চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে চোর আটক : গণধোলাই
- আপলোড টাইম : ১০:৩৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুন ২০১৮
- / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগী ও রোগীর লোকজনের পিছু ছাড়ছে না চোর। সামান্য বেখেয়াল হলেই চোর হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকার ব্যাগ। এমন কি এক শিশুর গলা থেকে একটি সোনার চেইন চুরি ঘটনা ঘটে। মাস চারেকের মধ্যে ভ্যান, অটো, সাইকেল ও চুরি করে নিয়ে যায় এ সংঘবদ্ধ চোরচক্র। এমনকি সরকারী হাসপাতালে প্রকাশ্য চিকিৎসকের রুমের পানির ট্যাব খুলে নিয়ে চোর সটকে পড়ে। সিসিটিভি ক্যামেরায় এই সিন্ডিকেটদের সনাক্ত করা গেলেও তাদের টিকিও ছুতে পারতো না পুলিশ। এই সংঘবদ্ধ চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ রোগী ও পুলিশ প্রশাসন। গতকাল বিকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের রুমে ডুকে চুরির সময় মানিক রতন (২৬) নামের এক যুবককে হাতেনাটে আটক করেছে জরুরী বিভাগের সেচ্ছাসেবকেরা। তাকে গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। রোগীর চুরি হওয়া মোবাইল ফোন তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার সহযোগী টোকন পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত যুবক মানিক রতন যশোর জেলার অভয়নগর থানার ভূঁইয়াপাড়ার সিরাজ মোল্লার ছেলে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সদর হাসপাতালের ২নং কেবিনে চিকিৎসধীন জোসনা তারা ও তার স্বামী সাহাবুদ্দিনের ২টি মোবাইল ফোন চুরি করে মানিক ও টোকন। পরে জরুরী বিভাগে চিকিৎসকের রুমের ঢুকে ডিউটিরত চিকিৎসক ডা. শামিমা ইয়াসমিনের ব্যাগে চুরির চেষ্টা করে। এসময় জরুরী বিভাগের এক সেচ্ছাসেবক বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে হাতেনাতে আটক করে। তার সাথে থাকা মুল হোতা টোকন বিষয়টি বুঝতে পেরে সটকে পড়ে। পরে উত্তেজিত জনতা চোর মানিককে গণধোলাই দেয়। তার নিকট থেকে চুরি যাওয়া দুটির মধ্যে জোসনা তারার মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মানিককে আটক করে থানায় নেই। পরে জোসনা তারা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানাই পুলিশ।