ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকিতে ৪০ লাখ বংলা ভাষাভাষী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯
  • / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

আজ আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
আজ শনিবারই অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা আসাম এনআরসি। এর প্রায় এক বছর আগে প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। আসাম সরকারের দাবি, সত্যিকারের ভারতীয় নাগরিকদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতেই দীর্ঘ এ সময় নেয়া হয়েছে। তবে এই তালিকার বাইরে রয়েছেন রাজ্যটির ৪১ লাখেরও বেশি মানুষ। তাদের বেশির ভাগই মুসলিম ও বাংলা ভাষায় কথা বলেন। তাদের ভাগ্যে কী আছে তা জানা যাবে আজ শনিবারই। এ নিয়ে ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছে আসামবাসী। এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশকে বলা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের জন্য গুরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় অনলাইনে এই তালিকা দেখা যাবে। এ ছাড়া, রাজ্য সরকারের সেবা কেন্দ্রে গিয়ে এই তালিকা দেখা যাবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে আসাম কর্তৃপক্ষ। গোটা আসামজুড়ে তাই জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। রাজ্যজুড়ে থমথমে অবস্থা। প্রশাসন বারবার করে জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছে। কাশ্মীরের মতো আসামেও দু-দিন আগে থেকে ২০ হাজার বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা অনুযায়ী একসঙ্গে চারজন মানুষের অবস্থান নিষিদ্ধ। এ নিয়ে ভয়াবহ আতঙ্কে দিন পার করছেন আসামের মানুষ। এর আগেও এনআরসির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাজ্যবাসী।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আসামের প্রশাসন টুইটারে রাজ্যের অধিবাসীর কাছে এনআরসি নিয়ে কোনো গুজব না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছে। একই সঙ্গে আর্জি জানানো হয়েছে, কেউ যেন গুজবে কান না দেন। একই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে এই বলে যে, তালিকায় নাম না থাকা মানেই তারা বিদেশি নন। যে সমস্ত অধিবাসীদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় থাকবে না তাদের বিদেশ ট্রাইব্যুনালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবেন। সেই সময়সীমা বাড়িয়ে সম্প্রতি ৬০ দিন থেকে ১২০ দিন করা হয়েছে। এখানে নাম নথিভুক্ত না হলে সেই ব্যক্তি দ্বারস্থ হতে পারেন হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই তালিকাভুক্ত না হওয়া ব্যক্তিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো যাবে না। একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে এইসব ক্যাম্পে কাউকে তিন বছরের বেশি আটকে রাখা যাবে না। তাহলে এই লাখ লাখ মানুষের ভবিষ্যতে কী হবে তা কেউ জানে না। ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝুঁকিতে ৪০ লাখ বংলা ভাষাভাষী

আপলোড টাইম : ১০:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯

আজ আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
আজ শনিবারই অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা আসাম এনআরসি। এর প্রায় এক বছর আগে প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। আসাম সরকারের দাবি, সত্যিকারের ভারতীয় নাগরিকদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতেই দীর্ঘ এ সময় নেয়া হয়েছে। তবে এই তালিকার বাইরে রয়েছেন রাজ্যটির ৪১ লাখেরও বেশি মানুষ। তাদের বেশির ভাগই মুসলিম ও বাংলা ভাষায় কথা বলেন। তাদের ভাগ্যে কী আছে তা জানা যাবে আজ শনিবারই। এ নিয়ে ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছে আসামবাসী। এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশকে বলা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের জন্য গুরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় অনলাইনে এই তালিকা দেখা যাবে। এ ছাড়া, রাজ্য সরকারের সেবা কেন্দ্রে গিয়ে এই তালিকা দেখা যাবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে আসাম কর্তৃপক্ষ। গোটা আসামজুড়ে তাই জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। রাজ্যজুড়ে থমথমে অবস্থা। প্রশাসন বারবার করে জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছে। কাশ্মীরের মতো আসামেও দু-দিন আগে থেকে ২০ হাজার বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা অনুযায়ী একসঙ্গে চারজন মানুষের অবস্থান নিষিদ্ধ। এ নিয়ে ভয়াবহ আতঙ্কে দিন পার করছেন আসামের মানুষ। এর আগেও এনআরসির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাজ্যবাসী।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আসামের প্রশাসন টুইটারে রাজ্যের অধিবাসীর কাছে এনআরসি নিয়ে কোনো গুজব না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছে। একই সঙ্গে আর্জি জানানো হয়েছে, কেউ যেন গুজবে কান না দেন। একই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে এই বলে যে, তালিকায় নাম না থাকা মানেই তারা বিদেশি নন। যে সমস্ত অধিবাসীদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় থাকবে না তাদের বিদেশ ট্রাইব্যুনালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবেন। সেই সময়সীমা বাড়িয়ে সম্প্রতি ৬০ দিন থেকে ১২০ দিন করা হয়েছে। এখানে নাম নথিভুক্ত না হলে সেই ব্যক্তি দ্বারস্থ হতে পারেন হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই তালিকাভুক্ত না হওয়া ব্যক্তিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো যাবে না। একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে এইসব ক্যাম্পে কাউকে তিন বছরের বেশি আটকে রাখা যাবে না। তাহলে এই লাখ লাখ মানুষের ভবিষ্যতে কী হবে তা কেউ জানে না। ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়নি।