ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

টাকার অভাবে কৃষকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ মোবারকগঞ্জ চিনিকল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ২৯৪ বার পড়া হয়েছে

বকেয়ার দাবিতে আখচাষীদের মিছিল ও স্মারকলিপি
ঝিনাইদহ অফিস: টাকার অভাবে কৃষকদের পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকল। চলতি মৌসুমে মিলটির কাছে কৃষকের পাওনা রয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। কারখানা সচল রাখতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ টাকার আখ প্রয়োজন হয়। ছয় সাবজোনের ৩৮ ক্রয় কেন্দ্র এবং মিলগেট থেকে এসব আখ কেনা হয়। গত ৭ ডিসেম্বর চলতি মাড়াই মৌসুম শুর” হওয়ার পর প্রথম কিস্তিতে কৃষকদের তিন কোটি টাকা পরিশোধ করা হলেও এখনো বাকি রয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। গত এক মাস ১০ দিনে বাকি পাওনা পরিশোধ না করায় আখচাষীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। চাষীরা প্রায়ই পাওনা টাকার জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আর নাজুক এ অবস্থার জন্য মিলে উৎপাদিত চিনি বিক্র না হওয়াকে দায়ী করেছেন মিলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউছুফ আলী শিকদার। তিনি জানান, গত মৌসুমে উৎপাদিত প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন চিনি গুদামে পড়ে আছে। আর চলতি মৌসুমে উৎপাদিত চিনি যোগ হয়েছে আরো চার হাজার মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে ৩০ কোটি টাকার চিনি গুদামে পড়ে আছে। চিনি বিক্রি না হওয়ায় চাণিদের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তথ্য নিয়ে জানা গেছে ২ ফেব্র”য়ারী রাত ১২ টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৯০৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। মিলের শ্রমিকরা জানায়, প্রতি কেজি চিনি মিলগেটে বিক্রি হয় ৫০ টাকা। মিলগেটের বাইরে বিভিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি। যে কারনে মিলের তালিকাভুক্ত ডিলাররা এ মিলের চিনি কিনতে অপারগতা প্রকাশ করে আসছে। আর চিনি বিক্রি না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে মিলটি। চিনির ডিলারদের বির”দ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে আঁখ চাষীদের বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে স্বারকলিপি পেশ করেছেন আখঁচাষীরা। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি পেশ করেন তারা। এ সময় মোবারকগঞ্জ চিনিকল আখচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহুর”ল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু, কৃষক মিজানুর রহমান, মনির”জ্জামান স্বপন, আক্কাস আলী, আলি আকবর মালিতা, রমজান আলী, আব্দুস সাত্তারসহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন। কৃষক নেতারা বলেন, চলতি অর্থ বছরে কালীগঞ্জের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার আখচাষী মিলের কাছে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা পাবেন। দ্র”ত এ টাকা পরিশোধ করার দাবি জানান তারা। তারা চিনি শিল্পের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও অপসারণের দাবিও জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

টাকার অভাবে কৃষকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ মোবারকগঞ্জ চিনিকল

আপলোড টাইম : ১১:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বকেয়ার দাবিতে আখচাষীদের মিছিল ও স্মারকলিপি
ঝিনাইদহ অফিস: টাকার অভাবে কৃষকদের পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকল। চলতি মৌসুমে মিলটির কাছে কৃষকের পাওনা রয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। কারখানা সচল রাখতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ টাকার আখ প্রয়োজন হয়। ছয় সাবজোনের ৩৮ ক্রয় কেন্দ্র এবং মিলগেট থেকে এসব আখ কেনা হয়। গত ৭ ডিসেম্বর চলতি মাড়াই মৌসুম শুর” হওয়ার পর প্রথম কিস্তিতে কৃষকদের তিন কোটি টাকা পরিশোধ করা হলেও এখনো বাকি রয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। গত এক মাস ১০ দিনে বাকি পাওনা পরিশোধ না করায় আখচাষীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। চাষীরা প্রায়ই পাওনা টাকার জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আর নাজুক এ অবস্থার জন্য মিলে উৎপাদিত চিনি বিক্র না হওয়াকে দায়ী করেছেন মিলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউছুফ আলী শিকদার। তিনি জানান, গত মৌসুমে উৎপাদিত প্রায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন চিনি গুদামে পড়ে আছে। আর চলতি মৌসুমে উৎপাদিত চিনি যোগ হয়েছে আরো চার হাজার মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে ৩০ কোটি টাকার চিনি গুদামে পড়ে আছে। চিনি বিক্রি না হওয়ায় চাণিদের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তথ্য নিয়ে জানা গেছে ২ ফেব্র”য়ারী রাত ১২ টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৯০৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। মিলের শ্রমিকরা জানায়, প্রতি কেজি চিনি মিলগেটে বিক্রি হয় ৫০ টাকা। মিলগেটের বাইরে বিভিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি। যে কারনে মিলের তালিকাভুক্ত ডিলাররা এ মিলের চিনি কিনতে অপারগতা প্রকাশ করে আসছে। আর চিনি বিক্রি না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে মিলটি। চিনির ডিলারদের বির”দ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে আঁখ চাষীদের বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে স্বারকলিপি পেশ করেছেন আখঁচাষীরা। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি পেশ করেন তারা। এ সময় মোবারকগঞ্জ চিনিকল আখচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহুর”ল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু, কৃষক মিজানুর রহমান, মনির”জ্জামান স্বপন, আক্কাস আলী, আলি আকবর মালিতা, রমজান আলী, আব্দুস সাত্তারসহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন। কৃষক নেতারা বলেন, চলতি অর্থ বছরে কালীগঞ্জের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার আখচাষী মিলের কাছে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা পাবেন। দ্র”ত এ টাকা পরিশোধ করার দাবি জানান তারা। তারা চিনি শিল্পের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও অপসারণের দাবিও জানান।