ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে গমক্ষেত ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত : কৃষকের মাথায় হাত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মার্চ ২০১৮
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ:জীবননগরে নেক ব্লাষ্ট ও হেড ব্লাষ্ট ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গম ক্ষেত। ১০ হেক্টর জমির গম নেক ব্লাষ্ট ও হেড ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিন মাঠের গম ক্ষেত এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কৃষকরা গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছরে জীবননগর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত দুই বছর গমে ব্লাষ্ট রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জন সচেতনা গড়তে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিলিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। কৃষকদের মাঝে গম বীজ বিক্রি বন্ধ রাখতে ডিলার ও ব্যবসায়িদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত দুই বছরে জীবননগর গম চাষ কয়েক গুণ হ্রাস পয়েছে। কৃষকরা মাঠে যে গম চাষ করছে তা নিজেদের উদ্যোগে। এদিকে সরেজমিনে উপজেলার বাঁকা গ্রামের কৃষক মনি, রাজন, ইজাজুল, নারায়নপুর গ্রামের আলিমও গঙ্গাদাশপুর গ্রামের শফির সাথে কথা বললে তারা জানায়, গম চাষ করছি বাড়ির খাবারের জন্য। কারণ দেশী গমের আটায় তৈরি খাবার ভাল হয়। গমের শীষ শুকিয়ে যাওয়ায় গম চিটে হচ্ছে। ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এমনটি হচ্ছে।তা ছাড়া প্রতি বছরেই যে ভাবে গমে ব্লাস্ট রোগ এতে করে গম চাষ করলে প্রতি বছরেই লোকশান গুনতে হবে। গমে ব্লাস্ট রোগের প্রতিরোধক হিসাবে কি ব্যবহার করা হবে এমন কোন পদ্ধতি কৃষি অফিস থেকে না দেওয়ায় বর্তমানে এ উপজেলায় গম চাষ বিলিন হওয়ার পথে।
এব্যাপারে জীবননগর উপজেলার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা জানায়, এ বছর জীবননগর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হচ্ছে। গত এক মাস আগে জীবননগরে বৃষ্টি হয়েছে। ওই সময় রাতে বৃষ্টি ও দিনের বেলা গরম আর রাতে ঠান্ডা পড়ায় গমে নেক ব্লাষ্ট ও হেড ব্লাষ্ট ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। নেক ব্লাষ্ট গমের কান্ডে কালো আকার ধারণ করে যার ফলে গমের ফল পড়ে যায়। আর হেড ব্লাষ্ট ছত্রাক গমের শীষের উপরের অংশ থেকে শুকাতে শুরু করে নিচের অংশ পর্যন্ত শুকিয়ে যায়। উপজেলায় এ বছর ১০ শতাংশ জমির গম ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।তবে এ কৃষকরা যদি গমে নাটিভো ব্যবহার করে তা হলে কৃষকরা গমে ব্লাস্ট রোগ থেকে পরিত্রান পাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে গমক্ষেত ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত : কৃষকের মাথায় হাত

আপলোড টাইম : ০৮:০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মার্চ ২০১৮

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ:জীবননগরে নেক ব্লাষ্ট ও হেড ব্লাষ্ট ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গম ক্ষেত। ১০ হেক্টর জমির গম নেক ব্লাষ্ট ও হেড ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিন মাঠের গম ক্ষেত এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কৃষকরা গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছরে জীবননগর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত দুই বছর গমে ব্লাষ্ট রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জন সচেতনা গড়তে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিলিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। কৃষকদের মাঝে গম বীজ বিক্রি বন্ধ রাখতে ডিলার ও ব্যবসায়িদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত দুই বছরে জীবননগর গম চাষ কয়েক গুণ হ্রাস পয়েছে। কৃষকরা মাঠে যে গম চাষ করছে তা নিজেদের উদ্যোগে। এদিকে সরেজমিনে উপজেলার বাঁকা গ্রামের কৃষক মনি, রাজন, ইজাজুল, নারায়নপুর গ্রামের আলিমও গঙ্গাদাশপুর গ্রামের শফির সাথে কথা বললে তারা জানায়, গম চাষ করছি বাড়ির খাবারের জন্য। কারণ দেশী গমের আটায় তৈরি খাবার ভাল হয়। গমের শীষ শুকিয়ে যাওয়ায় গম চিটে হচ্ছে। ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এমনটি হচ্ছে।তা ছাড়া প্রতি বছরেই যে ভাবে গমে ব্লাস্ট রোগ এতে করে গম চাষ করলে প্রতি বছরেই লোকশান গুনতে হবে। গমে ব্লাস্ট রোগের প্রতিরোধক হিসাবে কি ব্যবহার করা হবে এমন কোন পদ্ধতি কৃষি অফিস থেকে না দেওয়ায় বর্তমানে এ উপজেলায় গম চাষ বিলিন হওয়ার পথে।
এব্যাপারে জীবননগর উপজেলার সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা জানায়, এ বছর জীবননগর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হচ্ছে। গত এক মাস আগে জীবননগরে বৃষ্টি হয়েছে। ওই সময় রাতে বৃষ্টি ও দিনের বেলা গরম আর রাতে ঠান্ডা পড়ায় গমে নেক ব্লাষ্ট ও হেড ব্লাষ্ট ছত্রাক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। নেক ব্লাষ্ট গমের কান্ডে কালো আকার ধারণ করে যার ফলে গমের ফল পড়ে যায়। আর হেড ব্লাষ্ট ছত্রাক গমের শীষের উপরের অংশ থেকে শুকাতে শুরু করে নিচের অংশ পর্যন্ত শুকিয়ে যায়। উপজেলায় এ বছর ১০ শতাংশ জমির গম ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।তবে এ কৃষকরা যদি গমে নাটিভো ব্যবহার করে তা হলে কৃষকরা গমে ব্লাস্ট রোগ থেকে পরিত্রান পাবে।