ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জাহান্নামবাসীর বীভৎস রূপ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: কোরান ও হাদিসে জাহান্নামবাসীর চেহারার বীভৎস রূপ এবং বিশাল আকৃতির কুৎসিত অবস্থা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, এবং অনেক মুখমণ্ডল সেদিন হবে ধূলি ধূসরিত। তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে। তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল। (সূরা আবাসা : ৪০-৪২)। যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, কিয়ামতের দিন আপনি তাদের মুখ কালো দেখবেন। অহঙ্কারীদের আবাসস্থল জাহান্নাম নয় কি? (সূরা যুমার : ৬০)। অনেক মুখমণ্ডল সেদিন হবে ভীত-সন্ত্রস্ত। ক্লিষ্ট, ক্লান্ত। তারা জ্বলন্ত আগুনে পতিত হবে। (সূরা গাশিয়াহ : ২-৪)। আগুন তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারণ করবে। (সূরা মুমিনুন : ১০৪)। আর অনেক মুখমণ্ডল সেদিন বিবর্ণ হয়ে পড়বে। তারা আশঙ্কা করবে যে তাদের সঙ্গে কোমর ভাঙা আচরণ করা হবে। (সূরা কিয়ামাহ : ২৪-২৫)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কাফেরের (মাড়ির) দাঁত উহুদ পাহাড়ের মতো এবং তাদের চামড়ার পুরুত্ব তিন দিনের ভ্রমণপথের দূরত্বের সমান। (মুসলিম : ২৮৫১)। কেয়ামতের দিন কাফেরের দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের মতো, তাদের চামড়ার পুরুত্ব হবে সত্তর হাত, তাদের বাহু হবে বায়যা নামক স্থানের মতো, তাদের উরু হবে ওরকান নামক স্থানের মতো, আর জাহান্নামে তাদের বসার স্থানটি হবে আমি এবং রাবযাহ নামক স্থানের দূরত্ব সমান। (আহমাদ : ৮৩২৭, হাকেম : ৮৭৫৯)। জাহান্নামে কাফেরের দুই কাঁধের মাঝের দূরত্ব অতি দ্রুতগামী আরোহীর তিন দিনের ভ্রমণপথের দূরত্ব সমান। (বুখারী : ৬৫৫১, মুসলিম : ৫২)। অবিশ্বাসী, অংশীবাদী ও কপট লোকেরা চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে। সেখান থেকে তাদের বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর অপরাধী একত্ববাদীরা আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাধীন থাকবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের ক্ষমা করবেন অথবা অপরাধ অনুপাতে শাস্তি দেবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী এবং কাফেরদের জন্য জাহান্নামের আগুনের ওয়াদা করেছেন। তাতে তারা চিরকাল পড়ে থাকবে। সেটিই তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন এবং তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী আজাব। (সূরা তাওবা : ৬৮)। আল্লাহ আরো বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তার সঙ্গে অংশ স্থির করার অপরাধ ক্ষমা করেন না, তিনি ক্ষমা করেন এর চেয়ে ছোট অপরাধ যাকে ইচ্ছা। (সূরা নিসা : ৪৮)।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জাহান্নামবাসীর বীভৎস রূপ

আপলোড টাইম : ০৫:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: কোরান ও হাদিসে জাহান্নামবাসীর চেহারার বীভৎস রূপ এবং বিশাল আকৃতির কুৎসিত অবস্থা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, এবং অনেক মুখমণ্ডল সেদিন হবে ধূলি ধূসরিত। তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে। তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল। (সূরা আবাসা : ৪০-৪২)। যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, কিয়ামতের দিন আপনি তাদের মুখ কালো দেখবেন। অহঙ্কারীদের আবাসস্থল জাহান্নাম নয় কি? (সূরা যুমার : ৬০)। অনেক মুখমণ্ডল সেদিন হবে ভীত-সন্ত্রস্ত। ক্লিষ্ট, ক্লান্ত। তারা জ্বলন্ত আগুনে পতিত হবে। (সূরা গাশিয়াহ : ২-৪)। আগুন তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারণ করবে। (সূরা মুমিনুন : ১০৪)। আর অনেক মুখমণ্ডল সেদিন বিবর্ণ হয়ে পড়বে। তারা আশঙ্কা করবে যে তাদের সঙ্গে কোমর ভাঙা আচরণ করা হবে। (সূরা কিয়ামাহ : ২৪-২৫)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কাফেরের (মাড়ির) দাঁত উহুদ পাহাড়ের মতো এবং তাদের চামড়ার পুরুত্ব তিন দিনের ভ্রমণপথের দূরত্বের সমান। (মুসলিম : ২৮৫১)। কেয়ামতের দিন কাফেরের দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের মতো, তাদের চামড়ার পুরুত্ব হবে সত্তর হাত, তাদের বাহু হবে বায়যা নামক স্থানের মতো, তাদের উরু হবে ওরকান নামক স্থানের মতো, আর জাহান্নামে তাদের বসার স্থানটি হবে আমি এবং রাবযাহ নামক স্থানের দূরত্ব সমান। (আহমাদ : ৮৩২৭, হাকেম : ৮৭৫৯)। জাহান্নামে কাফেরের দুই কাঁধের মাঝের দূরত্ব অতি দ্রুতগামী আরোহীর তিন দিনের ভ্রমণপথের দূরত্ব সমান। (বুখারী : ৬৫৫১, মুসলিম : ৫২)। অবিশ্বাসী, অংশীবাদী ও কপট লোকেরা চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে। সেখান থেকে তাদের বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর অপরাধী একত্ববাদীরা আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাধীন থাকবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের ক্ষমা করবেন অথবা অপরাধ অনুপাতে শাস্তি দেবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী এবং কাফেরদের জন্য জাহান্নামের আগুনের ওয়াদা করেছেন। তাতে তারা চিরকাল পড়ে থাকবে। সেটিই তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন এবং তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী আজাব। (সূরা তাওবা : ৬৮)। আল্লাহ আরো বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তার সঙ্গে অংশ স্থির করার অপরাধ ক্ষমা করেন না, তিনি ক্ষমা করেন এর চেয়ে ছোট অপরাধ যাকে ইচ্ছা। (সূরা নিসা : ৪৮)।