ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডিপ ফেইকের কবল থেকে শিশুদের যেভাবে রক্ষা করবেন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১০:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ২১৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক:
তথাকথিত ‘ডিপ ফেইক’ প্রযুক্তি তুলনামূলকভাবে সহজেই অডিও ও ভিডিও কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্য নকল তৈরি করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কৌশল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির দ্বার যেখানে অবারিত খোলা সেখানে শিশুদের কিভাবে ভুল তথ্য থেকে রক্ষা করা যায়? জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এরই মধ্যে এক খোলা চিঠিতে অনলাইনে ভুল তথ্য শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড়ো হুমকিগুলোর অন্যতম বলে উল্লেখ করেছে। চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা বলা হয়েছে, শিশুদের বেশিরভাগই বেড়ে উঠবে ভুল তথ্য মিশ্রিত ডিজিটাল পরিবেশের বাসিন্দা হিসেবে। ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকেন নাসরিন জাহান। তার সন্তানের বয়স আট বছর। তিনি বলছিলেন, তার সন্তানকে ভুল তথ্য থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি একটা উপায় বের করেছেন। নাসরিন বলছিলেন, ‘ইউটিউবে আমার যে অ্যাকাউন্ট সেটা বাচ্চাকে ব্যবহার করতে দেই না। কারণ আমি যে ভিডিওগুলো দেখি সেটা তার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। সেজন্য আমার মোবাইলে জি-মেইলে তার জন্য আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঐ ইউটিউব অ্যাকাউন্টে আমার বাচ্চার দেখার উপযোগী ভিডিও সার্চ দিয়ে রেখেছি। আর একবার কোনো বিষয় বা কনটেন্ট সার্চ দিলে অটোমেটিক রিকমেন্ডেশন আসতে থাকে সেই বিষয় বা তার আশপাশের বিষয় সম্পর্কে। এভাবে দেখা যাচ্ছে আমার বাচ্চা বিভিন্ন কার্টুন দেখে বিভিন্ন ভাষায়। এখন স্প্যানিশ ভাষায় একটা কার্টুন দেখে দেখে সে স্প্যানিশ ভাষাটা কিছুটা শিখে ফেলেছে।’ নাসরিন জাহানের বাচ্চার বয়স অল্প, সে কারণে তিনি ইউটিউব ছাড়া অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে যাওয়াটা নিয়ন্ত্রণ বা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কিন্তু যেসব শিশুদের বয়স একটু বেশি তাদের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়াটা কঠিন। এমনি একজন মা আফিফা ইসলাম। তার সন্তান কলেজে পড়ছে। তিনি বলছিলেন, ‘কলেজ, কোচিং, বন্ধু-বান্ধব সব মিলিয়ে তার জগত্টা আলাদা। আর এখন যোগ হয়েছে ফেসবুক। সেখানে কি করে সেটা আমার পক্ষে দেখা সম্ভব হয়ে উঠে না।’ বাংলাদেশের নীতিমালা অনুযায়ী ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সবাইকে শিশু হিসেবে ধরা হয়। এখন যারা স্কুল বা কলেজে যাচ্ছে তারা যাতে ইন্টারনেটে ভুল তথ্যের বেড়াজালে নিজেকে জড়িয়ে না ফেলে সেজন্য কয়েকটি উপায়ের কথা উøেখ করছেন গার্লস চাইল্ড অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার জলি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ডিপ ফেইকের কবল থেকে শিশুদের যেভাবে রক্ষা করবেন

আপলোড টাইম : ১০:১০:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

প্রযুক্তি ডেস্ক:
তথাকথিত ‘ডিপ ফেইক’ প্রযুক্তি তুলনামূলকভাবে সহজেই অডিও ও ভিডিও কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্য নকল তৈরি করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কৌশল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির দ্বার যেখানে অবারিত খোলা সেখানে শিশুদের কিভাবে ভুল তথ্য থেকে রক্ষা করা যায়? জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এরই মধ্যে এক খোলা চিঠিতে অনলাইনে ভুল তথ্য শিশুদের জন্য সবচেয়ে বড়ো হুমকিগুলোর অন্যতম বলে উল্লেখ করেছে। চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা বলা হয়েছে, শিশুদের বেশিরভাগই বেড়ে উঠবে ভুল তথ্য মিশ্রিত ডিজিটাল পরিবেশের বাসিন্দা হিসেবে। ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকেন নাসরিন জাহান। তার সন্তানের বয়স আট বছর। তিনি বলছিলেন, তার সন্তানকে ভুল তথ্য থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি একটা উপায় বের করেছেন। নাসরিন বলছিলেন, ‘ইউটিউবে আমার যে অ্যাকাউন্ট সেটা বাচ্চাকে ব্যবহার করতে দেই না। কারণ আমি যে ভিডিওগুলো দেখি সেটা তার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। সেজন্য আমার মোবাইলে জি-মেইলে তার জন্য আলাদা অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঐ ইউটিউব অ্যাকাউন্টে আমার বাচ্চার দেখার উপযোগী ভিডিও সার্চ দিয়ে রেখেছি। আর একবার কোনো বিষয় বা কনটেন্ট সার্চ দিলে অটোমেটিক রিকমেন্ডেশন আসতে থাকে সেই বিষয় বা তার আশপাশের বিষয় সম্পর্কে। এভাবে দেখা যাচ্ছে আমার বাচ্চা বিভিন্ন কার্টুন দেখে বিভিন্ন ভাষায়। এখন স্প্যানিশ ভাষায় একটা কার্টুন দেখে দেখে সে স্প্যানিশ ভাষাটা কিছুটা শিখে ফেলেছে।’ নাসরিন জাহানের বাচ্চার বয়স অল্প, সে কারণে তিনি ইউটিউব ছাড়া অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে যাওয়াটা নিয়ন্ত্রণ বা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কিন্তু যেসব শিশুদের বয়স একটু বেশি তাদের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়াটা কঠিন। এমনি একজন মা আফিফা ইসলাম। তার সন্তান কলেজে পড়ছে। তিনি বলছিলেন, ‘কলেজ, কোচিং, বন্ধু-বান্ধব সব মিলিয়ে তার জগত্টা আলাদা। আর এখন যোগ হয়েছে ফেসবুক। সেখানে কি করে সেটা আমার পক্ষে দেখা সম্ভব হয়ে উঠে না।’ বাংলাদেশের নীতিমালা অনুযায়ী ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সবাইকে শিশু হিসেবে ধরা হয়। এখন যারা স্কুল বা কলেজে যাচ্ছে তারা যাতে ইন্টারনেটে ভুল তথ্যের বেড়াজালে নিজেকে জড়িয়ে না ফেলে সেজন্য কয়েকটি উপায়ের কথা উøেখ করছেন গার্লস চাইল্ড অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার জলি।