ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ধর্ষণের পৃথক ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৯
  • / ২০১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্স হোসেন ও নয়ন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার হাসিলবাগ গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতার মা জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর তাঁর মেয়ে বাড়ি থেকে পাশের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়। এ সময় রাস্তায় ওত পেতে থাকা হাসিলবাগ গ্রামের প্রিন্স, নয়নসহ তিনজন তার মুখ চেপে ধরে একটি কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পুকুরের পানিতে ফেলে দেন। ঘটনাটি গ্রামের এক ব্যক্তি দেখে ফেললে ধর্ষকেরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে মেয়েটির স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতার পিতা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত প্রিন্স ও নয়নকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে, ঝিনাইদহ পৌর এলাকার খাজুরা গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে রুহুল আমিন নামের আরও এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামে আসামির মামা শিমুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার তিন আসামিকেই পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন গণধর্ষণ মামলার মূল হোতা খাজুরা গ্রামের মৃত মনতেজ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া, জাফর আলীর ছেলে মন্নু মিয়া ও মন্টুর ছেলে রুহুল আমিন। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬-এর ই-মেইল বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ আগস্ট ঈদুল আজহার দিন ঝিনাইদহ শহরের মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তিনজন মিলে গণধর্ষণ করেন। ঘটনার দুই দিন পর ধর্ষক মন্নুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গত বুধবার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এ মামলার প্রধান হোতা বাদশা মিয়া। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন রুহুল আমিন।
ঝিনাইদহ র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামে আসামির মামা শিমুলে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর গতকাল দুপুরে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশের কাছে আসামি রুহুলকে হস্তান্তর করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে ধর্ষণের পৃথক ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

আপলোড টাইম : ১০:১৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্স হোসেন ও নয়ন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার হাসিলবাগ গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতার মা জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর তাঁর মেয়ে বাড়ি থেকে পাশের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়। এ সময় রাস্তায় ওত পেতে থাকা হাসিলবাগ গ্রামের প্রিন্স, নয়নসহ তিনজন তার মুখ চেপে ধরে একটি কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পুকুরের পানিতে ফেলে দেন। ঘটনাটি গ্রামের এক ব্যক্তি দেখে ফেললে ধর্ষকেরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে মেয়েটির স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতার পিতা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত প্রিন্স ও নয়নকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে, ঝিনাইদহ পৌর এলাকার খাজুরা গ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে রুহুল আমিন নামের আরও এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামে আসামির মামা শিমুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ ও র‌্যাব অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার তিন আসামিকেই পর্যায়ক্রমে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন গণধর্ষণ মামলার মূল হোতা খাজুরা গ্রামের মৃত মনতেজ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া, জাফর আলীর ছেলে মন্নু মিয়া ও মন্টুর ছেলে রুহুল আমিন। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬-এর ই-মেইল বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ আগস্ট ঈদুল আজহার দিন ঝিনাইদহ শহরের মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তিনজন মিলে গণধর্ষণ করেন। ঘটনার দুই দিন পর ধর্ষক মন্নুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গত বুধবার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এ মামলার প্রধান হোতা বাদশা মিয়া। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন রুহুল আমিন।
ঝিনাইদহ র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামে আসামির মামা শিমুলে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর গতকাল দুপুরে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশের কাছে আসামি রুহুলকে হস্তান্তর করা হয়।