ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস: জীবননগরে থামছেই না ভয়াবহ লোডশেডিং। মাঝে বৈদ্যুতিক লাইন মেরামত কাজের জন্য এক সপ্তাহ লোডশেডিং ছিল এটি মাইকিং করায় এলাকাবাসী লোডশেডিংয়ের বিষয়টি মেনে নিয়েছিল ।কিন্তু মাস পার হলেও লোডশেডিং কমছে না। এ যেন লোডশেডিং এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে শিক্ষার্থীর লেখাপড়া। লোডশেডিংয়ে উপজেলাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বাড়ছে। শুধু জীবননগর পৌর শহর নয়। এমন বেহাল দশা জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগুলোতে। দিন-রাত মিলে যেন নয়-দশ ঘন্টা মিলছে বিদ্যুৎ। তাও আবার প্রয়োজনের সময় মিলছে না। বিদ্যুতের এই চরম বিপর্যয়ে তীব্র গরমে যেন হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। গরম বাড়ার তালে তালে বাড়ছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং। একবার বিদ্যুৎ গেলে দুই থেকে তিন ঘন্টার আগে তার আর মুখ দেখা যায় না। গত এক মাস ধরে এই অবস্থা বিরাজ করছে জীবননগরে। দিনের বেলা যেমন তেমন ভাবে পার হলেও রাতভর বিদ্যুতের লুকোচুরিতে যেন নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে জীবননগর উপজেলাবাসীর। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স নির্ভর দোকানগুলো নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুতের জন্য ঠিকমত দোকান খুলতে পারছে না। বিদ্যুতের অভাবে থমকে যাচ্ছে অফিস, ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম।
জীবননগর পৌর এলাকার বাসিন্দা আশাদুল ইসলাম ও বকুল মিয়া জানান, কয়েক দিন ধরেই বিদ্যুত বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। বাইরেও দিনের বেলা তীব্র গরমে ঘোরাফেরা করতে পারছেন না। আবার রাতে মশার যন্ত্রনা।
তারা বলেন, দিনের বেলাতো বিদ্যুৎ ঠিকমত থাকছে না। আবার রাতে যে একটু শান্তিতে ঘুমাবে তারও উপায় নেই। প্রতিদিনই সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং গভীর রাতজুড়েও দফায় দফায় লোডশেডিং বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে তীব্র গরমে যেন নাকাল হতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে এসএসসি পরীক্ষার্থী কাওসার বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই দিনেই ৭-৮ বার করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। আবার রাতেও অধিকাংশ সময় দেখা মিলছে না বিদ্যুৎ। যার ফলে দিনে যেমন গরমের দাপটে পড়তে বসা যাচ্ছে না, তেমনি রাতে পড়া তো দুরের কথা ঠিকমতো ঘুমও হচ্ছে না । এতে লেখাপড়ার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন জীবননগর সাব জোনের দায়িত্বরত এজিএম (কম) সাদিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন

আপলোড টাইম : ০৫:৩৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৭

জীবননগর অফিস: জীবননগরে থামছেই না ভয়াবহ লোডশেডিং। মাঝে বৈদ্যুতিক লাইন মেরামত কাজের জন্য এক সপ্তাহ লোডশেডিং ছিল এটি মাইকিং করায় এলাকাবাসী লোডশেডিংয়ের বিষয়টি মেনে নিয়েছিল ।কিন্তু মাস পার হলেও লোডশেডিং কমছে না। এ যেন লোডশেডিং এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে শিক্ষার্থীর লেখাপড়া। লোডশেডিংয়ে উপজেলাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বাড়ছে। শুধু জীবননগর পৌর শহর নয়। এমন বেহাল দশা জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগুলোতে। দিন-রাত মিলে যেন নয়-দশ ঘন্টা মিলছে বিদ্যুৎ। তাও আবার প্রয়োজনের সময় মিলছে না। বিদ্যুতের এই চরম বিপর্যয়ে তীব্র গরমে যেন হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। গরম বাড়ার তালে তালে বাড়ছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং। একবার বিদ্যুৎ গেলে দুই থেকে তিন ঘন্টার আগে তার আর মুখ দেখা যায় না। গত এক মাস ধরে এই অবস্থা বিরাজ করছে জীবননগরে। দিনের বেলা যেমন তেমন ভাবে পার হলেও রাতভর বিদ্যুতের লুকোচুরিতে যেন নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে জীবননগর উপজেলাবাসীর। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স নির্ভর দোকানগুলো নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুতের জন্য ঠিকমত দোকান খুলতে পারছে না। বিদ্যুতের অভাবে থমকে যাচ্ছে অফিস, ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম।
জীবননগর পৌর এলাকার বাসিন্দা আশাদুল ইসলাম ও বকুল মিয়া জানান, কয়েক দিন ধরেই বিদ্যুত বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। বাইরেও দিনের বেলা তীব্র গরমে ঘোরাফেরা করতে পারছেন না। আবার রাতে মশার যন্ত্রনা।
তারা বলেন, দিনের বেলাতো বিদ্যুৎ ঠিকমত থাকছে না। আবার রাতে যে একটু শান্তিতে ঘুমাবে তারও উপায় নেই। প্রতিদিনই সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং গভীর রাতজুড়েও দফায় দফায় লোডশেডিং বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে তীব্র গরমে যেন নাকাল হতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে এসএসসি পরীক্ষার্থী কাওসার বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই দিনেই ৭-৮ বার করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। আবার রাতেও অধিকাংশ সময় দেখা মিলছে না বিদ্যুৎ। যার ফলে দিনে যেমন গরমের দাপটে পড়তে বসা যাচ্ছে না, তেমনি রাতে পড়া তো দুরের কথা ঠিকমতো ঘুমও হচ্ছে না । এতে লেখাপড়ার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন জীবননগর সাব জোনের দায়িত্বরত এজিএম (কম) সাদিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।