ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে লাখপতি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

বিষ্ময় ডেস্ক:
মাছ ধরে কোনোরকম জীবন চলে তার। অভাব অনাটনের মধ্যেই জীবন পার করে দিয়েছেন। কিন্তু শেষ জীবনে এসে আচমকা কপাল খুলে গেল তার। একটা মাছ ধরেই রাতারাতি লক্ষাধিক টাকার মালিক হয়ে গেলেন তিনি। ভারতীয় এক গণমাধ্যম জানায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় এ ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির পাশে নদীর খাঁড়িতে জাল ফেলে যা মেলে, তা দিয়েই কোনোরকমে সংসার চলে পুষ্প কর নামে ওই বৃদ্ধার। অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও খাঁড়িতে জাল ফেলে এসেছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে গিয়েছিলেন জাল তুলতে।
জাল টানতেই হতবাক পুষ্প কর। অন্যান্য দিনের মতো জালে চুনোপুঁটি নয়, যা ধরা পড়েছে বিশাল এক মাছ। মাছটির ওজন এত বেশি ছিল যে, কয়েকজনের সহযোগিতায় জাল টেনে তুলতে হয়েছে ওই বৃদ্ধা। জাল তুলে দেখা যায়, সেটি একটি ভোলা মাছ। ওজন প্রায় ৬০ কেজি। মাছ দেখতে খাঁড়ির পাশে ভিড় করেন এলাকার মানুষ। মাছটি কিনতে স্থানীয় কাকদ্বীপ বাজারের আড়তদাররা পৌঁছে যান পুষ্পর কাছে। দর-কষাকষির পর কেজি ৬ হাজার রুপি করে মাছটি বিক্রি করেন তিনি। এতদিন প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়েই দুই ছেলেকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু এই ভোলা মাছটি বিক্রি করে একদিনেই লক্ষাধিক টাকা পেয়ে যেন হাতে চাঁদ পেয়ে গেছেন তিনি। ফলে ওই টাকা কীভাবে খরচ করবেন তা-ই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। কিন্তু বিশালাকার ওই মাছ কীভাবে ধরা পড়ল বৃদ্ধার জালে? মনে করা হচ্ছে, জাহাজের ধাক্কায় মাছটি পাড়ের দিকে চলে এসেছিল। না হলে এত বড় সামুদ্রিক মাছ খাঁড়ির পানিতে পাওয়ার কথা নয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে লাখপতি!

আপলোড টাইম : ১০:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০

বিষ্ময় ডেস্ক:
মাছ ধরে কোনোরকম জীবন চলে তার। অভাব অনাটনের মধ্যেই জীবন পার করে দিয়েছেন। কিন্তু শেষ জীবনে এসে আচমকা কপাল খুলে গেল তার। একটা মাছ ধরেই রাতারাতি লক্ষাধিক টাকার মালিক হয়ে গেলেন তিনি। ভারতীয় এক গণমাধ্যম জানায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় এ ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির পাশে নদীর খাঁড়িতে জাল ফেলে যা মেলে, তা দিয়েই কোনোরকমে সংসার চলে পুষ্প কর নামে ওই বৃদ্ধার। অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও খাঁড়িতে জাল ফেলে এসেছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে গিয়েছিলেন জাল তুলতে।
জাল টানতেই হতবাক পুষ্প কর। অন্যান্য দিনের মতো জালে চুনোপুঁটি নয়, যা ধরা পড়েছে বিশাল এক মাছ। মাছটির ওজন এত বেশি ছিল যে, কয়েকজনের সহযোগিতায় জাল টেনে তুলতে হয়েছে ওই বৃদ্ধা। জাল তুলে দেখা যায়, সেটি একটি ভোলা মাছ। ওজন প্রায় ৬০ কেজি। মাছ দেখতে খাঁড়ির পাশে ভিড় করেন এলাকার মানুষ। মাছটি কিনতে স্থানীয় কাকদ্বীপ বাজারের আড়তদাররা পৌঁছে যান পুষ্পর কাছে। দর-কষাকষির পর কেজি ৬ হাজার রুপি করে মাছটি বিক্রি করেন তিনি। এতদিন প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়েই দুই ছেলেকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু এই ভোলা মাছটি বিক্রি করে একদিনেই লক্ষাধিক টাকা পেয়ে যেন হাতে চাঁদ পেয়ে গেছেন তিনি। ফলে ওই টাকা কীভাবে খরচ করবেন তা-ই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। কিন্তু বিশালাকার ওই মাছ কীভাবে ধরা পড়ল বৃদ্ধার জালে? মনে করা হচ্ছে, জাহাজের ধাক্কায় মাছটি পাড়ের দিকে চলে এসেছিল। না হলে এত বড় সামুদ্রিক মাছ খাঁড়ির পানিতে পাওয়ার কথা নয়।