ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার শিল্পীরা ডাসা দা ছোরা তৈরিতে টুংটাং শব্দে মুখর এখন কামারপাড়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৮০৭ বার পড়া হয়েছে

alomdangaজাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ জীবননগরথেকে: আর মাত্র কয়েক দিন পরেই মুসলিমদের দ্বিতীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এ জন্য জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কামার শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কামারদের কামার শালাগুলো এখন ডাসা, দা, চাকু, ছোরা বটি তৈরীর টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে কামার পাড়া গুলো ।কোরবানীর কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃদ দা ,চাকু,ছুরি ,বটি এখন ভীষন চাহিদা । ফলে রাত দিন কাজ চলছে কামারশালাতে একে বারে স্বস্তী নেই বলইে চলে ।জীবননগর শহর সহ এ উপজেলার ছোট বড় সকল হাট বাজারে কোরবানীর সরঞ্জাম বিক্রির নতুন নতুন দোকান বসতে শুরু করেছে। এমন কি জীবননগর শহর সহ সকল হাট বাজার গুলোর রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়েছে।ক্রেতারাও প্রয়োজনের তাগিদে দেখে শুনে কিনছে তাদের কোরবানীর সরঞ্জাম। এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দা, চাকু, ছুরি ও চাকুর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তৈরীর সরঞ্জামের মালপত্রের দামও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে কামার শিল্পীরা। ফলে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে কামারদের। যার ফলে এসব সরঞ্জাম তৈরীর উৎপাদন ব্যয়ও অনেক বেশী বেড়ে গেছে। এজন্য সংগত কারণেই ক্রেতারা বেশী দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে কোরবানী ঈদের অতি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম । এদিকে কোরবানী ঈদ উপলক্ষে মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কোরবানীর জন্য ব্যবহৃত একটি ডাসা ৪শ থেকে ৪শ ৫০টাকা চাকু ১শ থেকে ২শ টাকা বটি ২শ থেকে ২শ৫০টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে । তবে কোরবানীর ঈদের আগের দিন হয়ত এর চেয়ে আরও দাম বাড়তে পারে বলে ধারনা করছে কামাররা। জীবননগর শহরের মুক্তিযোদ্ধা মোড়, চ্যাংলী রোডে, মকছেদ মার্কেটের চাকা পট্রিতে, নারায়নপুর মোড় সহ এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাট বাজারগুলোতে দোকান দিয়ে কোরবানীর কাজে ব্যবহৃত এসব সরঞ্জাম বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যপারে জীবননগর শহরের আতা কামার, জহির কামার সহ বেশ কয়েকটি কামারের সাথে কথা বললে তারা জানায়, এখন অল্প স্বল্প বেচাকেনা শুরু হলেও  ঈদরে ৪থেকে ৫দিন আগে থেকেই বিক্রি আরও দশ গুন বেড়ে যায়। সাধারনত এই কোরবানীর সময় কামররা তাদের কামারশালায় তৈরি এসব সরঞ্জাম জীবননগর শহর সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়ে  থাকে । বিশেষ করে কামারদের তৈরি সরঞ্জাম বর্তমান বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় বিক্রি হওয়ার ফলে সাধারন মানুষদের অনেক উপকার হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কামার শিল্পীরা ডাসা দা ছোরা তৈরিতে টুংটাং শব্দে মুখর এখন কামারপাড়া

আপলোড টাইম : ১০:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

alomdangaজাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ জীবননগরথেকে: আর মাত্র কয়েক দিন পরেই মুসলিমদের দ্বিতীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এ জন্য জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কামার শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কামারদের কামার শালাগুলো এখন ডাসা, দা, চাকু, ছোরা বটি তৈরীর টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে কামার পাড়া গুলো ।কোরবানীর কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃদ দা ,চাকু,ছুরি ,বটি এখন ভীষন চাহিদা । ফলে রাত দিন কাজ চলছে কামারশালাতে একে বারে স্বস্তী নেই বলইে চলে ।জীবননগর শহর সহ এ উপজেলার ছোট বড় সকল হাট বাজারে কোরবানীর সরঞ্জাম বিক্রির নতুন নতুন দোকান বসতে শুরু করেছে। এমন কি জীবননগর শহর সহ সকল হাট বাজার গুলোর রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়েছে।ক্রেতারাও প্রয়োজনের তাগিদে দেখে শুনে কিনছে তাদের কোরবানীর সরঞ্জাম। এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দা, চাকু, ছুরি ও চাকুর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তৈরীর সরঞ্জামের মালপত্রের দামও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে কামার শিল্পীরা। ফলে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে কামারদের। যার ফলে এসব সরঞ্জাম তৈরীর উৎপাদন ব্যয়ও অনেক বেশী বেড়ে গেছে। এজন্য সংগত কারণেই ক্রেতারা বেশী দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে কোরবানী ঈদের অতি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম । এদিকে কোরবানী ঈদ উপলক্ষে মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কোরবানীর জন্য ব্যবহৃত একটি ডাসা ৪শ থেকে ৪শ ৫০টাকা চাকু ১শ থেকে ২শ টাকা বটি ২শ থেকে ২শ৫০টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে । তবে কোরবানীর ঈদের আগের দিন হয়ত এর চেয়ে আরও দাম বাড়তে পারে বলে ধারনা করছে কামাররা। জীবননগর শহরের মুক্তিযোদ্ধা মোড়, চ্যাংলী রোডে, মকছেদ মার্কেটের চাকা পট্রিতে, নারায়নপুর মোড় সহ এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাট বাজারগুলোতে দোকান দিয়ে কোরবানীর কাজে ব্যবহৃত এসব সরঞ্জাম বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যপারে জীবননগর শহরের আতা কামার, জহির কামার সহ বেশ কয়েকটি কামারের সাথে কথা বললে তারা জানায়, এখন অল্প স্বল্প বেচাকেনা শুরু হলেও  ঈদরে ৪থেকে ৫দিন আগে থেকেই বিক্রি আরও দশ গুন বেড়ে যায়। সাধারনত এই কোরবানীর সময় কামররা তাদের কামারশালায় তৈরি এসব সরঞ্জাম জীবননগর শহর সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়ে  থাকে । বিশেষ করে কামারদের তৈরি সরঞ্জাম বর্তমান বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় বিক্রি হওয়ার ফলে সাধারন মানুষদের অনেক উপকার হয়।