ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে আলু চাষে কৃষকদের সফলতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ:
জীবননগর উপজেলায় আলু চাষ করে জাদুকরী সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। শীতের শুরুতেই মাঠজুড়ে দেখা মিলেছে আলু। বাণিজ্যিকভাবে এ চাষ লাভজনক হওয়ায় আলু চাষে আগ্রহী হয়েছেন অনেকে। জীবননগর উপজেলার মাটি সব ফসলের জন্য উপযোগী এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলু চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায়সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে আলু চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জীবননগর উপজেলার কৃষকেরা। বীজ বপনের পর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আলু চাষ করে এ জেলায় বিপ্লব ঘটিয়েছেন চাষিরা। এ বছরে কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শে গত বছরের তুলনায় আলু চাষে রোগ-ব্যাধি কম হওয়ার আলুর ফলনে কৃষকেরা দারুণ খুশি। এ উপজেলার জমিতে উৎপাদিত আলু খুলনা, দিনাজপুর, বগুড়া, ময়মনসিংসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছায়। উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের কাটাপোল গ্রামের কৃষক আ. লতিফ বলেন, ‘এ বছর আমাদের বিঘাপ্রতি আলুতে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আর বিঘাপ্রতি আলু হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ মণ। বর্তমান আলুর বাজার অনেক ভালো। জমি থেকে পাইকারি ক্রেতারা আলু কিনছেন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা মণ দরে।’ এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক সময়ে আলুতে সার-কীটনাশক প্রয়োগের ফলে খরচ-খরচা বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে কৃষকেরা আশা করছেন।
জীবননগর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শিমুল হোসেন জানান, ‘এ বছর জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি, ২৯৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। গত বছরে আলুতে ‘ঝলশা’ নামক একধরনের রোগ দেখা দেওয়ার কৃষকদের আলু চাষে ব্যাপক লোকসান হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করি, কৃষকেরা এ বছর আলু চাষে লাভবান হবেন। তা ছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক কৃষকদের আলু চাষসহ বিভিন্ন ফসল চাষে পরামর্শ দেওয়া ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।’ সরকারি-বেসরকারিভাবে কৃষকদের আলু চাষে উৎসাহিত করা হলে আমদানি-নির্ভরতা কমে তা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে আলু চাষে কৃষকদের সফলতা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০

মিঠুন মাহমুদ:
জীবননগর উপজেলায় আলু চাষ করে জাদুকরী সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। শীতের শুরুতেই মাঠজুড়ে দেখা মিলেছে আলু। বাণিজ্যিকভাবে এ চাষ লাভজনক হওয়ায় আলু চাষে আগ্রহী হয়েছেন অনেকে। জীবননগর উপজেলার মাটি সব ফসলের জন্য উপযোগী এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলু চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায়সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে আলু চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জীবননগর উপজেলার কৃষকেরা। বীজ বপনের পর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আলু চাষ করে এ জেলায় বিপ্লব ঘটিয়েছেন চাষিরা। এ বছরে কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শে গত বছরের তুলনায় আলু চাষে রোগ-ব্যাধি কম হওয়ার আলুর ফলনে কৃষকেরা দারুণ খুশি। এ উপজেলার জমিতে উৎপাদিত আলু খুলনা, দিনাজপুর, বগুড়া, ময়মনসিংসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছায়। উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের কাটাপোল গ্রামের কৃষক আ. লতিফ বলেন, ‘এ বছর আমাদের বিঘাপ্রতি আলুতে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আর বিঘাপ্রতি আলু হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ মণ। বর্তমান আলুর বাজার অনেক ভালো। জমি থেকে পাইকারি ক্রেতারা আলু কিনছেন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা মণ দরে।’ এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক সময়ে আলুতে সার-কীটনাশক প্রয়োগের ফলে খরচ-খরচা বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে কৃষকেরা আশা করছেন।
জীবননগর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শিমুল হোসেন জানান, ‘এ বছর জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি, ২৯৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। গত বছরে আলুতে ‘ঝলশা’ নামক একধরনের রোগ দেখা দেওয়ার কৃষকদের আলু চাষে ব্যাপক লোকসান হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করি, কৃষকেরা এ বছর আলু চাষে লাভবান হবেন। তা ছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক কৃষকদের আলু চাষসহ বিভিন্ন ফসল চাষে পরামর্শ দেওয়া ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।’ সরকারি-বেসরকারিভাবে কৃষকদের আলু চাষে উৎসাহিত করা হলে আমদানি-নির্ভরতা কমে তা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।