ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘টেগর শান্তি পুরস্কার’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২৩৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
গতকাল শনিবার নয়াদিল্লিতে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘টেগর শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত করা হয়েছে নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে; উদ্বোধন হয়েছে তিনটি যৌথ প্রকল্প। গতকাল শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে বসেন দুই দেশের সরকারপ্রধান। এরপর তাদের উপস্থিতিতেই চুক্তি সই ও চুক্তিপত্র বিনিময় হয়। শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে পৌঁছালে প্রধান ফটকে গিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তারা। স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের আওতায় ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে পারবে ভারত; ওই পানি তারা ত্রিপুরা সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। উপকূলে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থার (কোয়েস্টাল সারভাইল্যান্স সিস্টেম-সিএসএস) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দুই দেশ। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহণের বিষয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই হয়েছে। চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশকে দেওয়া ভারতের ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নে। সহযোগিতা বিনিময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
এ ছাড়া সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময় নবায়ন এবং যুব উন্নয়নে সহযোগিতা নিয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চুক্তি ও সমঝোতাপত্র বিনিময়ের পর শেখ হাসিনা ও মোদি যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এগুলো হলো খুলনায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে বিবেকানন্দ ভবন এবং বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি আমদানি প্রকল্প।’ প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত এক দশকে আমাদের উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রথাগত সহযোগিতা প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন নতুন ও অপ্রচলিত খাত যেমন বস্নু ইকোনমি ও মেরিটাইম, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ গবেষণা, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি ও সাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদি খাতে উভয় দেশ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করেছে। এসব বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সহযোগিতার ফলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশ্ববাসীর সামনে সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।’
এলপিজির প্রকল্প নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা আমাদের উভয় দেশের বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমি মনে করি। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহের জ্বালানি চাহিদা পূরণ অনেকাংশে সহজ হবে বলে আশা করছি।’ খুলনার বিআইপিএসডিআই বাংলাদেশের ওই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে বিভিন্ন রকম উন্নত মানের যন্ত্রপাতি দিয়ে অবদান রাখবে বলে আশা করেন শেখ হাসিনা। তিনি আশা করেন, ভারত সরকারের আর্থিক অনুদানে স্থাপিত রামকৃষ্ণ মিশনের বিবেকানন্দ ভবন শিক্ষা বিস্তারে সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে ভূমিকা রাখবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘গত এক বছরে আমি ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। আজকে তিনটি প্রকল্প যোগ হয়ে এক ডজন যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করলাম। এই প্রকল্পগুলোর উদ্দেশ্য আমাদের নাগরিক জীবনমানকে উন্নত করা। এটা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল মন্ত্র’ শীর্ষ বৈঠকের পর হায়দরাবাদ হাউসে শেখ হাসিনা তার সম্মানে দেয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
বাংলাদেশকে ভারত ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয়: জয়শঙ্কর বাংলাদেশকে ভারত ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। গতকাল শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা বলেন জয়শঙ্কর। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভীশ কুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-ভারত পারস্পরিক সম্পর্ককে নতুন এক উচ্চতায় নিতে এ সাক্ষাতে উষ্ণ আলোচনা হয়েছে। সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এরপর নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা। টেগর শান্তি পুরস্কার’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী এদিকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘টেগর শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত করা হয়েছে। শনিবার নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি আশা মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার তুলে দেন। শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি ভূমিকা রাখায় এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। শেখ হাসিনার আগে বিশ্বশান্তির অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা এ পুরস্কারে ভূষিত হন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

‘টেগর শান্তি পুরস্কার’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

আপলোড টাইম : ১২:১৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
গতকাল শনিবার নয়াদিল্লিতে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘টেগর শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত করা হয়েছে নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে; উদ্বোধন হয়েছে তিনটি যৌথ প্রকল্প। গতকাল শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে বসেন দুই দেশের সরকারপ্রধান। এরপর তাদের উপস্থিতিতেই চুক্তি সই ও চুক্তিপত্র বিনিময় হয়। শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে পৌঁছালে প্রধান ফটকে গিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তারা। স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের আওতায় ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে পারবে ভারত; ওই পানি তারা ত্রিপুরা সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। উপকূলে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থার (কোয়েস্টাল সারভাইল্যান্স সিস্টেম-সিএসএস) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দুই দেশ। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহণের বিষয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই হয়েছে। চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশকে দেওয়া ভারতের ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নে। সহযোগিতা বিনিময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
এ ছাড়া সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময় নবায়ন এবং যুব উন্নয়নে সহযোগিতা নিয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চুক্তি ও সমঝোতাপত্র বিনিময়ের পর শেখ হাসিনা ও মোদি যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এগুলো হলো খুলনায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে বিবেকানন্দ ভবন এবং বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি আমদানি প্রকল্প।’ প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত এক দশকে আমাদের উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রথাগত সহযোগিতা প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন নতুন ও অপ্রচলিত খাত যেমন বস্নু ইকোনমি ও মেরিটাইম, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ গবেষণা, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি ও সাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদি খাতে উভয় দেশ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করেছে। এসব বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সহযোগিতার ফলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশ্ববাসীর সামনে সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।’
এলপিজির প্রকল্প নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা আমাদের উভয় দেশের বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমি মনে করি। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহের জ্বালানি চাহিদা পূরণ অনেকাংশে সহজ হবে বলে আশা করছি।’ খুলনার বিআইপিএসডিআই বাংলাদেশের ওই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে বিভিন্ন রকম উন্নত মানের যন্ত্রপাতি দিয়ে অবদান রাখবে বলে আশা করেন শেখ হাসিনা। তিনি আশা করেন, ভারত সরকারের আর্থিক অনুদানে স্থাপিত রামকৃষ্ণ মিশনের বিবেকানন্দ ভবন শিক্ষা বিস্তারে সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে ভূমিকা রাখবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘গত এক বছরে আমি ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। আজকে তিনটি প্রকল্প যোগ হয়ে এক ডজন যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করলাম। এই প্রকল্পগুলোর উদ্দেশ্য আমাদের নাগরিক জীবনমানকে উন্নত করা। এটা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল মন্ত্র’ শীর্ষ বৈঠকের পর হায়দরাবাদ হাউসে শেখ হাসিনা তার সম্মানে দেয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
বাংলাদেশকে ভারত ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয়: জয়শঙ্কর বাংলাদেশকে ভারত ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। গতকাল শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা বলেন জয়শঙ্কর। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভীশ কুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-ভারত পারস্পরিক সম্পর্ককে নতুন এক উচ্চতায় নিতে এ সাক্ষাতে উষ্ণ আলোচনা হয়েছে। সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এরপর নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা। টেগর শান্তি পুরস্কার’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী এদিকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘টেগর শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত করা হয়েছে। শনিবার নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি আশা মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার তুলে দেন। শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি ভূমিকা রাখায় এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। শেখ হাসিনার আগে বিশ্বশান্তির অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা এ পুরস্কারে ভূষিত হন।