ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র হাতে ৩০ কেজি স্বর্ণের বারসহ এক চোরাচালানি আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৭১০ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চোরাচালান বিরোধী সফল অভিযান
বিশেষ প্রতিবেদক: ভারতে পাচারের সময় ৩০ কেজি স্বর্ণের বারসহ আনোয়ারুল ইসলাম (৩৪) নামের এক চোরাচালানিকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলে তল্লাশী চালিয়ে ২৬০টি উন্নতমানের স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে বিজিবি। আটক আনোয়ারুল ইসলাম জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের মুনসুর আলীর ছেলে।
বিজিবি জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টা ৫০মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল ইমাম হাসান মৃধার নেতৃত্বে হাবিলদার শ্রী বীরেন্দ্র নাথ দত্তসহ ১০ সদস্যের একটি বিশেষ টহলদল দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালায়। এ সময় আনোয়ারুল ইসলাম নামের ওই চোরাচালানির মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়। পরে তাকে আটক করে তার মোটরসাইকেল তল্লাশী করা হলে টুলবক্সের মধ্যে অভিনব কৌশলে রাখা একটি কাপড়ের ব্যাগ থেকে ৩০ কেজি ১৫৫ গ্রাম (২ হাজার ৫৮৬ ভরি) ওজনের উন্নতমানের ২৬০টি স্বর্ণের বার (২৪ ক্যারেট) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। এছাড়াও আটককৃত ব্যক্তির কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল (মেহেরপুর-হ-১২-২৭০৫) জব্দ করা হয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বেশ কয়েকবার হাত বদলের মাধ্যমে একটি চালান ভারতে পাচার করে থাকে। তেমনি একটি পক্ষ এই মোটরসাইকেলের ভেতরে অভিনব কৌশলে স্বর্ণ নিয়ে দর্শনা বটতলা থেকে আনোয়ারুলের হাতে তুলে দেয়। এখান থেকে তার দায়িত্ব ছিল মোটরসাইকেলটি চালিয়ে দর্শনা পুরাতন বাজার হয়ে, পারকৃষ্ণপুর-মদনায় আরেক জনের হাতে পৌঁছে দেওয়ার। তার আগেই বিজিবির হাতে আটক হয় সে।


এদিকে, বেলা ২টার দিকে আসামীসহ উদ্ধারকৃত মালামাল নিয়ে আসা হয় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র সদর দফ্তরে। এ সময় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল ইমাম হাসান মৃধা বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি সদস্যরা সতর্কতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সম্প্রতি আমরা সংবাদ পায় এ অঞ্চলের একটি সংঘবদ্ধ স্বর্ণ চোরাচালানী চক্র দর্শনা থেকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা হয়ে বড়বলদিয়া সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের চালান ভারতে পাচার করছে। এরপর আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার দিকে মনযোগ দিই আমরা। গত তিনদিন আগে আমরা তথ্য পায় শুক্রবার সকালে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হোন্ডাতে করে স্বর্ণ নিয়ে ভারতে পাচার করা হতে পারে। এ খবরের ভিত্তিতে আমাদের বিশেষ টহল দল পারকৃষ্ণপুর-মদনা এলাকায় অবস্থান নেয়। সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দাড়িয়ে ওই হোন্ডা চালককে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তাকে থামিয়ে বাইক/হোন্ডা সার্স করে অভিনব কৌশলে রাখা একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। যারমধ্যে ২৬০টি উন্নত মানের স্বর্ণের বার রয়েছে, মূল্য আনুমানিক ১২ কোটি টাকা।’
এদিকে, জব্দকৃত ২৬০টি স্বর্ণের বার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের ট্রেজারিতে জমা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র হাবিলদার শ্রী বীরেন্দ্র নাথ দত্ত বাদী হয়ে আটককৃত মোটরসাইকেলসহ আসামী আনোয়ারুল ইসলামকে দামুড়হুদা থানায় সোপর্দ করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র হাতে ৩০ কেজি স্বর্ণের বারসহ এক চোরাচালানি আটক

