিন্তু অভিনয় শুরু হওয়ার আগেই তিনি নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি ছিলেন বেশ সুদর্শন পুরুষ। সম্ভবত সামাজিক নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কাতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত বদল করেছিলেন। এমতাবস্থায় কাজী জালালকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য নির্ধারণ করা হয়। কিছুদিন শুটিং করার পরে কাজী জালালও নায়কের চরিত্রে আর অভিনয় করতে চাইলেন না। অবশেষে খাজা আজমল এই চলচ্চিত্রের নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক ছিলেন খাজা আজাদ। তিনি পরে কলকাতা চলে গেলে এর দায়িত্ব নেন খাজা আজমল নিজেই। তিনি ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা ছিলেন। অনুষ্ঠান ঘোষক হিসেবে ঢাকা বেতারে কাজ করেছেন। বেতারের অনেক নাটকেও অংশ নেন খাজা আজমল। একসময় অন্য নবাবদের সঙ্গে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঢাকাই ছবির প্রথম নায়ক

আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকায় প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন নবাব পরিবারের কিছু সংস্কৃতিমনা তরুণ। এসব তরুণই ঢাকায় গড়ে তোলেন ‘ঢাকা ইস্ট বেঙ্গল সিনেমাটোগ্রাফ সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠন। তাদের হাত ধরেই নির্মিত হয় ঢাকার প্রথম চলচ্চিত্র ‘দ্য লাস্ট কিস’। এর আগে অবশ্য পরীক্ষামূলকভাবে ‘সুকুমার’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছিল। এটি নির্মাণ হয়েছিল ১৯২৭-২৮ সালের দিকে। মজার বিষয় হচ্ছে, এ চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা উভয়েই ছিলেন পুরুষ। এটি কোনো প্রেক্ষাগৃহে বা প্রকাশ্যে কোথাও প্রদর্শন হয়নি। শুধুমাত্র ঘরোয়াভাবে এটি দেখানো হয়েছিল। ‘সুকুমার’ চলচ্চিত্রের উদ্যোক্তারাই ১৯২৯ সালে এগিয়ে আসেন পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র নির্মাণে। এর পরিচালকের দায়িত্ব নেন অম্বুজ প্রসন্ন গুপ্ত। তিনি ছিলেন জগন্নাথ কলেজের শরীরচর্চা প্রশিক্ষক, তবে অভিনয়মোদী, নাট্য পরিচালক। প্রথমে ছবির নায়ক হিসেবে নির্ধারিত হন খাজা নাসরুল্লাহ। কিন্তু অভিনয় শুরু হওয়ার আগেই তিনি নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি ছিলেন বেশ সুদর্শন পুরুষ। সম্ভবত সামাজিক নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কাতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত বদল করেছিলেন। এমতাবস্থায় কাজী জালালকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য নির্ধারণ করা হয়। কিছুদিন শুটিং করার পরে কাজী জালালও নায়কের চরিত্রে আর অভিনয় করতে চাইলেন না। অবশেষে খাজা আজমল এই চলচ্চিত্রের নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক ছিলেন খাজা আজাদ। তিনি পরে কলকাতা চলে গেলে এর দায়িত্ব নেন খাজা আজমল নিজেই। তিনি ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা ছিলেন। অনুষ্ঠান ঘোষক হিসেবে ঢাকা বেতারে কাজ করেছেন। বেতারের অনেক নাটকেও অংশ নেন খাজা আজমল। একসময় অন্য নবাবদের সঙ্গে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন।