ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ইউনিয়ন ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৩১৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের ৪নং হলিধানি ইউনিয়নের এলজিইডি ইউনিয়ন কমপে¬ক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজের শুরুতে নির্মাণ সামগ্রী নি¤œমানের বলে ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার সচেতন মহল সংশি¬ষ্ট এলজিইডির প্রকৌশলীর নিকট অভিযোগ করে আসছে। বার বার অভিযোগ করলেও মালামাল পরিবর্তন না করে নি¤œমানের মালামাল দিয়েই কাজ করতে থাকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, ভবনটি নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে ৯০ লাখ ২৫ হাজার ৪ শত ৫২ টাকা এবং ভবনটি নির্মাণ চুক্তিতে মঈন উদ্দিন বাসী নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১০/০২/২০১৮ নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় জনসাধারনের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই ভবনের জানালা দরজা নির্মাণের জন্য যে সকল আসবাব পত্র (দরজার ও জানালার ফ্রেম) আনা হয়েছে তা অসারি মেহগনি কাঠের। এছাড়াও দেখা যায় নি¤œমানের ইটের রাবিশ, খোয়া, জং ধরা রড, বালু পড়ে আছে। এসমস্ত জিনিস অনেকগুলি ভবনে ব্যবহার করা হয়েছে।
৪নং হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, ভবনটি নির্মাণ কাজে খুবই নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেছে। জয়পুরহাটের বালি সামনে রেখে ধুলো বালি দিয়ে ঢালাই দিচ্ছে। দুই কড়াই বালি এক কড়াই পাথরের কুচি দিয়ে ঢালাই দেবার কথা থাকলেও, রিলিফের চাল দিতে গেছি আর সেই ফাঁকে শুধু বালি দিয়ে ঢালাই দিয়েছে। ছাদ ঢালাই দেয়া হয়েছে নি¤œমানের ইটের খোয়া দিয়ে। এর আগে দুই ট্রাক বালি রিজেক্ট করে দিয়েছি। নন গ্রেড রড়, নি¤œমানের সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই দিচ্ছিলো আমি ইঞ্জিনিয়ারকে নিষেধ করেছি। ভবনের জানালা, দরজার কাজে যে কাঠগুলো ব্যবহার করছে তা খুবই বাজে কাঠ। এ ধরনের নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ হলে বেশি দিন টেকশই হবে না। এর একটা তদন্ত হওয়া উচিত।
এই বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসের কাজের সাথে সংশি¬ষ্ট প্রকৌশলী মাহাবুর রহমান বলেন, আমি ওই নি¤œমানের আসবারপত্র ভবনে ব্যবহার করতে দেব না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আহামেদ সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটা জানি না বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে ইউনিয়ন ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ!

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের ৪নং হলিধানি ইউনিয়নের এলজিইডি ইউনিয়ন কমপে¬ক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজের শুরুতে নির্মাণ সামগ্রী নি¤œমানের বলে ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার সচেতন মহল সংশি¬ষ্ট এলজিইডির প্রকৌশলীর নিকট অভিযোগ করে আসছে। বার বার অভিযোগ করলেও মালামাল পরিবর্তন না করে নি¤œমানের মালামাল দিয়েই কাজ করতে থাকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, ভবনটি নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে ৯০ লাখ ২৫ হাজার ৪ শত ৫২ টাকা এবং ভবনটি নির্মাণ চুক্তিতে মঈন উদ্দিন বাসী নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১০/০২/২০১৮ নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় জনসাধারনের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই ভবনের জানালা দরজা নির্মাণের জন্য যে সকল আসবাব পত্র (দরজার ও জানালার ফ্রেম) আনা হয়েছে তা অসারি মেহগনি কাঠের। এছাড়াও দেখা যায় নি¤œমানের ইটের রাবিশ, খোয়া, জং ধরা রড, বালু পড়ে আছে। এসমস্ত জিনিস অনেকগুলি ভবনে ব্যবহার করা হয়েছে।
৪নং হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, ভবনটি নির্মাণ কাজে খুবই নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেছে। জয়পুরহাটের বালি সামনে রেখে ধুলো বালি দিয়ে ঢালাই দিচ্ছে। দুই কড়াই বালি এক কড়াই পাথরের কুচি দিয়ে ঢালাই দেবার কথা থাকলেও, রিলিফের চাল দিতে গেছি আর সেই ফাঁকে শুধু বালি দিয়ে ঢালাই দিয়েছে। ছাদ ঢালাই দেয়া হয়েছে নি¤œমানের ইটের খোয়া দিয়ে। এর আগে দুই ট্রাক বালি রিজেক্ট করে দিয়েছি। নন গ্রেড রড়, নি¤œমানের সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই দিচ্ছিলো আমি ইঞ্জিনিয়ারকে নিষেধ করেছি। ভবনের জানালা, দরজার কাজে যে কাঠগুলো ব্যবহার করছে তা খুবই বাজে কাঠ। এ ধরনের নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ হলে বেশি দিন টেকশই হবে না। এর একটা তদন্ত হওয়া উচিত।
এই বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসের কাজের সাথে সংশি¬ষ্ট প্রকৌশলী মাহাবুর রহমান বলেন, আমি ওই নি¤œমানের আসবারপত্র ভবনে ব্যবহার করতে দেব না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আহামেদ সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটা জানি না বিষয়টি খতিয়ে দেখব।