ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ছেলেধরা গুজব ছড়ানো ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯
  • / ২০৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, আইসিটির ওপর গুরুত্ব ও এসডিজি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। চুয়াডাঙ্গার কোনো কাজি যদি বাল্যবিবাহ পড়ান, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নাগরিক ও জন্মসনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা জরুরি। জাল জন্মসনদ পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় তিনি সদর হাসপাতালের অগ্রগতির জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সদর হাসপাতালের একমুখী সড়কটি একমুখী হিসেবে চালু রাখতে হবে এবং রোগীদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। দেশের চলমান ছেলেধরা গুজবের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। গুজব ছড়ানো ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় তিনি দাপ্তরিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখে জনগণের সেবা প্রদানের জন্য সব দপ্তরকে নির্দেশ দেন।
সভায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার বলেন, জেলার মানুষের পাশে পুলিশ বন্ধু হিসেবে আছে। পুলিশ সব সময় সব কাজে মানুষের পাশে আছে, থাকবে। এ সময় তিনি যেকোনো প্রকার সমস্যার ক্ষেত্রে তাঁকে জানানোর অনুরোধ করেন।। তিনি আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত। অন্যায়ের তথ্য দিন, সমাজ থেকে অন্যায়কে প্রতিহত করুন। মাদকদ্রব্য নির্মূলে সাহায্য করুন।’
চুয়াডাঙ্গার নবাগত সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। এ জেলার স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে আপনারা সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন। হাসপাতালের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক রফিকুজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দীপ্তিময়ী জামান, জীবননগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী, ভারপ্রাপ্ত সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট আইয়ুব আলী, পরিবার পরিকল্পনা আিধদপ্তরে উপপরিচালক দীপক কুমার সাহা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ছেলেধরা গুজব ছড়ানো ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে

আপলোড টাইম : ১০:১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, আইসিটির ওপর গুরুত্ব ও এসডিজি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। চুয়াডাঙ্গার কোনো কাজি যদি বাল্যবিবাহ পড়ান, তবে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নাগরিক ও জন্মসনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা জরুরি। জাল জন্মসনদ পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় তিনি সদর হাসপাতালের অগ্রগতির জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সদর হাসপাতালের একমুখী সড়কটি একমুখী হিসেবে চালু রাখতে হবে এবং রোগীদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। দেশের চলমান ছেলেধরা গুজবের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। গুজব ছড়ানো ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় তিনি দাপ্তরিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখে জনগণের সেবা প্রদানের জন্য সব দপ্তরকে নির্দেশ দেন।
সভায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার বলেন, জেলার মানুষের পাশে পুলিশ বন্ধু হিসেবে আছে। পুলিশ সব সময় সব কাজে মানুষের পাশে আছে, থাকবে। এ সময় তিনি যেকোনো প্রকার সমস্যার ক্ষেত্রে তাঁকে জানানোর অনুরোধ করেন।। তিনি আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত। অন্যায়ের তথ্য দিন, সমাজ থেকে অন্যায়কে প্রতিহত করুন। মাদকদ্রব্য নির্মূলে সাহায্য করুন।’
চুয়াডাঙ্গার নবাগত সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। এ জেলার স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে আপনারা সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন। হাসপাতালের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক রফিকুজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দীপ্তিময়ী জামান, জীবননগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী, ভারপ্রাপ্ত সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট আইয়ুব আলী, পরিবার পরিকল্পনা আিধদপ্তরে উপপরিচালক দীপক কুমার সাহা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।