ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডিসির নির্দেশও যেখানে থোড়াই কেয়ার!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০১৯
  • / ৪৯৭ বার পড়া হয়েছে

হালচিত্র : চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়
বিশেষ প্রতিবেদক:
দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ভেঙে পড়তে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। মানসম্মত ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন না করা এবং বাস্তবায়িত কার্যক্রম রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠদান বন্ধ রেখে বেতন নিতে দেখা যায়। হাতে সময় কম, তাই দ্রুত বেতন দিয়ে দিতে হবে, শিক্ষকদের এমন নির্দেশনায় দুপুরের প্রখর রোদ উপেক্ষা করে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বেতন জমা দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। প্রচ- তাপদাহে যখন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরই দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম, তখন শিশুশিক্ষার্থীদের কী হতে পারে?
এ বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস এক অভিভাবক সমাবেশে তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘স্কুল-ক্লাস বন্ধ রেখে বেতন নেওয়ার নিয়ম আর থাকবে না, প্রস্তুতি চলছে। আর আপনাদের কষ্ট করে বেতন দিতে স্কুলে আসতে হবে না, বেতন নিতে আর স্কুল বন্ধ রাখতে হবে না। স্কুল বন্ধ রাখতে আমার অনুমতি নিতে হবে। শিগগিরই বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। চাইলে সারা মাস বেতন দিবেন, দু-তিন মাসের বেতনও জমা দিয়ে রাখতে পারবেন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর নামে আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট হবে। এতে করে অভিভাবকদের সময় বাঁচবে, পরিশ্রমও কমবে।’
কিন্তু জেলা প্রশাসকের এ উদ্যোগ এখনও সফলতার মুখ দেখেনি। বেসরকারি ব্যাংক ইউসিবির কর্মকর্তারা বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে বেতনের টাকা গ্রহণ করেন এবং তা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা করে দেন। তবে এখনও কোনো শিক্ষার্থীর আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট করা হয়নি। যে কারণে ব্যাংকে গিয়ে বেতনের টাকা জমা দিতে পারেন না অভিভাবকেরা। এ প্রতিষ্ঠানে ডিসির নির্দেশনাও যেন থোড়াই কেয়ার হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, ‘ব্যাংকের কর্মকর্তারা মাসে দুই দিন স্কুলে আসবেন এবং বেতন নেবেন। এ ছাড়াও সারা মাস বেতন নেওয়ার সুযোগও রয়েছে। কিন্তু বেতন নেওয়ার জন্য ক্লাস বন্ধ না করার জন্য আমি বলেছিলাম। তারপরও যে অনিয়ম উঠে আসবে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান ইউসিবি ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখার অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, বিদ্যালয় কমপাউন্ডে জায়গা পেলে আলাদা বুথ ও শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্ট করে টাকা জমা নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ঠিক না থাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে বিদ্যালয়ে গিয়ে টাকা জমা নিতে হচ্ছে।
ক্লাস বন্ধ রেখে প্রখর রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে বেতনের টাকা জমা দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্মৃতি কণা বিশ্বাস বলেন, ‘ব্যাংকের লোকজন স্কুলে এসে বেতনের টাকা জমা নিচ্ছেন। একসঙ্গে শিক্ষার্থীরা টাকা দিতে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াচ্ছে। আমরা স্কুলের বারান্দা ও একটি ভবন তাদের বেতন দেওয়ার জন্য ছেড়ে দিয়েছি। আলাদা আলাদাভাবে দিনের বিভিন্ন সময় বেতন দিতে এলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ ভোগান্তিতে আর পড়তে হবে না।’
এদিকে বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া যায় ভিন্ন অভিযোগ। গতকাল সোমবার সরবরাহ করা টিফিনের খাবার বনরুটিতে মিলেছে মরা পোকা ও মাছি। অভিযোগ করে বলা হয়, ‘জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মানা হয় না আমাদের (ছাত্রীদের) টিফিনের খাবার সরবরাহে। বাধ্য হয়ে মানহীন, অস্বাস্থ্যকর ও কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সরবরাহ করা খাবার খেতে হয় আমাদের। খাবারে পোকা-মাকড়ও পেয়েছি আমরা।’
অথচ, অভিভাবকদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে টিফিনের খাবারের গুণগত মানোন্নয়নের উদ্যোগের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেছিলেন, ‘এখন থেকে আর সারা বছর একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহ করতে পারবে না। ভিন্ন ভিন্নভাবে খাবার সরবরাহ ও পরিবেশন করতে হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের খাবার খেয়ে আমার সন্তানেরা অসুস্থ হয়, সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে একজন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর স্কুলে আসবেন খাবার পরীক্ষা করতে।’
তবে জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগের পরও সিভিল সার্জনের কোন প্রতিনিধি বা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর বিদ্যালয়ে খাবার পরীক্ষা করতে আজও আসেননি বলে জানা যায়। এ ছাড়াও টিফিনের জন্য ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা তুলে মাত্র ৫৭ হাজার টাকা খরচের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলেও এ ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
টিফিনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিন ফুডের স্বত্বাধিকারী নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দারের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি খাবার সরবরাহ করি। খাবারে কোনো সমস্যা থাকলে, সে ক্ষেত্রে আরও ভালো খাবার সরবরাহে বিশেষ ব্যবস্থা নেব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ডিসির নির্দেশও যেখানে থোড়াই কেয়ার!

আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০১৯

হালচিত্র : চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়
বিশেষ প্রতিবেদক:
দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ভেঙে পড়তে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। মানসম্মত ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন না করা এবং বাস্তবায়িত কার্যক্রম রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠদান বন্ধ রেখে বেতন নিতে দেখা যায়। হাতে সময় কম, তাই দ্রুত বেতন দিয়ে দিতে হবে, শিক্ষকদের এমন নির্দেশনায় দুপুরের প্রখর রোদ উপেক্ষা করে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বেতন জমা দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। প্রচ- তাপদাহে যখন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরই দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম, তখন শিশুশিক্ষার্থীদের কী হতে পারে?
এ বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস এক অভিভাবক সমাবেশে তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘স্কুল-ক্লাস বন্ধ রেখে বেতন নেওয়ার নিয়ম আর থাকবে না, প্রস্তুতি চলছে। আর আপনাদের কষ্ট করে বেতন দিতে স্কুলে আসতে হবে না, বেতন নিতে আর স্কুল বন্ধ রাখতে হবে না। স্কুল বন্ধ রাখতে আমার অনুমতি নিতে হবে। শিগগিরই বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। চাইলে সারা মাস বেতন দিবেন, দু-তিন মাসের বেতনও জমা দিয়ে রাখতে পারবেন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর নামে আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট হবে। এতে করে অভিভাবকদের সময় বাঁচবে, পরিশ্রমও কমবে।’
কিন্তু জেলা প্রশাসকের এ উদ্যোগ এখনও সফলতার মুখ দেখেনি। বেসরকারি ব্যাংক ইউসিবির কর্মকর্তারা বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে বেতনের টাকা গ্রহণ করেন এবং তা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা করে দেন। তবে এখনও কোনো শিক্ষার্থীর আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট করা হয়নি। যে কারণে ব্যাংকে গিয়ে বেতনের টাকা জমা দিতে পারেন না অভিভাবকেরা। এ প্রতিষ্ঠানে ডিসির নির্দেশনাও যেন থোড়াই কেয়ার হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, ‘ব্যাংকের কর্মকর্তারা মাসে দুই দিন স্কুলে আসবেন এবং বেতন নেবেন। এ ছাড়াও সারা মাস বেতন নেওয়ার সুযোগও রয়েছে। কিন্তু বেতন নেওয়ার জন্য ক্লাস বন্ধ না করার জন্য আমি বলেছিলাম। তারপরও যে অনিয়ম উঠে আসবে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান ইউসিবি ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখার অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, বিদ্যালয় কমপাউন্ডে জায়গা পেলে আলাদা বুথ ও শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্ট করে টাকা জমা নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ঠিক না থাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে বিদ্যালয়ে গিয়ে টাকা জমা নিতে হচ্ছে।
ক্লাস বন্ধ রেখে প্রখর রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে বেতনের টাকা জমা দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্মৃতি কণা বিশ্বাস বলেন, ‘ব্যাংকের লোকজন স্কুলে এসে বেতনের টাকা জমা নিচ্ছেন। একসঙ্গে শিক্ষার্থীরা টাকা দিতে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াচ্ছে। আমরা স্কুলের বারান্দা ও একটি ভবন তাদের বেতন দেওয়ার জন্য ছেড়ে দিয়েছি। আলাদা আলাদাভাবে দিনের বিভিন্ন সময় বেতন দিতে এলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ ভোগান্তিতে আর পড়তে হবে না।’
এদিকে বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া যায় ভিন্ন অভিযোগ। গতকাল সোমবার সরবরাহ করা টিফিনের খাবার বনরুটিতে মিলেছে মরা পোকা ও মাছি। অভিযোগ করে বলা হয়, ‘জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মানা হয় না আমাদের (ছাত্রীদের) টিফিনের খাবার সরবরাহে। বাধ্য হয়ে মানহীন, অস্বাস্থ্যকর ও কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সরবরাহ করা খাবার খেতে হয় আমাদের। খাবারে পোকা-মাকড়ও পেয়েছি আমরা।’
অথচ, অভিভাবকদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে টিফিনের খাবারের গুণগত মানোন্নয়নের উদ্যোগের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেছিলেন, ‘এখন থেকে আর সারা বছর একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহ করতে পারবে না। ভিন্ন ভিন্নভাবে খাবার সরবরাহ ও পরিবেশন করতে হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের খাবার খেয়ে আমার সন্তানেরা অসুস্থ হয়, সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে একজন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর স্কুলে আসবেন খাবার পরীক্ষা করতে।’
তবে জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগের পরও সিভিল সার্জনের কোন প্রতিনিধি বা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর বিদ্যালয়ে খাবার পরীক্ষা করতে আজও আসেননি বলে জানা যায়। এ ছাড়াও টিফিনের জন্য ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা তুলে মাত্র ৫৭ হাজার টাকা খরচের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলেও এ ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
টিফিনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিন ফুডের স্বত্বাধিকারী নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দারের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি খাবার সরবরাহ করি। খাবারে কোনো সমস্যা থাকলে, সে ক্ষেত্রে আরও ভালো খাবার সরবরাহে বিশেষ ব্যবস্থা নেব।’