ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগর সীমান্তে দশ টাকার চাল নিয়ে চলছে চালবাজি কার্ড পাচ্ছে চাকুরিজীবি ও ধনাঢ্য ব্যক্তি : বঞ্চিত সাধারন অসহায় দরিদ্র

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে

r6u656

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে ১০টাকা মুল্যে হতদরিদ্রের মাঝে চাল বিতরণ কর্মসূচীর কার্ড নিয়ে চালবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা সীমান্ত ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি স্থানে অসহায় হতদরিদ্রের কল্যাণে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ খাদ্যবান্ধব কর্মসুচী ১০টাকা চালের কার্ড পাচ্ছে অসহায় দরিদ্রের পরিবর্তে কলেজের শিক্ষক ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। সীমান্ত এলাকার কতিপয় নেতাদের নেতাগীরি আর নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বঞ্চিত হচ্ছে এ ইউনিয়নের গরীব ও অসহায় পরিবারগুলো। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের ২জন ডিলারের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ১০টাকা মুল্যের চাল। এছাড়াও কিছু কিছু নেতাকর্মীর স্বজনপ্রীতির কারণে ধনী,গরীব না দেখে নিজের পছন্দের লোককে কার্ড দিয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের সাবেক স্কুল শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের ছেলে জীবননগর আর্দশ সরকারী মহিলা কলেজের প্রভাষক সেলিম সাহেদকে একটি কার্ড দেওয়া হয়েছে, যার কার্ড নং ৫২৯। একই গ্রামের মাহাজেল হোসেনের ছেলে নিখোঁজ জসিম উদ্দিনকে একটি চালের কার্ড দেওয়া হয়েছে, যার কার্ড নং ৫১৯ ও গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীরের পাকাবাড়ি থাকা সত্ত্বেও দেওয়া হয়েছে চালের কার্ড যার কার্ড নং ৫২২। এদিকে পাকাবাড়ি থাকা সত্ত্বেও কার্ড পেয়েছে গঙ্গাদাশপুর গ্রামের একই পরিবারের আফছার গোলদারের তিন ছেলে মহিউদ্দিন গোলদার কার্ড নং ৫৫১,তরিকুল গোলদার কার্ড নং ৫৫০ এবং জুলফিক্কার গোলদার কার্ড নং ৫৫৯ এবং তোফেল হোসেনের ছেলে আ.খালেকও জায়গা জমি পাকাবাড়ি থাকার পরেও সে পেয়েছে ৫৪৯নং চালের কার্ড। এ এছাড়াও একই গ্রামের দুই তলা বাড়ির মালিক মৃত আলহাজ্ব জলিল মন্ডলের ছেলে আবুবক্কর সিদ্দিককেও দেওয়া হয়েছে ১০টাকা মুল্যের ৫৫৬নং চালের কার্ড। শুধু সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া, গঙ্গাদাশপুর গ্রামে নয়, এ ইউনিয়নের নতুন পাড়া, গয়েশপুর, সদরপাড়া, হরিহরনগর, মেদনীপুর, বেনীপুরসহ প্রতিটি গ্রামেই চলছে এ ধরনের অনিয়ম। এদিকে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে কার্ডের মাধ্যমে প্রতিকেজি ১০টাকা মুল্যে প্রতিমাসে ৩০কেজি চাল বিতরণ কর্মসূচী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কার্ড বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করা সত্ত্বেও ঘটে যাওয়া অনিয়মের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা বিভাগের পক্ষ থেকে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। যেখানে গরীবদের কার্ড পাওয়ার কথা সেখানে গরীবের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন তদন্ত ছাড়াই ঘরে বসে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চাল বিতরণে কার্ড গ্রহীতার তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। যারা প্রকৃতই গরীব তাদের মধ্যে হাতে গুনে কয়েকজন ছাড়া এ চালের কার্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এরা। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অসহায় গরীব কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের মানুষের কাছে প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন যে দেশের মানুষকে খাবারের জন্য কষ্ট করতে হবে না, সকলকে ১০টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবেন। তিনি যে কথা দিয়েছিলেন তা রেখেছেন। কিন্তু সরকার গরীবদের ১০টাকা কেজিতে চাল দেওয়ার কথা বললেও তা পাচ্ছে না গরীবরা। তাই তিনি অনেক ক্ষোভে বলেন গরীবের দুঃখ সরকার বুঝলেও বোঝে না তার নেতাকর্মীরা । একটি সুত্রে জানা গেছে ১০টাকা কেজি দরের চাল কিনে অনেক ধনী ব্যক্তি গরুর খাবার হিসাবে ব্যবহার করছেন। অথচ হতদরিদ্ররা এ চালের কার্ড না পেয়ে অসহায়ের মত দিন কাটাচ্ছেন। চলবে……..

