ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জিপু চৌধুরীকে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত করতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০
  • / ১১১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী আলোচনা সভায় জেলা আ.লীগের সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল চারটায় চুয়াডাঙ্গার শহীদ আলাউদ্দীন ইসলাম অ্যাসোসিয়েশন হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জানিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস এবং প্রধান বক্তা ছিলেনজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক এবং চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, সাবেক যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি অধ্যক্ষ মাহবুল ইসলাম সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, জেলা যুবলীগ সদস্য অ্যাড. তসলিম উদ্দীন ফিরোজ, সদর থানা কৃষকলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুমা আক্তার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তেব্য আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘সামনে কঠিন সময়। ছাত্রলীগকে কাজ করতে হবে। জিপু চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ইতিহাসে সবোর্চ্চ কাজ করেছে। সে মেয়র হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে মানুষের সেবা দিচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে, জিপুকে পুনরায় নির্বাচিত করতে হবে। চুয়াডাঙ্গার পরিবেশকে স্বাভাবিক রাখতে হলে, মেয়র হিসেবে জিপুকেই বেছে নিতে হবে। আজ থেকেই জেলা ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা যোদ্ধাকে জিপুর হয়ে কাজ করতে হবে। কারণ জিপু চৌধুরী জিতলেই জিতবে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠানের পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘তাঁরা এক সময় প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের বাড়িতে হামলা করেছিল। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে। এখন আমরা যারা শহরে নির্বিঘ্নে চলাচল করি, আগের মত পরিবেশ আর নেই। তবে তাঁরা যদি পুনরায় পৌরসভার দায়িত্বে আসেন, তাহলে আবার আগের পরিবেশে চলে যাবে। পৌরসভার মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। তাঁরা আবার রক্তপাত ঘটাবে। কারণ তারা এই শহরে রক্তপাত ঘটিয়েছে। তাই আমরা অ্যাডভোকেট শফি মামার রক্তকে বৃথা যেতে দিতে পারি না। আমরা সৎ সাহস নিয়ে সততার সঙ্গে চলি। আর তারা মিথ্যা নিয়ে হুমকি দিয়ে চলে। পৌরসভার প্রত্যেকটি কাজ এখন মানুষ জানে-বোঝে। কিন্তু আগে কেউ জানতো না, জানতে দেওয়া হতো না। তারা বলেছে, পৌরসভার কর্মচারীদের বেতন বাকী। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, কর্মচারীদের কাছে জেনে দেখবেন। একটি টাকাও বাকি নেই। তারা শুধু মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। কারণ সত্য কথা বলতে হলে, আমাদের সুনাম করতেই হবে। আর আমরা সত্য কথায় বিশ্বাসী। কিন্তু তাদের ভিতরে দুর্নীতি আর মিথ্যা ছাড়া কিছু নেই। আগে যেই পৌর পরিষদে এসে মানুষ মারধরের শিকার হতো, এখন সেই পৌর পরিষদে এসে মানুষ চা খায় আর আমার সঙ্গে সুখ-দুঃখের গল্প করে। তারা দেখছে, এবার যদি তারা ক্ষমতায় না আসে, তাহলে ওই পরিবারকে মানুষ বর্জন করবে। এজন্য তারা ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা ভাবছে, যদি ক্ষমতায় না আসতে পারে, তাহলে চুয়াডাঙ্গার মানুষকে অত্যাচার করতে পারবে না। তারা মানুষকে জিম্মি করার জন্য, মানুষের কাছে চাঁদাবাজী করার জন্য, কাউন্টার মাস্টার থেকে বাড়ি-গাড়ি করার জন্য ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন। সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ তারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। কিন্তু আমরা সত্য ও সততায় বিশ্বাসী। সত্য দিয়েই জয় সবাই করব, ইনশা-আল্লাহ।’
এসময় পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু তাঁর পাশে থাকার আহ্বান জানালে উপস্থিত ছাত্ররা ও সাধারণ নেতা-কর্মীরা একবাক্যে তাঁকে সমর্থন প্রদান করেন। নেতা-কর্মীদের সমর্থনের সূত্রধরে তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা পাশে থাকলে আমি সাহস পাব এবং চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে আরও এগিয়ে নেব।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সদস্য আবু তাহের, মাফিজুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন জ্যাকি, সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ, পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গির হোসেন, সহসভাপতি মোমেনুল হাসান, ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম শেখ, ইমরান, রাকিবুল ইসলাম, নিপ্পন, শেখ শাওন, আশিকুর রহমান হিমু, আনিস, আকিব, সুমন, শিবলু, ফয়সাল, আতিকুর রহমান, শিথুন, লিখন, রাইসুল, রিয়ন, প্লাবন, টুটুল, সানজীদ, জুয়েল, সাইফুল, শুভসহ আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জিপু চৌধুরীকে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত করতে হবে

