ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবিত নবজাতককেই পানিতে ফেলা হয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০১৯
  • / ২৯৯ বার পড়া হয়েছে

গাংনীতে পুকুর পাড় থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা

গাংনী অফিস:
একদিকে মেয়ে সন্তান অন্যদিকে পরকিয়া। আগের দু’টি মেয়ে সন্তান আছে আবারো মেয়ে সন্তান! তাও আবার তালাক দেওয়ার আড়াই বছর পর সন্তান। পরকিয়ায় জড়িত প্রাক্তন স্বামী শফিও মেরে ফেলার যুক্তি দেয়। কারণ এ মেয়ের দায়িত্ব সে নেবে না। ফলে তরতাজা নিষ্পাপ শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় পানিতে ফেলে আসে পরিবারটি। ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের। গত ২৭ মে সোমবার সকাল সকালে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল ধানখোলা গ্রামের বাজারপাড়াস্থ জনৈক মুন্নাফ মিয়ার পুকুর পাড় থেকে একটি নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে। সেই লাশের গল্প চলছিলো এতো সময়। কমেলা খাতুন ও শফির এ ঘটনা প্রচার হতেই পরকিয়া প্রেমিক আলমসাধু চালক শফিউদ্দীন এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। পালানোর চেষ্টা করছে কমেলা খাতুনও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত খোকন হোসেনের স্ত্রী কমেলা খাতুনের সাথে দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হয়েছিলেন প্রতিবেশি ছাত্তার হোসেনের ছেলে শফি উদ্দীন। কিন্ত কিছুদিন যেতে না যেতে বিবাহ বিচ্ছেদে রূপ নেয়। আড়াই বছর আগে তালাক হয় তাদের। তবে তালাক হলেও তাদের শারীরিক সর্ম্পক চলমান ছিলো বলে দাবি করেন কমেলা খাতুন।
কমেলা খাতুন জানান, ‘তালাকের পরে আমাদের সম্পর্ক ঠিক ছিলো। কিছুদিন আগে যখন আমি বুঝতে পারি আমার পেটে তার সন্তান রয়েছে। আমি তাকে জানালে সে সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে। পরে শফিসহ কয়েকজনের যুক্তিতে মেয়ে সন্তান হওয়ায় আমরা তাকে বাজারের পুকুর পাড়ে ফেলে আসি। যাতে উত্তরপাড়ার লোকজন বিষয়টি টের না পায়।’ এদিকে, এ ঘটনায় এলাকায় প্রচার হওয়ার সাথে শফি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে। শফির সাথে যোগাযোগ করা হলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। কোনো অবৈধ সর্ম্পকের ফসল হিসেবে এ ঘটনাটি ঘটেছে, এটা আগেই আমরা সন্দেহ করেছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে আমরা আসামী যেকোন সময়ে আটক করব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবিত নবজাতককেই পানিতে ফেলা হয়

আপলোড টাইম : ১১:১৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০১৯

গাংনীতে পুকুর পাড় থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা

গাংনী অফিস:
একদিকে মেয়ে সন্তান অন্যদিকে পরকিয়া। আগের দু’টি মেয়ে সন্তান আছে আবারো মেয়ে সন্তান! তাও আবার তালাক দেওয়ার আড়াই বছর পর সন্তান। পরকিয়ায় জড়িত প্রাক্তন স্বামী শফিও মেরে ফেলার যুক্তি দেয়। কারণ এ মেয়ের দায়িত্ব সে নেবে না। ফলে তরতাজা নিষ্পাপ শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় পানিতে ফেলে আসে পরিবারটি। ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের। গত ২৭ মে সোমবার সকাল সকালে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল ধানখোলা গ্রামের বাজারপাড়াস্থ জনৈক মুন্নাফ মিয়ার পুকুর পাড় থেকে একটি নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে। সেই লাশের গল্প চলছিলো এতো সময়। কমেলা খাতুন ও শফির এ ঘটনা প্রচার হতেই পরকিয়া প্রেমিক আলমসাধু চালক শফিউদ্দীন এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। পালানোর চেষ্টা করছে কমেলা খাতুনও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত খোকন হোসেনের স্ত্রী কমেলা খাতুনের সাথে দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হয়েছিলেন প্রতিবেশি ছাত্তার হোসেনের ছেলে শফি উদ্দীন। কিন্ত কিছুদিন যেতে না যেতে বিবাহ বিচ্ছেদে রূপ নেয়। আড়াই বছর আগে তালাক হয় তাদের। তবে তালাক হলেও তাদের শারীরিক সর্ম্পক চলমান ছিলো বলে দাবি করেন কমেলা খাতুন।
কমেলা খাতুন জানান, ‘তালাকের পরে আমাদের সম্পর্ক ঠিক ছিলো। কিছুদিন আগে যখন আমি বুঝতে পারি আমার পেটে তার সন্তান রয়েছে। আমি তাকে জানালে সে সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে। পরে শফিসহ কয়েকজনের যুক্তিতে মেয়ে সন্তান হওয়ায় আমরা তাকে বাজারের পুকুর পাড়ে ফেলে আসি। যাতে উত্তরপাড়ার লোকজন বিষয়টি টের না পায়।’ এদিকে, এ ঘটনায় এলাকায় প্রচার হওয়ার সাথে শফি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে। শফির সাথে যোগাযোগ করা হলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। কোনো অবৈধ সর্ম্পকের ফসল হিসেবে এ ঘটনাটি ঘটেছে, এটা আগেই আমরা সন্দেহ করেছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে আমরা আসামী যেকোন সময়ে আটক করব।