ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে জন্ম জয়ন্তী উৎসব শুরু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০১৭
  • / ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

Jhenidah-pagla-kanai-Photo-ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মরমী লোক কবি পাগলা কানাইয়ের ২০৭ তম জন্ম জয়ন্তী আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষ্যে বেড়বাড়ি গ্রামে পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ তিনদিন ব্যাপী বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সকাল ১০টায় কবির নিজ গ্রাম বেড়বাড়িতে প্রধান অতিথি হিসেবে জন্ম উৎসবের উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার। এছাড়া কবির মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পন, মিলাদ মাহফিল, লাঠি খেলা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও কবি রচিত সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১১ মার্চ এই অনুষ্ঠান শেষ হবে। অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আবু ইউসুফ মো রেজাউর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, গবেষক এড. মীর সাখাওয়াত হোসেন ও আক্কাস আলী উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন পাগলাকানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ। উল্লেখ্য লোক-সাধনা ও মরমী সঙ্গীতের এ কবি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামে বাংলা ১২১৬ সালের ২৫ ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ় তিনি উন্তেকাল করেন। ইতিহাস থেকে জানা গেছে,  ছোটবেলা থেকেই তিনি দূরন্ত ও আধ্যাত্মিক স্বভাবের ছিলেন। বাল্যকালে পিতৃহারা পাগলা কানাই-এর ঘরে মন না টেকায় অর্থের অভাবে পড়ালেখা হয়নি। তিনি মানুষের বাড়ি রাখালের কাজ করেছেন। গরু চরাতে গিয়ে ধুয়ো জারি গান গাইতেন। নিরক্ষর হলেও তার স্মৃতি, মেধা ছিল প্রখর। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গান রচনা করে নিজ কন্ঠে পরিবেশন করতেন। তার সঙ্গীতে যেমন ইসলাম ধর্মের তত্বকে প্রচার করেছেন তেমনি হিন্দু-পুরান রামায়ণ ও মহাভারত থেকেও নানা উপমার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। এ কারণেই তার গান সর্বজনীনতা লাভ করে। তার মধ্যে বাউল ও কবিয়াল এ দুয়ের যথার্থ মিলন ঘটেছে। পাগলাকানাই-এর গান গ্রামগঞ্জে আজও টিকে আছে। পাগলাকানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জানান, কবির জন্মজয়ন্তী পালন করতে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে জন্ম জয়ন্তী উৎসব শুরু

আপলোড টাইম : ০৪:৪৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০১৭

Jhenidah-pagla-kanai-Photo-ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মরমী লোক কবি পাগলা কানাইয়ের ২০৭ তম জন্ম জয়ন্তী আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষ্যে বেড়বাড়ি গ্রামে পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ তিনদিন ব্যাপী বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সকাল ১০টায় কবির নিজ গ্রাম বেড়বাড়িতে প্রধান অতিথি হিসেবে জন্ম উৎসবের উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার। এছাড়া কবির মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পন, মিলাদ মাহফিল, লাঠি খেলা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও কবি রচিত সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১১ মার্চ এই অনুষ্ঠান শেষ হবে। অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আবু ইউসুফ মো রেজাউর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, গবেষক এড. মীর সাখাওয়াত হোসেন ও আক্কাস আলী উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন পাগলাকানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ। উল্লেখ্য লোক-সাধনা ও মরমী সঙ্গীতের এ কবি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামে বাংলা ১২১৬ সালের ২৫ ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ় তিনি উন্তেকাল করেন। ইতিহাস থেকে জানা গেছে,  ছোটবেলা থেকেই তিনি দূরন্ত ও আধ্যাত্মিক স্বভাবের ছিলেন। বাল্যকালে পিতৃহারা পাগলা কানাই-এর ঘরে মন না টেকায় অর্থের অভাবে পড়ালেখা হয়নি। তিনি মানুষের বাড়ি রাখালের কাজ করেছেন। গরু চরাতে গিয়ে ধুয়ো জারি গান গাইতেন। নিরক্ষর হলেও তার স্মৃতি, মেধা ছিল প্রখর। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গান রচনা করে নিজ কন্ঠে পরিবেশন করতেন। তার সঙ্গীতে যেমন ইসলাম ধর্মের তত্বকে প্রচার করেছেন তেমনি হিন্দু-পুরান রামায়ণ ও মহাভারত থেকেও নানা উপমার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। এ কারণেই তার গান সর্বজনীনতা লাভ করে। তার মধ্যে বাউল ও কবিয়াল এ দুয়ের যথার্থ মিলন ঘটেছে। পাগলাকানাই-এর গান গ্রামগঞ্জে আজও টিকে আছে। পাগলাকানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জানান, কবির জন্মজয়ন্তী পালন করতে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।