ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে নজর সি ও ট্রাম্পের ওপর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯
  • / ২৪৬ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেক্স :
জাপানের ওসাকায় আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন। দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনে যোগ দিতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে জাপানে পৌঁছেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, ইরান ও তেল ইস্যু, সমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোসহ বিভিন্ন বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এসব ইস্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর থাকছে সি ও ট্রাম্পের বৈঠকের ওপর। দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অবসানে এই বৈঠক হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার জাপান সময় বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এই দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হোগান গিডলে বলেন, এই বৈঠকসহ নয়টি দেশের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাপান সফরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করবেন। হোগান বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আজ শুক্রবার বেলা দুইটা নাগাদ বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প। গতকাল নৈশভোজের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হবে। এই নৈশভোজে তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া শুক্রবার তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আবেকে নিয়ে একসঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর আবার মোদির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসবেন তিনি। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারোর সঙ্গেও বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিকে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের আলোচ্য ইস্যু থেকে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা হবে। এই পরিবর্তন ঠেকাতে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের জন্য যে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে, এতে প্যারিস চুক্তিকে অপরিবর্তনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, প্যারিস চুক্তির উল্লেখ ছাড়া জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের প্রজ্ঞাপন মেনে নেবে না ফ্রান্স। ইরান জি-টোয়েন্টির সদস্য নয়। তারপরও ইরান ইস্যুতে আলোচনা হবে এই সম্মেলন থেকে। মাখোঁ বলেছেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তিনি ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তেল–বাণিজ্য ইস্যুতেও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভ্লাদিমির পুতিন এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যকার বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাংক ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা সুদ কমিয়ে দেবে। এর ফলে চাপে পড়ছে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ব্যাংক অব জাপানের ওপর। এ নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে নজর সি ও ট্রাম্পের ওপর

আপলোড টাইম : ০৯:৫২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯

বিশ্ব ডেক্স :
জাপানের ওসাকায় আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন। দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনে যোগ দিতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে জাপানে পৌঁছেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, ইরান ও তেল ইস্যু, সমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোসহ বিভিন্ন বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এসব ইস্যুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর থাকছে সি ও ট্রাম্পের বৈঠকের ওপর। দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অবসানে এই বৈঠক হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার জাপান সময় বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এই দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হোগান গিডলে বলেন, এই বৈঠকসহ নয়টি দেশের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাপান সফরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করবেন। হোগান বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আজ শুক্রবার বেলা দুইটা নাগাদ বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প। গতকাল নৈশভোজের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হবে। এই নৈশভোজে তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া শুক্রবার তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আবেকে নিয়ে একসঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর আবার মোদির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসবেন তিনি। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারোর সঙ্গেও বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিকে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের আলোচ্য ইস্যু থেকে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা হবে। এই পরিবর্তন ঠেকাতে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের জন্য যে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে, এতে প্যারিস চুক্তিকে অপরিবর্তনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, প্যারিস চুক্তির উল্লেখ ছাড়া জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের প্রজ্ঞাপন মেনে নেবে না ফ্রান্স। ইরান জি-টোয়েন্টির সদস্য নয়। তারপরও ইরান ইস্যুতে আলোচনা হবে এই সম্মেলন থেকে। মাখোঁ বলেছেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তিনি ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তেল–বাণিজ্য ইস্যুতেও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভ্লাদিমির পুতিন এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যকার বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাংক ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা সুদ কমিয়ে দেবে। এর ফলে চাপে পড়ছে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ব্যাংক অব জাপানের ওপর। এ নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।