ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১২০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী আফরোজার ছবি দিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়কের ছবি দিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করায় সদর থানায় চারজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মহিলা নেত্রী আফরোজা পারভীন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর আফরোজা পারভীন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বাদী যুব মহিলা নেত্রী আফরোজা পারভীন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার কাউসারের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরের দিকে আফরোজা পারভীন তাঁর নিজ Khushi Khushi  ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করে দেখতে পান Jim Morrison Jim Morrison নামের ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর ছবি দিয়ে কুরুচিপূর্ণ একটি লেখা প্রকাশ করা হয়। লেখাটি হুবুহু প্রকাশ করা হলো- ‘আমি অবাক হয়ে যাই এই রাজনীতি দেখে, একটা কথা রাজনীতিতে প্রচারিত আছে রাজনীতি আর বেশ্যানীতি একটা আদিম পেশা, আগে কথাটার গুরুত্ব বুঝতাম না। কিন্তু ধীরে ধীরে তার গুরুত্ব বুঝতে শিখেছি, রাজনীতি করতে গেলে যেমন ক্যাডার লাগে, ঠিক তেমনি বেশ্যাও লাগে। যার বহিঃপ্রকাশ এই মহিলা। এই মহিলা নাকি মহিলা নেত্রী, হাস্যকর একটা বিষয়। আর এই মহিলা কে দিয়ে যা খুশি তাই বলাচ্ছেন কিছু স্বার্থ হাছিলকারী লোভী কুলাঙ্গররা। আমি উন্মাদ, আমি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি এই জনাবদেরকে দেখে, আমি না হয় শরীরের বিকৃত চিহ্ন দেখিয়ে চেয়ারে বসতে পেরেছি। কিন্তু তুমি বেশ্যানীতি দেখিয়ে কি পেতে চাচ্ছো? যাতে তুমি আর তোমার পরিবার সুরক্ষিত থাকো। তার জন্য এই বেশ্যার শরীরের উন্মাদনা কিসের? শুধু কি মনোরঞ্জনের জন্য? যখন গ্লাসে গ্লাসে জীবন বন্দী হয়, তখন বেশ্যানীতির দরকার হয়। যার বহিঃপ্রকাশ এখন চলছে, টাকা দিয়ে একটা বেশ্যার শরীর কিনতে পারবে কিন্তু তার মন কেনা যাই না, আফরোজা পারভিন মহিলা নেত্রী। উনি কে, কীসের নেত্রী, কবে থেকে নেত্রী, নাকি সুবাতাসে গা ভাসিয়েছে, নাকি সাহেবদের কাচের গ্লাসের এক একটি ফোটা? আর এই এক একটি ফোটার সাহস কত বড় যে সাবেক আর বর্তমান মেয়রের পার্থক্য খুঁজে বের করছে। তিনি বলে বেড়াচ্ছেন বর্তমান মেয়র নাকি তার প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, আমার প্রশ্ন আপনি কে, কি আপনার পরিচয়, যে আপনাকে নিয়ে মেয়র সাহেবের মাথা ব্যথা, আমার মনে হয় আপনি পতিতা ব্যবসায়লিপ্ত আর এটা করতে না দেওয়ায় আপনার এতো আক্রশ মেয়রের প্রতি, আর সাহেবদেরকে বলি এই মহিলা কে আপনাদের গ্লাসেই বন্দী রাখুন। না হলে যদি উঁচু জায়গা দিলেই আগামীর সকালটা আপনার ফিকে হয়ে যাবে, সাবধান সাহেবরা, আর আফরোজা আপনাকে বুঝিয়ে বললাম জিপু ভাইয়ের নিয়ে কোনো কথা বলার আগে ভেবে নিবেন। না হলে বাকিটা ইতিহাস হয়ে যাবে, জয় বাংলা।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর লেখাটি পোস্ট করা হয়। পরে আরও একজন এই পোস্টটি শেয়ার করে। একই সঙ্গে ওই পোস্টের নিচে আফরোজা পারভীনের নামে বাজে মন্তব্যও লেখে অনেকে। পরে এ ঘটনায় আফরোজা পারভীন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ার শাহিন খানের ছেলে মানিক, কেদারগঞ্জ ফিরোজ রোড এলাকার খবির শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর, বাহাদুর পাড়ার আদম আলীর ছেলে রাকীবুল হাসান নিপ্পন ও আরামপাড়ার কাশেম কসায়ের ছেলে ফয়সাল খানের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, চুয়াডাঙ্গার যুব মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী আফরোজা পারভীন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটির বিষয়ে সদর থানার পুলিশ তদন্ত