ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জাফরপুর স্টেডিয়ামের পরিবর্তে ভোট হবে অফিসার্স ক্লাবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের সঙ্গে ডিসির মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন-২০২০ জাফরপুর জেলা স্টেডিয়ামের পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হবে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের অফিসার্স ক্লাবে। গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ক্রীড়া সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে নির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন উৎসবমূখর পরিবেশে জাতীয় নির্বাচনের আদলে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচনের সকল নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা হবে। এই সভাতেই সবার সম্মতি নিয়েই নির্বাচনের ভেন্যু পরিবর্তন করে চুয়াডাঙ্গা অফিসার্স ক্লাবে করা হলো। নির্বাচনে ব্যালট পেপার পদ অনুযায়ী আলাদা আলাদা থাকবে। সবগুলো একসঙ্গে একটি সেট করে রাখা হবে। খুব সহজেই ভোট দেওয়া যাবে। প্রত্যেক ভোটার নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সর্বোচ্চ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। যেমন সহসভাপতি পদে ৪ জনকে, সাধারণ সম্পাদক পদে ১ জনকে, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ১ জনকে, যুগ্ম সম্পাদক ২ জনকে, কোষাধ্যক্ষ ১ জনকে, নির্বাহী সদস্য ১৪ জনকে এবং উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক (সংরক্ষিত নির্বাহী সদস্য পদে) ২ জনকে ভোট দিতে পারবে। কোথাও এর বেশি দিলে ভোট বাতিল বলে গণ্য করা হবে। ভোট কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যাবে না। পদ অনুযায়ী অ্যালফাবেটিক (বর্ণমালা) অনুযায়ী নাম সাজানো থাকবে। দুটি বুথ করা হবে। দুই বুথে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে থাকবেন। দুইজন পোলিং অফিসার এবং আপনাদের দেওয়া দুই প্যানেলের দুইজন পোলিং এজেন্ট থাকবে। একজন করে পোলিং এজেন্ট অতিরিক্ত রাখতে পারবেন। ভোট দিতে হলে সকল ভোটারকে জাতীয় পরিচয়পত্র আনতে হবে। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, নির্বাচনে হার-জিত থাকবেই। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে আন্তরিকতা রাখতে হবে। যেই জিতুক একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচনে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। আমি নিজেও পদাধিকারবলে একজন ভোটার। তাই ভোটার হিসেবেই বলছি, ভোট হবে উৎসবমুখর পরিবেশে।’
এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন-২০২০ এর নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, রিটার্নিং অফিসার ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আমজাদ হোসেন, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম লাড্ডু ও নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারসহ প্যানেলের অনান্য প্রার্থীরা ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জাফরপুর স্টেডিয়ামের পরিবর্তে ভোট হবে অফিসার্স ক্লাবে

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের সঙ্গে ডিসির মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন-২০২০ জাফরপুর জেলা স্টেডিয়ামের পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হবে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের অফিসার্স ক্লাবে। গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ক্রীড়া সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে নির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন উৎসবমূখর পরিবেশে জাতীয় নির্বাচনের আদলে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচনের সকল নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা হবে। এই সভাতেই সবার সম্মতি নিয়েই নির্বাচনের ভেন্যু পরিবর্তন করে চুয়াডাঙ্গা অফিসার্স ক্লাবে করা হলো। নির্বাচনে ব্যালট পেপার পদ অনুযায়ী আলাদা আলাদা থাকবে। সবগুলো একসঙ্গে একটি সেট করে রাখা হবে। খুব সহজেই ভোট দেওয়া যাবে। প্রত্যেক ভোটার নিয়ম অনুযায়ী তাঁর সর্বোচ্চ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। যেমন সহসভাপতি পদে ৪ জনকে, সাধারণ সম্পাদক পদে ১ জনকে, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ১ জনকে, যুগ্ম সম্পাদক ২ জনকে, কোষাধ্যক্ষ ১ জনকে, নির্বাহী সদস্য ১৪ জনকে এবং উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক (সংরক্ষিত নির্বাহী সদস্য পদে) ২ জনকে ভোট দিতে পারবে। কোথাও এর বেশি দিলে ভোট বাতিল বলে গণ্য করা হবে। ভোট কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যাবে না। পদ অনুযায়ী অ্যালফাবেটিক (বর্ণমালা) অনুযায়ী নাম সাজানো থাকবে। দুটি বুথ করা হবে। দুই বুথে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে থাকবেন। দুইজন পোলিং অফিসার এবং আপনাদের দেওয়া দুই প্যানেলের দুইজন পোলিং এজেন্ট থাকবে। একজন করে পোলিং এজেন্ট অতিরিক্ত রাখতে পারবেন। ভোট দিতে হলে সকল ভোটারকে জাতীয় পরিচয়পত্র আনতে হবে। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, নির্বাচনে হার-জিত থাকবেই। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে আন্তরিকতা রাখতে হবে। যেই জিতুক একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচনে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। আমি নিজেও পদাধিকারবলে একজন ভোটার। তাই ভোটার হিসেবেই বলছি, ভোট হবে উৎসবমুখর পরিবেশে।’
এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন-২০২০ এর নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, রিটার্নিং অফিসার ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আমজাদ হোসেন, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম লাড্ডু ও নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারসহ প্যানেলের অনান্য প্রার্থীরা ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।