ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ৫ নারী ইউএনও সামলাচ্ছেন সংসার-প্রশাসন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০১৯
  • / ২৪১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের ছয় উপজেলার মধ্যে পাঁচটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে এখন নারীরা দায়িত্ব পালন করছেন। শৈলকুপা ব্যতীত সব কটি উপজেলায় নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজ করছেন। নারী ইউএনও হিসেবে প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলার মাদক, শিক্ষা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। প্রায় প্রতিদিনই ছুটছেন নানা সমস্যা সমাধানে, এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। সমস্যার তথ্য নিয়ে করছেন গ্রহণযোগ্য সমাধান। বাল্যবিবাহের খবর পেলে তা বন্ধ করার জন্য মধ্যরাতেও তাঁরা ছুটে যাচ্ছেন ঝিনাইদহের প্রত্যন্ত গ্রামে, করছেন সামাজিক বিচার। দাম্পত্য কলহ মেটাতেও নিচ্ছেন শুনানি। এভাবেই ঝিনাইদহ সদরসহ কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও হরিণাকু-ু উপজেলায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাম্মি ইসলাম। ২৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া শাম্মি ইসলাম বর্তমানে ঝিনাইদহ সদরের ইউএনও হিসেবে কর্মরত। কালীগঞ্জের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুবর্ণা রানী সাহা। ৩০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জে যোগদান করেন। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোটচাঁদপুরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজনীন সুলতানা। ২৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া শাশ্বতী শীল মহেশপুরের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ হরিণাকু-ু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চলতি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে যোগদান করেছেন ৩১তম বিসিএস ক্যাডার সৈয়দা নাফিস সুলতানা। স্বামী, সন্তান, পরিবার-পরিজনসহ নিজের ঘর সামলানোর পাশাপাশি নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই উপজেলা প্রশাসন চালাচ্ছেন দক্ষতার সঙ্গে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম বলেন, ‘নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। আমরা মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি। কাজ করতে বেশ ভালই লাগে।’ মহেশপুরের ইউএনও শাশ্বতী শীল বলেন, ‘নারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি।’ কোটচাঁদপুরের ইউএনও নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘যে কাজেই হাত দিচ্ছি, সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। কাজ করতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।’ কালীগঞ্জের ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, ‘দাপ্তরিক কাজের বাইরে উপজেলার মানুষের এবং তাঁদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে যা করি, খুবই ভালো লাগে।’ হরিণাকু-ু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, ‘ইউএনও হিসেবে আমি নতুন। এখনো সেভাবে বলার সময় আসেনি।’ হরিণাকু-ুকে গড়তে সৈয়দা নাফিস সুলতানা সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে ৫ নারী ইউএনও সামলাচ্ছেন সংসার-প্রশাসন

আপলোড টাইম : ১০:১৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের ছয় উপজেলার মধ্যে পাঁচটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে এখন নারীরা দায়িত্ব পালন করছেন। শৈলকুপা ব্যতীত সব কটি উপজেলায় নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজ করছেন। নারী ইউএনও হিসেবে প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি নিজ নিজ উপজেলার মাদক, শিক্ষা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। প্রায় প্রতিদিনই ছুটছেন নানা সমস্যা সমাধানে, এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। সমস্যার তথ্য নিয়ে করছেন গ্রহণযোগ্য সমাধান। বাল্যবিবাহের খবর পেলে তা বন্ধ করার জন্য মধ্যরাতেও তাঁরা ছুটে যাচ্ছেন ঝিনাইদহের প্রত্যন্ত গ্রামে, করছেন সামাজিক বিচার। দাম্পত্য কলহ মেটাতেও নিচ্ছেন শুনানি। এভাবেই ঝিনাইদহ সদরসহ কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও হরিণাকু-ু উপজেলায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাম্মি ইসলাম। ২৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া শাম্মি ইসলাম বর্তমানে ঝিনাইদহ সদরের ইউএনও হিসেবে কর্মরত। কালীগঞ্জের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুবর্ণা রানী সাহা। ৩০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জে যোগদান করেন। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কোটচাঁদপুরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজনীন সুলতানা। ২৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া শাশ্বতী শীল মহেশপুরের ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বশেষ হরিণাকু-ু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চলতি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে যোগদান করেছেন ৩১তম বিসিএস ক্যাডার সৈয়দা নাফিস সুলতানা। স্বামী, সন্তান, পরিবার-পরিজনসহ নিজের ঘর সামলানোর পাশাপাশি নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই উপজেলা প্রশাসন চালাচ্ছেন দক্ষতার সঙ্গে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম বলেন, ‘নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। আমরা মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি। কাজ করতে বেশ ভালই লাগে।’ মহেশপুরের ইউএনও শাশ্বতী শীল বলেন, ‘নারী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি।’ কোটচাঁদপুরের ইউএনও নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘যে কাজেই হাত দিচ্ছি, সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। কাজ করতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।’ কালীগঞ্জের ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, ‘দাপ্তরিক কাজের বাইরে উপজেলার মানুষের এবং তাঁদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে যা করি, খুবই ভালো লাগে।’ হরিণাকু-ু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, ‘ইউএনও হিসেবে আমি নতুন। এখনো সেভাবে বলার সময় আসেনি।’ হরিণাকু-ুকে গড়তে সৈয়দা নাফিস সুলতানা সবার সহযোগিতা কামনা করেন।