করবে। তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী আফরোজার ছবি দিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়কের ছবি দিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করায় সদর থানায় চারজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মহিলা নেত্রী আফরোজা পারভীন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর আফরোজা পারভীন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বাদী যুব মহিলা নেত্রী আফরোজা পারভীন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার কাউসারের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরের দিকে আফরোজা পারভীন তাঁর নিজ Khushi Khushi  ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করে দেখতে পান Jim Morrison Jim Morrison নামের ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর ছবি দিয়ে কুরুচিপূর্ণ একটি লেখা প্রকাশ করা হয়। লেখাটি হুবুহু প্রকাশ করা হলো- ‘আমি অবাক হয়ে যাই এই রাজনীতি দেখে, একটা কথা রাজনীতিতে প্রচারিত আছে রাজনীতি আর বেশ্যানীতি একটা আদিম পেশা, আগে কথাটার গুরুত্ব বুঝতাম না। কিন্তু ধীরে ধীরে তার গুরুত্ব বুঝতে শিখেছি, রাজনীতি করতে গেলে যেমন ক্যাডার লাগে, ঠিক তেমনি বেশ্যাও লাগে। যার বহিঃপ্রকাশ এই মহিলা। এই মহিলা নাকি মহিলা নেত্রী, হাস্যকর একটা বিষয়। আর এই মহিলা কে দিয়ে যা খুশি তাই বলাচ্ছেন কিছু স্বার্থ হাছিলকারী লোভী কুলাঙ্গররা। আমি উন্মাদ, আমি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি এই জনাবদেরকে দেখে, আমি না হয় শরীরের বিকৃত চিহ্ন দেখিয়ে চেয়ারে বসতে পেরেছি। কিন্তু তুমি বেশ্যানীতি দেখিয়ে কি পেতে চাচ্ছো? যাতে তুমি আর তোমার পরিবার সুরক্ষিত থাকো। তার জন্য এই বেশ্যার শরীরের উন্মাদনা কিসের? শুধু কি মনোরঞ্জনের জন্য? যখন গ্লাসে গ্লাসে জীবন বন্দী হয়, তখন বেশ্যানীতির দরকার হয়। যার বহিঃপ্রকাশ এখন চলছে, টাকা দিয়ে একটা বেশ্যার শরীর কিনতে পারবে কিন্তু তার মন কেনা যাই না, আফরোজা পারভিন মহিলা নেত্রী। উনি কে, কীসের নেত্রী, কবে থেকে নেত্রী, নাকি সুবাতাসে গা ভাসিয়েছে, নাকি সাহেবদের কাচের গ্লাসের এক একটি ফোটা? আর এই এক একটি ফোটার সাহস কত বড় যে সাবেক আর বর্তমান মেয়রের পার্থক্য খুঁজে বের করছে। তিনি বলে বেড়াচ্ছেন বর্তমান মেয়র নাকি তার প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, আমার প্রশ্ন আপনি কে, কি আপনার পরিচয়, যে আপনাকে নিয়ে মেয়র সাহেবের মাথা ব্যথা, আমার মনে হয় আপনি পতিতা ব্যবসায়লিপ্ত আর এটা করতে না দেওয়ায় আপনার এতো আক্রশ মেয়রের প্রতি, আর সাহেবদেরকে বলি এই মহিলা কে আপনাদের গ্লাসেই বন্দী রাখুন। না হলে যদি উঁচু জায়গা দিলেই আগামীর সকালটা আপনার ফিকে হয়ে যাবে, সাবধান সাহেবরা, আর আফরোজা আপনাকে বুঝিয়ে বললাম জিপু ভাইয়ের নিয়ে কোনো কথা বলার আগে ভেবে নিবেন। না হলে বাকিটা ইতিহাস হয়ে যাবে, জয় বাংলা।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর লেখাটি পোস্ট করা হয়। পরে আরও একজন এই পোস্টটি শেয়ার করে। একই সঙ্গে ওই পোস্টের নিচে আফরোজা পারভীনের নামে বাজে মন্তব্যও লেখে অনেকে। পরে এ ঘটনায় আফরোজা পারভীন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ার শাহিন খানের ছেলে মানিক, কেদারগঞ্জ ফিরোজ রোড এলাকার খবির শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর, বাহাদুর পাড়ার আদম আলীর ছেলে রাকীবুল হাসান নিপ্পন ও আরামপাড়ার কাশেম কসায়ের ছেলে ফয়সাল খানের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, চুয়াডাঙ্গার যুব মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী আফরোজা পারভীন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটির বিষয়ে সদর থানার পুলিশ তদন্ত করবে। তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।