ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জামাই-শাশুড়ির প্রেম, শ্বশুরের আত্মহত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯
  • / ২৯১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মহেশ্বরচাঁদা গ্রামে আসাদুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। জামাই-শাশুড়ির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হওয়ায় অপমান সইতে না পেরে শ্বশুর আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসাদুল উপজেলার মহেশ্বরচাঁদা গ্রামের সবের আলী ম-লের ছেলে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামাতা বিল্লাল হোসেন (২০) ও শাশুড়ি সুফিয়া খাতুনকে আটকে রাখেন।
প্রতিবেশীরা জানান, আসাদুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের সঙ্গে তাঁর জামাই পার্শ¦বর্তী শালিখা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক ফাঁস হয়ে পড়ে। এ নিয়ে আসাদুল ও স্ত্রী সুফিয়ার মধ্যে বাগবিত-ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গত বুধবার দুপুরে আসাদুল পার্শ¦বর্তী মাঠে গিয়ে কীটনাশক পান করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মহেশ্বরচাঁদা গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গনি জানান, জামাই বিল্লাল হোসেন ও শাশুড়ি সুফিয়ার প্রেমের সম্পর্কের কারণে গত বুধবার বিকেলে কীটনাশক পান করেন আসাদুল। এর পর তিনি মারা যান। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর জামাই বিল্লাল হোসেন ও সুফিয়াকে গ্রামবাসী আটক করে রেখেছে।
জামাই বিল্লাল হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানিয়ে বলেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে চার মাস। আমি মোটরগাড়িতে কাজ করি। শ্বশুর বাড়িতে আসার সময় পাই না। এ সব সাজানো নাটক এবং গ্রামবাসী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’ কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী জানান, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জামাই-শাশুড়ির প্রেম, শ্বশুরের আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ০৯:৪২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মহেশ্বরচাঁদা গ্রামে আসাদুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। জামাই-শাশুড়ির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হওয়ায় অপমান সইতে না পেরে শ্বশুর আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসাদুল উপজেলার মহেশ্বরচাঁদা গ্রামের সবের আলী ম-লের ছেলে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামাতা বিল্লাল হোসেন (২০) ও শাশুড়ি সুফিয়া খাতুনকে আটকে রাখেন।
প্রতিবেশীরা জানান, আসাদুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের সঙ্গে তাঁর জামাই পার্শ¦বর্তী শালিখা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক ফাঁস হয়ে পড়ে। এ নিয়ে আসাদুল ও স্ত্রী সুফিয়ার মধ্যে বাগবিত-ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গত বুধবার দুপুরে আসাদুল পার্শ¦বর্তী মাঠে গিয়ে কীটনাশক পান করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মহেশ্বরচাঁদা গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গনি জানান, জামাই বিল্লাল হোসেন ও শাশুড়ি সুফিয়ার প্রেমের সম্পর্কের কারণে গত বুধবার বিকেলে কীটনাশক পান করেন আসাদুল। এর পর তিনি মারা যান। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর জামাই বিল্লাল হোসেন ও সুফিয়াকে গ্রামবাসী আটক করে রেখেছে।
জামাই বিল্লাল হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানিয়ে বলেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে চার মাস। আমি মোটরগাড়িতে কাজ করি। শ্বশুর বাড়িতে আসার সময় পাই না। এ সব সাজানো নাটক এবং গ্রামবাসী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’ কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী জানান, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।