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগর সীমান্তে দশ টাকার চাল নিয়ে চলছে চালবাজি কার্ড পাচ্ছে চাকুরিজীবি ও ধনাঢ্য ব্যক্তি : বঞ্চিত সাধারন অসহায় দরিদ্র

আপলোড টাইম : ১২:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০১৬

r6u656

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে ১০টাকা মুল্যে হতদরিদ্রের মাঝে চাল বিতরণ কর্মসূচীর কার্ড নিয়ে চালবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা সীমান্ত ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি স্থানে অসহায় হতদরিদ্রের কল্যাণে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ খাদ্যবান্ধব কর্মসুচী ১০টাকা চালের কার্ড পাচ্ছে অসহায় দরিদ্রের পরিবর্তে কলেজের শিক্ষক ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। সীমান্ত এলাকার কতিপয় নেতাদের নেতাগীরি আর নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বঞ্চিত হচ্ছে এ ইউনিয়নের গরীব ও অসহায় পরিবারগুলো। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের ২জন ডিলারের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ১০টাকা মুল্যের চাল। এছাড়াও কিছু কিছু নেতাকর্মীর স্বজনপ্রীতির কারণে ধনী,গরীব না দেখে নিজের পছন্দের লোককে কার্ড দিয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের সাবেক স্কুল শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের ছেলে জীবননগর আর্দশ সরকারী মহিলা কলেজের প্রভাষক সেলিম সাহেদকে একটি কার্ড দেওয়া হয়েছে, যার কার্ড নং ৫২৯। একই গ্রামের মাহাজেল হোসেনের ছেলে নিখোঁজ জসিম উদ্দিনকে একটি চালের কার্ড দেওয়া হয়েছে, যার কার্ড নং ৫১৯ ও গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীরের পাকাবাড়ি থাকা সত্ত্বেও দেওয়া হয়েছে চালের কার্ড যার কার্ড নং ৫২২। এদিকে পাকাবাড়ি থাকা সত্ত্বেও কার্ড পেয়েছে গঙ্গাদাশপুর গ্রামের একই পরিবারের আফছার গোলদারের তিন ছেলে মহিউদ্দিন গোলদার কার্ড নং ৫৫১,তরিকুল গোলদার কার্ড নং ৫৫০ এবং জুলফিক্কার গোলদার কার্ড নং ৫৫৯ এবং তোফেল হোসেনের ছেলে আ.খালেকও জায়গা জমি পাকাবাড়ি থাকার পরেও সে পেয়েছে ৫৪৯নং চালের কার্ড। এ এছাড়াও একই গ্রামের দুই তলা বাড়ির মালিক মৃত আলহাজ্ব জলিল মন্ডলের ছেলে আবুবক্কর সিদ্দিককেও দেওয়া হয়েছে ১০টাকা মুল্যের ৫৫৬নং চালের কার্ড। শুধু সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া, গঙ্গাদাশপুর গ্রামে নয়, এ ইউনিয়নের নতুন পাড়া, গয়েশপুর, সদরপাড়া, হরিহরনগর, মেদনীপুর, বেনীপুরসহ প্রতিটি গ্রামেই চলছে এ ধরনের অনিয়ম। এদিকে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে কার্ডের মাধ্যমে প্রতিকেজি ১০টাকা মুল্যে প্রতিমাসে ৩০কেজি চাল বিতরণ কর্মসূচী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কার্ড বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করা সত্ত্বেও ঘটে যাওয়া অনিয়মের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা বিভাগের পক্ষ থেকে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। যেখানে গরীবদের কার্ড পাওয়ার কথা সেখানে গরীবের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন তদন্ত ছাড়াই ঘরে বসে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চাল বিতরণে কার্ড গ্রহীতার তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। যারা প্রকৃতই গরীব তাদের মধ্যে হাতে গুনে কয়েকজন ছাড়া এ চালের কার্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এরা। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অসহায় গরীব কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের মানুষের কাছে প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন যে দেশের মানুষকে খাবারের জন্য কষ্ট করতে হবে না, সকলকে ১০টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবেন। তিনি যে কথা দিয়েছিলেন তা রেখেছেন। কিন্তু সরকার গরীবদের ১০টাকা কেজিতে চাল দেওয়ার কথা বললেও তা পাচ্ছে না গরীবরা। তাই তিনি অনেক ক্ষোভে বলেন গরীবের দুঃখ সরকার বুঝলেও বোঝে না তার নেতাকর্মীরা । একটি সুত্রে জানা গেছে ১০টাকা কেজি দরের চাল কিনে অনেক ধনী ব্যক্তি গরুর খাবার হিসাবে ব্যবহার করছেন। অথচ হতদরিদ্ররা এ চালের কার্ড না পেয়ে অসহায়ের মত দিন কাটাচ্ছেন। চলবে……..