ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জোরপূর্বক দখল নেওয়ায় চেষ্টা ব্যর্থ : উত্তেজনা : পুলিশের হস্তক্ষেপ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর শহরে বিচারাধীন বিতর্কিত জমি বিবাদী পক্ষের অন্যত্র বিক্রি
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর শহরের কোর্ট এলাকায় বিচারাধীন একটি বিতর্কিত জমি বিবাদী পক্ষ অন্যত্র বিক্রি করে জোরপূর্বক দখল নেওয়ায় চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে রাতে উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করেছে পুলিশ। তবে সিদ্ধান্ত ছাড়াই আলোচনা সভা শেষ হওয়ায় পুলিশ আগামী মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত সময় নিয়েছে এবং ততক্ষণ পর্যন্ত উভয় পক্ষকে জমিতে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
জানা যায়, মেহেরপুর শহরের কোর্টপাড়া এলাকার আরএস ২৫৩৪ নং দাগের ৩৫ শতক জমির দখল নিয়ে মেহেরপুর আদালতে মামলা চলছে। যার মামলা নং দেওয়ানী ১৩৭/২০০৩। ওই জমির বাদী হলেন- শহরের কোর্টপাড়ার এনামুল হক গং এবং বিবাদী হলেন একই পাড়ার আছলিমা গং। বাদী এনামুল হক জানান বিবাদী আছলিমা বিতর্কিত ওই জমি গোপনে মেহেরপুর জেলা পরিষদের কর্মচারী শাহীন ও তার শ্বশুর উপজেলা মসজিদের মোয়াজ্জেম হাজি আমরুর কাছে বিক্রি কবলা করে। গতকাল বোরবার সকালে বিবাদী আছলিমা ক্রেতা শাহীন ও তার শ্বশুর হাজি আমরুর সহযোগিতায় ওই জমিতে জোর পূর্বক পাঁচিল দেয়। বাদি পক্ষ পুলিশের সহযোগিতা কামনা করলে বিবাদী পক্ষ সটকে পড়ে। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।
এদিকে বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতরাতে পুলিশ সুপারের পক্ষে ডিবি পুলিশ উভয় পক্ষকে তলব করে। কিন্তু উভয় পক্ষ দাবি মানতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ সভা মুলতবি করে আগামী মাসে ১৩ তারিখ আবারো সালিস সভার দিন ধার্য্য করেন। ততক্ষণ উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
বাদী এনামুল হক জানান, সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে তার প্রতিপক্ষ তাদের জমি বিক্রি করে দখল নেওয়ার চেষ্ঠা করেছে। তিনি আরো বলেন- জমিটির কেস চলছে আদালতে।
জমিটির ক্রেতা শাহীন ও তার শ্বশুর হাজি আমরুর জানান, জমি দখলে আমরা ছিলাম না। তবে তারা দাবি করেছেন বিক্রেতা জমির বিবাদী আছলিমা তার লোকজন নিয়ে পাঁচিল দিয়ে জমি দখলে নিলেও বাদি এনামুল হক ও তার লোকজন জমির পাঁচিল ভেঙে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বাদী এনামুলের ভাই বাবর জানান, পুলিশ আসার আগেই বিবাদী পক্ষ নিজের দেওয়া পাচিল নিজেরা ভেঙে দিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাবার অপচেষ্টা করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জোরপূর্বক দখল নেওয়ায় চেষ্টা ব্যর্থ : উত্তেজনা : পুলিশের হস্তক্ষেপ

আপলোড টাইম : ১০:১৩:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

মেহেরপুর শহরে বিচারাধীন বিতর্কিত জমি বিবাদী পক্ষের অন্যত্র বিক্রি
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর শহরের কোর্ট এলাকায় বিচারাধীন একটি বিতর্কিত জমি বিবাদী পক্ষ অন্যত্র বিক্রি করে জোরপূর্বক দখল নেওয়ায় চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে রাতে উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করেছে পুলিশ। তবে সিদ্ধান্ত ছাড়াই আলোচনা সভা শেষ হওয়ায় পুলিশ আগামী মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত সময় নিয়েছে এবং ততক্ষণ পর্যন্ত উভয় পক্ষকে জমিতে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
জানা যায়, মেহেরপুর শহরের কোর্টপাড়া এলাকার আরএস ২৫৩৪ নং দাগের ৩৫ শতক জমির দখল নিয়ে মেহেরপুর আদালতে মামলা চলছে। যার মামলা নং দেওয়ানী ১৩৭/২০০৩। ওই জমির বাদী হলেন- শহরের কোর্টপাড়ার এনামুল হক গং এবং বিবাদী হলেন একই পাড়ার আছলিমা গং। বাদী এনামুল হক জানান বিবাদী আছলিমা বিতর্কিত ওই জমি গোপনে মেহেরপুর জেলা পরিষদের কর্মচারী শাহীন ও তার শ্বশুর উপজেলা মসজিদের মোয়াজ্জেম হাজি আমরুর কাছে বিক্রি কবলা করে। গতকাল বোরবার সকালে বিবাদী আছলিমা ক্রেতা শাহীন ও তার শ্বশুর হাজি আমরুর সহযোগিতায় ওই জমিতে জোর পূর্বক পাঁচিল দেয়। বাদি পক্ষ পুলিশের সহযোগিতা কামনা করলে বিবাদী পক্ষ সটকে পড়ে। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।
এদিকে বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতরাতে পুলিশ সুপারের পক্ষে ডিবি পুলিশ উভয় পক্ষকে তলব করে। কিন্তু উভয় পক্ষ দাবি মানতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ সভা মুলতবি করে আগামী মাসে ১৩ তারিখ আবারো সালিস সভার দিন ধার্য্য করেন। ততক্ষণ উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
বাদী এনামুল হক জানান, সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে তার প্রতিপক্ষ তাদের জমি বিক্রি করে দখল নেওয়ার চেষ্ঠা করেছে। তিনি আরো বলেন- জমিটির কেস চলছে আদালতে।
জমিটির ক্রেতা শাহীন ও তার শ্বশুর হাজি আমরুর জানান, জমি দখলে আমরা ছিলাম না। তবে তারা দাবি করেছেন বিক্রেতা জমির বিবাদী আছলিমা তার লোকজন নিয়ে পাঁচিল দিয়ে জমি দখলে নিলেও বাদি এনামুল হক ও তার লোকজন জমির পাঁচিল ভেঙে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বাদী এনামুলের ভাই বাবর জানান, পুলিশ আসার আগেই বিবাদী পক্ষ নিজের দেওয়া পাচিল নিজেরা ভেঙে দিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাবার অপচেষ্টা করছে।