ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে দুর্নীতি মোকাবেলার আহ্বান জেলা প্রশাসকের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৪৯০ বার পড়া হয়েছে

গোপন ক্যামেরায় প্রকল্প পর্যবেক্ষণ : কিঞ্চিৎ কারচুপি ছাড় দিতে নারাজ মেয়র
এসএম শাফায়েত:
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার চলমান উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্প এলাকা (সাইট) পরিদর্শন করেন। এ সময় উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত মালামালের (পিচ/বিটুমিন, পাথর, বালু) গুণগত মান যাচাই করেন তিনি। পরিদর্শনকালে সাইটের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাগানো গোপন ক্যামেরা চোখে পড়ে জেলা প্রশাসকের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পৌর মেয়র বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ সরকার, এডিবি ও ওএফআইডি’র সহায়তাপুষ্ট তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর), (ইউজিআইআইপি-৩) প্রকল্পের অর্থায়নে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন সময় বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কারচুপি করে থাকে। উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে তাদেরকে ১০ শতাংশ লাভ দেয়ার পরেও দেখা যায় নি¤œ মানের কাঁচামাল ও ভেজাল পণ্য ব্যবহার করতে। তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ সমস্ত অবৈধ কাজ করা হয়। যা নাগরিক জীবনের টেকসই উন্নয়নের অন্তরায়। এ কারণে প্রকল্প এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এরমাধ্যমে সার্বক্ষণিক প্রকল্পের কাজ ও ব্যবহৃত মালামালের উপর নজর রাখা সম্ভব হচ্ছে। ফলে অনেকাংশেই দুর্নীতি ও কারচুপি কমে এসেছে। চাইলে যে কেউ আমাদের আইডি জঝঠ১৭০৭০৭২৭১৮৬৪৮ ও পাসওয়ার্ড ১২৩৪৫৬৭৮ ব্যবহার করে কাজের দৃশ্য দেখতে পারবেন। এখন আমি জনগণকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে সক্ষম।’ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর নানাবিধ সমস্যা সমাধান হবে এবং তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হবে। সেই সাথে বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ অনেকাংশে বাস্তবায়িত হবে বলে মন্তব্য করেন জিপু চৌধুরী।
এদিকে, পৌরসভার নানামুখী চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নাগরিকদের সেবা ও স্বপ্ন পূরনে কাজ করছে পৌরসভা। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, একসঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। চলমান এ উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ সারাদেশের জন্য মডেল হয়ে থাকবে।’ পৌরসভার যে কোন উন্নয়নমূলক কাজে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে পৌর এলাকার রেলবাজার পুঁলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে রেলপাড়া মোড়, রেললাইন হয়ে মসজিদপাড়া পর্যন্ত রাস্তা পিচকরণ কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, ০৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মস্তফা শেখ মাস্তার, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সুলতানা আরা রতœা, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আয়ুব আলী বিশ্বাস, সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান কাওছার, প্রকল্পের মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ার সাধন চন্দ্র ধর, এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরুন জোয়ার্দ্দার, প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের, অধ্যক্ষ মাহাবুল ইসলাম সেলিম, মিলন বিশ্বাস, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি (এমটি ডিসি এমআরসি)’র স্থানীয় প্রতিনিধি মহিমা এন্টারপ্রাইজের পরিচালক রোকনুল হাসান, সমাজসেবক নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, মাসুম, জনি, ইমরানসহ স্থানীয় জনগণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে দুর্নীতি মোকাবেলার আহ্বান জেলা প্রশাসকের

আপলোড টাইম : ১০:৪২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯

গোপন ক্যামেরায় প্রকল্প পর্যবেক্ষণ : কিঞ্চিৎ কারচুপি ছাড় দিতে নারাজ মেয়র
এসএম শাফায়েত:
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার চলমান উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্প এলাকা (সাইট) পরিদর্শন করেন। এ সময় উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত মালামালের (পিচ/বিটুমিন, পাথর, বালু) গুণগত মান যাচাই করেন তিনি। পরিদর্শনকালে সাইটের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাগানো গোপন ক্যামেরা চোখে পড়ে জেলা প্রশাসকের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পৌর মেয়র বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ সরকার, এডিবি ও ওএফআইডি’র সহায়তাপুষ্ট তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর), (ইউজিআইআইপি-৩) প্রকল্পের অর্থায়নে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন সময় বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কারচুপি করে থাকে। উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে তাদেরকে ১০ শতাংশ লাভ দেয়ার পরেও দেখা যায় নি¤œ মানের কাঁচামাল ও ভেজাল পণ্য ব্যবহার করতে। তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ সমস্ত অবৈধ কাজ করা হয়। যা নাগরিক জীবনের টেকসই উন্নয়নের অন্তরায়। এ কারণে প্রকল্প এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এরমাধ্যমে সার্বক্ষণিক প্রকল্পের কাজ ও ব্যবহৃত মালামালের উপর নজর রাখা সম্ভব হচ্ছে। ফলে অনেকাংশেই দুর্নীতি ও কারচুপি কমে এসেছে। চাইলে যে কেউ আমাদের আইডি জঝঠ১৭০৭০৭২৭১৮৬৪৮ ও পাসওয়ার্ড ১২৩৪৫৬৭৮ ব্যবহার করে কাজের দৃশ্য দেখতে পারবেন। এখন আমি জনগণকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে সক্ষম।’ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর নানাবিধ সমস্যা সমাধান হবে এবং তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হবে। সেই সাথে বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ অনেকাংশে বাস্তবায়িত হবে বলে মন্তব্য করেন জিপু চৌধুরী।
এদিকে, পৌরসভার নানামুখী চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নাগরিকদের সেবা ও স্বপ্ন পূরনে কাজ করছে পৌরসভা। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, একসঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। চলমান এ উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ সারাদেশের জন্য মডেল হয়ে থাকবে।’ পৌরসভার যে কোন উন্নয়নমূলক কাজে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে পৌর এলাকার রেলবাজার পুঁলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে রেলপাড়া মোড়, রেললাইন হয়ে মসজিদপাড়া পর্যন্ত রাস্তা পিচকরণ কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, ০৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মস্তফা শেখ মাস্তার, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সুলতানা আরা রতœা, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আয়ুব আলী বিশ্বাস, সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান কাওছার, প্রকল্পের মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ার সাধন চন্দ্র ধর, এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরুন জোয়ার্দ্দার, প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের, অধ্যক্ষ মাহাবুল ইসলাম সেলিম, মিলন বিশ্বাস, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি (এমটি ডিসি এমআরসি)’র স্থানীয় প্রতিনিধি মহিমা এন্টারপ্রাইজের পরিচালক রোকনুল হাসান, সমাজসেবক নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, মাসুম, জনি, ইমরানসহ স্থানীয় জনগণ।