ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা অপরীসিম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৮০১২ বার পড়া হয়েছে

1

দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় : চুয়াডাঙ্গায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ দিনে এমপি টগর
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা অপরীসিম
আনিছ বিশ্বাস/এসএম শাফায়েত: নানা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে আয়োজিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ হয়েছে। গত ২৬ তারিখ শুরু হওয়া এ মেলা গতকাল শনিবার শেষ হয়। শেষ দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় ছিলো দেখার মত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবাদানকারী স্টল গুলোতে দর্শনার্থীদের ভীড় করতে দেখা যায় বেশি। তবে প্রথম দিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখা গেলেও সে তুলনায় গতকাল শেষদিনে ছিলো পেশাজীবিদের সরব উপস্থিতি।
এদিকে সকাল ১১টায় তরুণ উদ্ভাবকদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ঝঙখঠ-অ-ঞঐঙঘ দলগত উপস্থাপনা । দুপুরের পর থেকে দর্শনার্থীদের ভীড় বাড়তে থাকে। বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সন্ধ্যায় মেলা মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) সিরাজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ সচিব লুৎফর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান। সদর উপজেলা ভূমি অফিসার পুলক কুমার মন্ডলের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আঞ্জুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেব প্রসাদ পাল, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃণাল কান্তি দেসহ সরকারি-বে সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবীদ, লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও তরুণ উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়নে দেশ আজ এগিয়ে চলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের উদ্ভাবনে ব্যাপকভাবে সহায়তা করছে। তথ্য প্রযুক্তির ফলে অনেক কঠিন কাজ আজ ঘরে বসে সহজে হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, উদ্ভাবনী চিন্তা চেতনায় তরুণদের যে ভূমিকা তা প্রশংসার দাবিদার। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। সে ডিজিটাল বাংলাদেশ তখন একটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হলেও গত ৬ বছরে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে দেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে তরুণরা বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পথে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের দেশের তরুণ সমাজ তাদের নিজস্ব মেধা মনন দিয়ে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির জগতকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, বিদ্যালয় এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অনেক বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছে। যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এই গতি অব্যাহত থাকে তাহলে আমাদের একটি উন্নত দেশ গঠনের স্বপ্ন ২০৪১ সালে বাস্তবায়ন করতে পারব। তখন হয়তো আমরা না থাকলেও আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে পাবে। একটি উন্নত দেশের যে ধরনের তথ্য প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নয়ন প্রয়োজন সে উন্নয়ন নিশ্চয় তাদের মাধ্যমে সম্ভব হবে।
এদিকে আলোচনা সভা শেষে চুড়ান্ত মূল্যায়নে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলেদেন প্রধান অতিথি। মেলার সেরা ৫টি স্টলসহ ৬৩টি স্টলের উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। তবে এবারই প্রথম কোনো আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় অংশ নিয়ে আগত দর্শনার্থী ও অতিথিদের প্রসংশা কুড়িয়েছে। সমাপনী দিনে জনপ্রিয় দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকাকে মেলায় অংশগ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসন বিশেষ শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করে। প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ আলী আজগর টগর এমপি ও জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, পৌর মেয়র জিপু চৌধূরীসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন ও বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিকের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক, সার্টিাফকেট তুলে দেন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাকের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যেদিয়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনী এই মেলা ২০১৭’র সমাপ্তি ঘটে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা অপরীসিম

আপলোড টাইম : ০২:৩০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৭

1

দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় : চুয়াডাঙ্গায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ দিনে এমপি টগর
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা অপরীসিম
আনিছ বিশ্বাস/এসএম শাফায়েত: নানা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে আয়োজিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ হয়েছে। গত ২৬ তারিখ শুরু হওয়া এ মেলা গতকাল শনিবার শেষ হয়। শেষ দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় ছিলো দেখার মত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবাদানকারী স্টল গুলোতে দর্শনার্থীদের ভীড় করতে দেখা যায় বেশি। তবে প্রথম দিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখা গেলেও সে তুলনায় গতকাল শেষদিনে ছিলো পেশাজীবিদের সরব উপস্থিতি।
এদিকে সকাল ১১টায় তরুণ উদ্ভাবকদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ঝঙখঠ-অ-ঞঐঙঘ দলগত উপস্থাপনা । দুপুরের পর থেকে দর্শনার্থীদের ভীড় বাড়তে থাকে। বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সন্ধ্যায় মেলা মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) সিরাজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ সচিব লুৎফর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান। সদর উপজেলা ভূমি অফিসার পুলক কুমার মন্ডলের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আঞ্জুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেব প্রসাদ পাল, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃণাল কান্তি দেসহ সরকারি-বে সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবীদ, লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও তরুণ উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়নে দেশ আজ এগিয়ে চলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের উদ্ভাবনে ব্যাপকভাবে সহায়তা করছে। তথ্য প্রযুক্তির ফলে অনেক কঠিন কাজ আজ ঘরে বসে সহজে হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, উদ্ভাবনী চিন্তা চেতনায় তরুণদের যে ভূমিকা তা প্রশংসার দাবিদার। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। সে ডিজিটাল বাংলাদেশ তখন একটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হলেও গত ৬ বছরে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে দেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে তরুণরা বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পথে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের দেশের তরুণ সমাজ তাদের নিজস্ব মেধা মনন দিয়ে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির জগতকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, বিদ্যালয় এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অনেক বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছে। যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এই গতি অব্যাহত থাকে তাহলে আমাদের একটি উন্নত দেশ গঠনের স্বপ্ন ২০৪১ সালে বাস্তবায়ন করতে পারব। তখন হয়তো আমরা না থাকলেও আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে পাবে। একটি উন্নত দেশের যে ধরনের তথ্য প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নয়ন প্রয়োজন সে উন্নয়ন নিশ্চয় তাদের মাধ্যমে সম্ভব হবে।
এদিকে আলোচনা সভা শেষে চুড়ান্ত মূল্যায়নে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলেদেন প্রধান অতিথি। মেলার সেরা ৫টি স্টলসহ ৬৩টি স্টলের উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। তবে এবারই প্রথম কোনো আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় অংশ নিয়ে আগত দর্শনার্থী ও অতিথিদের প্রসংশা কুড়িয়েছে। সমাপনী দিনে জনপ্রিয় দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকাকে মেলায় অংশগ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসন বিশেষ শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করে। প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ আলী আজগর টগর এমপি ও জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, পৌর মেয়র জিপু চৌধূরীসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন ও বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিকের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক, সার্টিাফকেট তুলে দেন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাকের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যেদিয়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনী এই মেলা ২০১৭’র সমাপ্তি ঘটে।