আপলোড টাইম : ১২:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী আলোচনা সভায় জেলা আ.লীগের সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল চারটায় চুয়াডাঙ্গার শহীদ আলাউদ্দীন ইসলাম অ্যাসোসিয়েশন হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জানিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস এবং প্রধান বক্তা ছিলেনজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক এবং চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, সাবেক যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি অধ্যক্ষ মাহবুল ইসলাম সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, জেলা যুবলীগ সদস্য অ্যাড. তসলিম উদ্দীন ফিরোজ, সদর থানা কৃষকলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মতিন দুদু, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুমা আক্তার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তেব্য আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘সামনে কঠিন সময়। ছাত্রলীগকে কাজ করতে হবে। জিপু চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ইতিহাসে সবোর্চ্চ কাজ করেছে। সে মেয়র হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে মানুষের সেবা দিচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে, জিপুকে পুনরায় নির্বাচিত করতে হবে। চুয়াডাঙ্গার পরিবেশকে স্বাভাবিক রাখতে হলে, মেয়র হিসেবে জিপুকেই বেছে নিতে হবে। আজ থেকেই জেলা ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা যোদ্ধাকে জিপুর হয়ে কাজ করতে হবে। কারণ জিপু চৌধুরী জিতলেই জিতবে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠানের পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘তাঁরা এক সময় প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের বাড়িতে হামলা করেছিল। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে। এখন আমরা যারা শহরে নির্বিঘ্নে চলাচল করি, আগের মত পরিবেশ আর নেই। তবে তাঁরা যদি পুনরায় পৌরসভার দায়িত্বে আসেন, তাহলে আবার আগের পরিবেশে চলে যাবে। পৌরসভার মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। তাঁরা আবার রক্তপাত ঘটাবে। কারণ তারা এই শহরে রক্তপাত ঘটিয়েছে। তাই আমরা অ্যাডভোকেট শফি মামার রক্তকে বৃথা যেতে দিতে পারি না। আমরা সৎ সাহস নিয়ে সততার সঙ্গে চলি। আর তারা মিথ্যা নিয়ে হুমকি দিয়ে চলে। পৌরসভার প্রত্যেকটি কাজ এখন মানুষ জানে-বোঝে। কিন্তু আগে কেউ জানতো না, জানতে দেওয়া হতো না। তারা বলেছে, পৌরসভার কর্মচারীদের বেতন বাকী। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, কর্মচারীদের কাছে জেনে দেখবেন। একটি টাকাও বাকি নেই। তারা শুধু মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। কারণ সত্য কথা বলতে হলে, আমাদের সুনাম করতেই হবে। আর আমরা সত্য কথায় বিশ্বাসী। কিন্তু তাদের ভিতরে দুর্নীতি আর মিথ্যা ছাড়া কিছু নেই। আগে যেই পৌর পরিষদে এসে মানুষ মারধরের শিকার হতো, এখন সেই পৌর পরিষদে এসে মানুষ চা খায় আর আমার সঙ্গে সুখ-দুঃখের গল্প করে। তারা দেখছে, এবার যদি তারা ক্ষমতায় না আসে, তাহলে ওই পরিবারকে মানুষ বর্জন করবে। এজন্য তারা ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা ভাবছে, যদি ক্ষমতায় না আসতে পারে, তাহলে চুয়াডাঙ্গার মানুষকে অত্যাচার করতে পারবে না। তারা মানুষকে জিম্মি করার জন্য, মানুষের কাছে চাঁদাবাজী করার জন্য, কাউন্টার মাস্টার থেকে বাড়ি-গাড়ি করার জন্য ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন। সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ তারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। কিন্তু আমরা সত্য ও সততায় বিশ্বাসী। সত্য দিয়েই জয় সবাই করব, ইনশা-আল্লাহ।’
এসময় পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু তাঁর পাশে থাকার আহ্বান জানালে উপস্থিত ছাত্ররা ও সাধারণ নেতা-কর্মীরা একবাক্যে তাঁকে সমর্থন প্রদান করেন। নেতা-কর্মীদের সমর্থনের সূত্রধরে তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা পাশে থাকলে আমি সাহস পাব এবং চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে আরও এগিয়ে নেব।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সদস্য আবু তাহের, মাফিজুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন জ্যাকি, সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ, পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গির হোসেন, সহসভাপতি মোমেনুল হাসান, ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম শেখ, ইমরান, রাকিবুল ইসলাম, নিপ্পন, শেখ শাওন, আশিকুর রহমান হিমু, আনিস, আকিব, সুমন, শিবলু, ফয়সাল, আতিকুর রহমান, শিথুন, লিখন, রাইসুল, রিয়ন, প্লাবন, টুটুল, সানজীদ, জুয়েল, সাইফুল, শুভসহ আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।