আপলোড টাইম : ১০:৫১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

দামুড়হুদা পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চোরাচালান বিরোধী সফল অভিযান
বিশেষ প্রতিবেদক: ভারতে পাচারের সময় ৩০ কেজি স্বর্ণের বারসহ আনোয়ারুল ইসলাম (৩৪) নামের এক চোরাচালানিকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলে তল্লাশী চালিয়ে ২৬০টি উন্নতমানের স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে বিজিবি। আটক আনোয়ারুল ইসলাম জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের মুনসুর আলীর ছেলে।
বিজিবি জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টা ৫০মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল ইমাম হাসান মৃধার নেতৃত্বে হাবিলদার শ্রী বীরেন্দ্র নাথ দত্তসহ ১০ সদস্যের একটি বিশেষ টহলদল দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালায়। এ সময় আনোয়ারুল ইসলাম নামের ওই চোরাচালানির মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়। পরে তাকে আটক করে তার মোটরসাইকেল তল্লাশী করা হলে টুলবক্সের মধ্যে অভিনব কৌশলে রাখা একটি কাপড়ের ব্যাগ থেকে ৩০ কেজি ১৫৫ গ্রাম (২ হাজার ৫৮৬ ভরি) ওজনের উন্নতমানের ২৬০টি স্বর্ণের বার (২৪ ক্যারেট) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। এছাড়াও আটককৃত ব্যক্তির কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল (মেহেরপুর-হ-১২-২৭০৫) জব্দ করা হয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বেশ কয়েকবার হাত বদলের মাধ্যমে একটি চালান ভারতে পাচার করে থাকে। তেমনি একটি পক্ষ এই মোটরসাইকেলের ভেতরে অভিনব কৌশলে স্বর্ণ নিয়ে দর্শনা বটতলা থেকে আনোয়ারুলের হাতে তুলে দেয়। এখান থেকে তার দায়িত্ব ছিল মোটরসাইকেলটি চালিয়ে দর্শনা পুরাতন বাজার হয়ে, পারকৃষ্ণপুর-মদনায় আরেক জনের হাতে পৌঁছে দেওয়ার। তার আগেই বিজিবির হাতে আটক হয় সে।


এদিকে, বেলা ২টার দিকে আসামীসহ উদ্ধারকৃত মালামাল নিয়ে আসা হয় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র সদর দফ্তরে। এ সময় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল ইমাম হাসান মৃধা বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি সদস্যরা সতর্কতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সম্প্রতি আমরা সংবাদ পায় এ অঞ্চলের একটি সংঘবদ্ধ স্বর্ণ চোরাচালানী চক্র দর্শনা থেকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা হয়ে বড়বলদিয়া সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের চালান ভারতে পাচার করছে। এরপর আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার দিকে মনযোগ দিই আমরা। গত তিনদিন আগে আমরা তথ্য পায় শুক্রবার সকালে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হোন্ডাতে করে স্বর্ণ নিয়ে ভারতে পাচার করা হতে পারে। এ খবরের ভিত্তিতে আমাদের বিশেষ টহল দল পারকৃষ্ণপুর-মদনা এলাকায় অবস্থান নেয়। সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দাড়িয়ে ওই হোন্ডা চালককে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তাকে থামিয়ে বাইক/হোন্ডা সার্স করে অভিনব কৌশলে রাখা একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। যারমধ্যে ২৬০টি উন্নত মানের স্বর্ণের বার রয়েছে, মূল্য আনুমানিক ১২ কোটি টাকা।’
এদিকে, জব্দকৃত ২৬০টি স্বর্ণের বার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের ট্রেজারিতে জমা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র হাবিলদার শ্রী বীরেন্দ্র নাথ দত্ত বাদী হয়ে আটককৃত মোটরসাইকেলসহ আসামী আনোয়ারুল ইসলামকে দামুড়হুদা থানায় সোপর্দ করেন।