ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জিহ্বার পাপ ভয়াবহ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৫:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭
  • / ৭২২ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ জিহ্বা। এই জিহ্বা যেমন দরকারি তেমনি এর দ্বারা পাপেরও আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। জিহ্বা দ্বারা কাউকে যে পরিমাণ কষ্ট দেয়া যায় তা আর কোনো কিছু দ্বারা দেয়া যায় না। হাতে কাউকে মারলে ততটুকুই মারা যায় যে পর্যন্ত হাত যায়। এছাড়া লাঠি বা বন্দুক দ্বারাও সবখানে কষ্ট দেয়া যায় না। কিন্তু জিহ্বার দ্বারা কষ্ট বন্দুকের গুলির চেয়েও দ্রুত গিয়ে আঘাত করে। এমনকি একজন দুর্বল মানুষও তার জিহ্বা দ্বারা কোনো শক্তিশালী মানুষকে আঘাত করতে পারে। জিহ্বার অপরাধ অনেক বড়। বেশিরভাগ ঝগড়া জিহ্বার কারণেই হয়ে থাকে। এই তুলনায় হাতের কারণে ঝগড়া বাধে কম। গালি দেয়া, গিবত করা, অপবাদ আরোপ এসব গোনাহ জিহ্বা দ্বারা সংঘটিত হয়। এ জন্য রাসুল (সা.) হাদিসে হাতের আগে জিহ্বার কথা উল্লেখ করেছেন। মানুষ যদি তার জিহ্বার নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে নিয়ে নিতে পারে তাহলে সমাজের অর্ধেক অপরাধ এমনিতেই দমন হয়ে যাবে। অনেক গোনাহ থেকে মানুষ বেঁচে যাবে। এজন্য বুজুর্গানে দীন এ ব্যাপারে তাগিদ করেছেন যে, কথা খুব কম বলবে। কম কথা বলা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কম কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রয়োজন ছাড়া কথা না বলা। প্রয়োজন পড়লে বেশি কথা বললেও অসুবিধা নেই। এই নীতিতে আমল করার জন্য অনেক বেশি মুজাহাদা তথা সাধনা করা লাগে। কেননা যার বেশি কথা বলার অভ্যাস আছে তার এই কুঅভ্যাস দূর করা অনেক সাধনার ব্যাপার। অনেকের বেশি কথা বলার অভ্যাস আছে এটা খুবই মারাত্মক রোগ। মানুষ যত বেশি কথা বলে তার তত বেশি গোনাহ হয়। যত কম কথা বলবে তার তত কম গোনাহ হবে। হাদিসে রাসুল (সা.) নাজাতের জন্য দুটি অঙ্গের ব্যাপারে নিশ্চয়তা চেয়েছেন লজ্জাস্থান ও জিহ্বা। এই জিহ্বার হেফাজত না করলে পরকালে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। একটু চেষ্টা করলে আমরা জিহ্বার গোনাহ থেকে সহজেই বেঁচে যেতে পারি। এর জন্য প্রধান মহৌষধ হলো কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জিহ্বার পাপ ভয়াবহ

আপলোড টাইম : ০৪:৫৫:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ জিহ্বা। এই জিহ্বা যেমন দরকারি তেমনি এর দ্বারা পাপেরও আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। জিহ্বা দ্বারা কাউকে যে পরিমাণ কষ্ট দেয়া যায় তা আর কোনো কিছু দ্বারা দেয়া যায় না। হাতে কাউকে মারলে ততটুকুই মারা যায় যে পর্যন্ত হাত যায়। এছাড়া লাঠি বা বন্দুক দ্বারাও সবখানে কষ্ট দেয়া যায় না। কিন্তু জিহ্বার দ্বারা কষ্ট বন্দুকের গুলির চেয়েও দ্রুত গিয়ে আঘাত করে। এমনকি একজন দুর্বল মানুষও তার জিহ্বা দ্বারা কোনো শক্তিশালী মানুষকে আঘাত করতে পারে। জিহ্বার অপরাধ অনেক বড়। বেশিরভাগ ঝগড়া জিহ্বার কারণেই হয়ে থাকে। এই তুলনায় হাতের কারণে ঝগড়া বাধে কম। গালি দেয়া, গিবত করা, অপবাদ আরোপ এসব গোনাহ জিহ্বা দ্বারা সংঘটিত হয়। এ জন্য রাসুল (সা.) হাদিসে হাতের আগে জিহ্বার কথা উল্লেখ করেছেন। মানুষ যদি তার জিহ্বার নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে নিয়ে নিতে পারে তাহলে সমাজের অর্ধেক অপরাধ এমনিতেই দমন হয়ে যাবে। অনেক গোনাহ থেকে মানুষ বেঁচে যাবে। এজন্য বুজুর্গানে দীন এ ব্যাপারে তাগিদ করেছেন যে, কথা খুব কম বলবে। কম কথা বলা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কম কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রয়োজন ছাড়া কথা না বলা। প্রয়োজন পড়লে বেশি কথা বললেও অসুবিধা নেই। এই নীতিতে আমল করার জন্য অনেক বেশি মুজাহাদা তথা সাধনা করা লাগে। কেননা যার বেশি কথা বলার অভ্যাস আছে তার এই কুঅভ্যাস দূর করা অনেক সাধনার ব্যাপার। অনেকের বেশি কথা বলার অভ্যাস আছে এটা খুবই মারাত্মক রোগ। মানুষ যত বেশি কথা বলে তার তত বেশি গোনাহ হয়। যত কম কথা বলবে তার তত কম গোনাহ হবে। হাদিসে রাসুল (সা.) নাজাতের জন্য দুটি অঙ্গের ব্যাপারে নিশ্চয়তা চেয়েছেন লজ্জাস্থান ও জিহ্বা। এই জিহ্বার হেফাজত না করলে পরকালে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। একটু চেষ্টা করলে আমরা জিহ্বার গোনাহ থেকে সহজেই বেঁচে যেতে পারি। এর জন্য প্রধান মহৌষধ হলো কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো।