ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ঢাবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ক্ষমা চেয়ে ঘুষের টাকা ফেরৎ দিলেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে

ASI-Tohidur-Rahman-Pic-jhenঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিনা অপরাধে থানা হাজতে ২২ ঘণ্টা আটকে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলমের ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশের এএসআই তৌহিদুর রহমান। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, নিউজপোর্টাল, ফেসবুকে ঝড়ের বেগে এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়।  পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে তার বাবার কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত দেন তৌহিদ। তবে পুলিশের  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।  জানা গেছে, পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে এএসআই তৌহিদুর রহমান বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রথমে জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারকে ভয়ভীতিও দেখানো হয়। কিন্তু ওই ছাত্রের পরিবার শক্ত অবস্থানে থাকার কারণে পরে তেমন কোনও সুবিধা করতে পারিন নি তিনি। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধরণা দিয়ে ঘুষের টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টির সমাধান করেন। এ ব্যাপারে ঢাবি শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের বাবা মিরাজুল ইসলাম জানান, ‘খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দারোগা বিভিন্ন স্থানে দেনদরবার শুরু করেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার সাহেবের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়। দারোগা আমার ছেলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। এ সময় ঘুষের টাকাও ফেরত দেন এএসআই তৌহিদ। এজন্য আমি দেশের মিডিয়া ও সাংবাদিক সমাজের কাছে কৃতজ্ঞ ও সন্তুষ্ট। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার বলেন, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া একটি মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য তাকে পুলিশ আটক করেছিল। হয়ত সামান্য মারপিট করেছে এবং মেয়েটিও উদ্ধার হয়েছে। উভয় পক্ষকে এক জায়গায় করে বিষয়টির সমাধান করে দিয়েছি।’  উলে¬খ্য গত ২৮ সেপ্টম্বর ঢাবি ছাত্র জাহাঙ্গীর আলমকে কোন কারণ ছাড়াই আটক করে বাঁশকল দিয়ে নির্যাতন করেন কালীগঞ্জ থানার এএসআই তৌহিদুর রহমান। এরপর ঘুষ নিয়ে ২২ ঘন্টা পর তাকে ছেড়ে দেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে ঢাবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ক্ষমা চেয়ে ঘুষের টাকা ফেরৎ দিলেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা

আপলোড টাইম : ০১:৫৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬

ASI-Tohidur-Rahman-Pic-jhenঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিনা অপরাধে থানা হাজতে ২২ ঘণ্টা আটকে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলমের ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশের এএসআই তৌহিদুর রহমান। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, নিউজপোর্টাল, ফেসবুকে ঝড়ের বেগে এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়।  পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে তার বাবার কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত দেন তৌহিদ। তবে পুলিশের  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।  জানা গেছে, পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে এএসআই তৌহিদুর রহমান বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রথমে জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারকে ভয়ভীতিও দেখানো হয়। কিন্তু ওই ছাত্রের পরিবার শক্ত অবস্থানে থাকার কারণে পরে তেমন কোনও সুবিধা করতে পারিন নি তিনি। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধরণা দিয়ে ঘুষের টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টির সমাধান করেন। এ ব্যাপারে ঢাবি শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের বাবা মিরাজুল ইসলাম জানান, ‘খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দারোগা বিভিন্ন স্থানে দেনদরবার শুরু করেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার সাহেবের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান হয়। দারোগা আমার ছেলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। এ সময় ঘুষের টাকাও ফেরত দেন এএসআই তৌহিদ। এজন্য আমি দেশের মিডিয়া ও সাংবাদিক সমাজের কাছে কৃতজ্ঞ ও সন্তুষ্ট। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার বলেন, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া একটি মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য তাকে পুলিশ আটক করেছিল। হয়ত সামান্য মারপিট করেছে এবং মেয়েটিও উদ্ধার হয়েছে। উভয় পক্ষকে এক জায়গায় করে বিষয়টির সমাধান করে দিয়েছি।’  উলে¬খ্য গত ২৮ সেপ্টম্বর ঢাবি ছাত্র জাহাঙ্গীর আলমকে কোন কারণ ছাড়াই আটক করে বাঁশকল দিয়ে নির্যাতন করেন কালীগঞ্জ থানার এএসআই তৌহিদুর রহমান। এরপর ঘুষ নিয়ে ২২ ঘন্টা পর তাকে ছেড়ে দেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।