ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে আদম ব্যবসায়ী টিটোর খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত অনেকে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫০ বার পড়া হয়েছে

সাইফুল ইসলাম:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফের ছেলে আলোচিত আদম ব্যবসায়ী নাম শাহিনুর রহমান টিটোর খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছে অনেক পরিবার বলে অভিযোগ উঠেছে। শত শত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই টিটোর বিরুদ্ধে। তাঁর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে অনেকের সাগরে পানিতে সলিল সমাধি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গাড়ামারা গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে হাফিজুল জানান, ‘টিটো আমার ছোট্ট ভাই সাজেদুরকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যেয়ে ভাল চাকুরি দেবে বলে প্রথম কিস্তিতে ৫০ হাজার এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এর কিছুদিন পর ভিসা এসেছে জানিয়ে টিকিট বুকিং-এর নামে আরও ৮০ হাজার টাকা নেয় সে। এভাবে সর্বমোট ২ লাখ ৩০ হাজার নেয়। কিন্তু আজও আমার ভাই বিদেশ যেতে পারেনি। আমিও টাকা ফেরত পায়নি।’
কালীগঞ্জ উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল আজিজ জানান, ‘আমার ছেলেকে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা দিই। তারপরে টিটো আরও টাকা চাইলে ইউসিবি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা ও পরে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিই। তবে সে আজ অবধি আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে পারিনি টিটো। আমি আজও টাকাও ফেরত পায়নি।’
ঝিনাইদহ শহরের ব্যপারীপাড়ার আবুল হোসেন সড়কে বসবাসরত আব্দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘টিটো আমাকে বিগত ৮ বছর পূর্বে ইরাকে পাঠানোর কথা বলে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা, পরের কিস্তিতে ইউসিবি ব্যাংকের ম্যধামে ১ লক্ষ টাকাসহ মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন। সে আজ অবধি আমাকে ইরাকে পাঠাতে পারেনি। আমি আজও টাকা ফেরত পায়নি।’
জারগ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘টিটো বিদেশে পাঠানোর নাম করে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উপরের ভুক্তভোগী ৫জনই গত বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ থানায় টিটোর নামে অভিযোগ দায়ের করেছে।’
এবিষয়ে টিটোর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হক টিটোর বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ পেয়েছি।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নিকট এই ধরনের অভিযোগ আসলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে আদম ব্যবসায়ী টিটোর খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত অনেকে!

আপলোড টাইম : ১০:৪২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০

সাইফুল ইসলাম:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফের ছেলে আলোচিত আদম ব্যবসায়ী নাম শাহিনুর রহমান টিটোর খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছে অনেক পরিবার বলে অভিযোগ উঠেছে। শত শত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই টিটোর বিরুদ্ধে। তাঁর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে অনেকের সাগরে পানিতে সলিল সমাধি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গাড়ামারা গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে হাফিজুল জানান, ‘টিটো আমার ছোট্ট ভাই সাজেদুরকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যেয়ে ভাল চাকুরি দেবে বলে প্রথম কিস্তিতে ৫০ হাজার এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এর কিছুদিন পর ভিসা এসেছে জানিয়ে টিকিট বুকিং-এর নামে আরও ৮০ হাজার টাকা নেয় সে। এভাবে সর্বমোট ২ লাখ ৩০ হাজার নেয়। কিন্তু আজও আমার ভাই বিদেশ যেতে পারেনি। আমিও টাকা ফেরত পায়নি।’
কালীগঞ্জ উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল আজিজ জানান, ‘আমার ছেলেকে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা দিই। তারপরে টিটো আরও টাকা চাইলে ইউসিবি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা ও পরে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিই। তবে সে আজ অবধি আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে পারিনি টিটো। আমি আজও টাকাও ফেরত পায়নি।’
ঝিনাইদহ শহরের ব্যপারীপাড়ার আবুল হোসেন সড়কে বসবাসরত আব্দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘টিটো আমাকে বিগত ৮ বছর পূর্বে ইরাকে পাঠানোর কথা বলে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা, পরের কিস্তিতে ইউসিবি ব্যাংকের ম্যধামে ১ লক্ষ টাকাসহ মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন। সে আজ অবধি আমাকে ইরাকে পাঠাতে পারেনি। আমি আজও টাকা ফেরত পায়নি।’
জারগ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘টিটো বিদেশে পাঠানোর নাম করে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উপরের ভুক্তভোগী ৫জনই গত বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ থানায় টিটোর নামে অভিযোগ দায়ের করেছে।’
এবিষয়ে টিটোর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হক টিটোর বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ পেয়েছি।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নিকট এই ধরনের অভিযোগ আসলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি।