ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
৩৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর : আটক ৩ : লুট আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন এলাকার মানুষ
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারপিট ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার ভোর ৬টার দিকে উমেদপুর ইউনিয়নের লক্ষণদিয়ায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উমেদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাব্দার মোল্লার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে রোববার সকালে বাবুলের নেতৃত্বে কর্মী সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে লক্ষণদিয়া, ইব্রাহিমপুর ও কদমতলা গ্রামে সাব্দার মোল্লার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে প্রায় ৩৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে শৈলকুপা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় ওই গ্রামের সোহরাব মুন্সী, শরিফুল ইসলাম, রাসেল মুন্সী, মাসুদ শেখ, করিম শেখ, বাদল শেখ, লিটন শেখ, ফজো শেখ, মধু শেখ, মোজাম্মেল হক মোল্লা, ইদ্রিস আলী, রবিউল ইসলাম, শমসের মোল্লা, জাবেদ মোল্লা, মেছের মোল্লা, শরিফুল ইসলাম মোল্লা, ইসলাম শেখ, মোশাররফ শেখ, সাইদুর রহমান, রানা হোসেন, নজরুল শেখসহ ৩৫ জনের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এঘটনায় লুট আতঙ্কে গরু-ছাগল, মালামাল নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন এলাকার মানুষ।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাব্দার হোসেন মোল্লা ও পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেপি নেতা মিজানুর রহমান বাবুলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। গত শনিবার সন্ধ্যায় মিজানুর রহমান বাবুলের সমর্থক বেস্টপুর গ্রামের জাবেদ ম-ল পাশের লক্ষণদিয়া গ্রামের মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বেস্টপুর গ্রামের মিজানুর রহমান বাবুলের সমর্থকরা একজোট হয় এবং গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবুল মে¤॥^রের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসঁটা নিয়ে লক্ষণদিয়া গ্রামে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় সাব্দার হোসেন মোল্লার সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আপলোড টাইম : ০৪:৪৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
৩৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর : আটক ৩ : লুট আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন এলাকার মানুষ
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারপিট ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার ভোর ৬টার দিকে উমেদপুর ইউনিয়নের লক্ষণদিয়ায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উমেদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাব্দার মোল্লার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে রোববার সকালে বাবুলের নেতৃত্বে কর্মী সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে লক্ষণদিয়া, ইব্রাহিমপুর ও কদমতলা গ্রামে সাব্দার মোল্লার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে প্রায় ৩৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে শৈলকুপা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় ওই গ্রামের সোহরাব মুন্সী, শরিফুল ইসলাম, রাসেল মুন্সী, মাসুদ শেখ, করিম শেখ, বাদল শেখ, লিটন শেখ, ফজো শেখ, মধু শেখ, মোজাম্মেল হক মোল্লা, ইদ্রিস আলী, রবিউল ইসলাম, শমসের মোল্লা, জাবেদ মোল্লা, মেছের মোল্লা, শরিফুল ইসলাম মোল্লা, ইসলাম শেখ, মোশাররফ শেখ, সাইদুর রহমান, রানা হোসেন, নজরুল শেখসহ ৩৫ জনের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এঘটনায় লুট আতঙ্কে গরু-ছাগল, মালামাল নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন এলাকার মানুষ।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাব্দার হোসেন মোল্লা ও পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেপি নেতা মিজানুর রহমান বাবুলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। গত শনিবার সন্ধ্যায় মিজানুর রহমান বাবুলের সমর্থক বেস্টপুর গ্রামের জাবেদ ম-ল পাশের লক্ষণদিয়া গ্রামের মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বেস্টপুর গ্রামের মিজানুর রহমান বাবুলের সমর্থকরা একজোট হয় এবং গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবুল মে¤॥^রের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসঁটা নিয়ে লক্ষণদিয়া গ্রামে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় সাব্দার হোসেন মোল্লার সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।