ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মোবাইল চুরির ঘটনায় আটক শিশু শুভ সেইফ হোমে আরএমও’র শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০১৭
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মোবাইল চুরির ঘটনায় আটক শিশু শুভ সেইফ হোমে
আরএমও’র শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
বিএমএ’র নিন্দা জ্ঞাপন : সু-বিচার পেতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করতেও প্রস্তুত লোকমোর্চা ও মানবতা
DSCN9876নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইলফোন চুরির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের লাশ রাখা ঘরে শিশুকে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগম। একইসাথে এ ঘটনার নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখাসহ লোকমোর্চা, মানবতা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণ ফুঁসে উঠেছে ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. আবু হাসান মো. ওয়াহেদ রানার বিরুদ্ধে। গত বুধবার সকালে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে রোগির মোবাইলফোন চুরির অপরাধে আরএমওসহ হাসপাতালের কর্মচারিরা শিশু শুভকে উপর্যুপরি নির্যাতন শেষে লাশ রাখা ঘরে ১০ ঘন্টা আটকে রাখে। 20227465_510461255953884_1901278719_n
হাসপাতালের এই জঘন্য শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি জানাজানি হলে জনরোষে পরিনত হয়। সর্বশেষ ছুটিতে থাকায় তত্ত্বাবধায়ক ডা. রওশন আরা বেগম বিষয়টি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালকের মাধ্যমে জানার পর কর্তব্যরত আরএমও ডা. আনু হাসান মো. ওয়াহেদ রানাকে মোবাইলফোনে নির্দেশ দেয় শিশুকে অনবিলম্বে পুলিশ হেফাজতে দেয়া হোক। পরে আরএমও সিভিল সার্জনের নির্দেশ মোতাবেক চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় খবর দিয়ে রাত ৮টার দিকে শিশু শুভকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, শিশু শুভকে আরএমও মোবাইল চুরির অপরাধে আটক রাখে। আমরা তাকে উদ্ধার করে শিশুটির কাছে জানতে পারি সে ঝিনাইদহ জেলার কালিহাটি গ্রামের মৃত বাদলের ছেলে। তার মা তার থেকে পৃথক থাকে। সে বর্তমানে ঝিনাইদহ আরাপপুরে নানীর আশ্রয়ে থাকে। কোন অভিভাবকের তত্ত্বাবধানের অভাবে শিশুটি ভবঘুরে অবস্থায় বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াই। সে মোবাইল চুরির অপরাধের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। এরপর তার কথামত বুধবার রাতেই তার প্রকৃত অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়ার জন্য ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের মাধ্যমে তার অভিভাবকের খোঁজ করা হয়। কিন্তু তাকে গ্রহণ করার কোন অভিভাবক যোগাযোগ না করায় তাকে সেইফ হোমে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে মোতাবেক শিশু হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় শিশু অপরাধি হিসেবে ৫১ ধারায় ভবঘুরে হিসেবে ধৃত করে চুয়াডাঙ্গা আদালতের মাধ্যমে নিরাপদ আশ্রয় সেইফ হোমে পাঠানো হয়েছে।
শিশু নির্যাতনের ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ঢাকাতে অবস্থান করা কালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালকের মাধ্যমে মোবাইলফোনে খবর পাওয়া মাত্র ওই শিশুকে থানা হেফাজতে দেয়ার জন্য বলেছি। তবে, আরএমও যেটি করেছেন, সেটা আসলেই দুঃখজনক বিষয়। আইন সবার জন্য সমান। তিনি কখনোই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। আগামি শনিবার যদিও আমার অফিস নেই, তবুও চিকিৎসক নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে বসবো। তদন্ত করে আরএমও’র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হিরক চৌধুরী বলেন, চুরির অপরাধে একটি শিশুকে দিনভর লাশ রাখা ঘরে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনাটি কোন চিকিৎসক ঘটাবেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাকে সারাদিন আটকে রাখা হয়েছে লাশ রাখা ঘরে, খাবার পানি পর্যন্তও দেয়া হয়নি। অপরাধীদের জন্য পুলিশ আছে, প্রয়োজনে তাকে পুলিশে সোপর্দ করতো। তা না করে তিনি শিশুকে আটকে রেখে দিনভর নির্যাতন করেছেন। যা মানবতা লঙ্ঘন করার মত অপরাধ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। ইতোমধ্যে সিভিল সার্জনের সাথে কথা হয়েছে। তিনি ঢাকাতে আছেন, চুয়াডাঙ্গা ফিরে বৈঠকে আরএমও’র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হবে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেন বলেন, গত বুধবার হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারি সহ আরএমও নিজে একটি শিশুকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে তা দৃষ্টান্তমূলক অপরাধ। তারা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি লাশ কাটা ঘরে আটকে রেখেছে, যা মানবতা বিরোধী। চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যদি কেউ আমাদের কাছে এ ঘটনায় অভিযোগ নিয়ে আসে, তাহলে আমরা জেলা লোকমোর্চার মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা করবো।
মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার বলেন, মোবাইল চুরির অপরাধে একজন নাবালক শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও আটকে রেখে নির্যাতন করেছেন, তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেও অন্যায় এবং বাংলাদেশ দন্ডবিধি অনুসারেই অন্যায়। আমি শুধু একজন অ্যাডভোকেটই নই, মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক। বাদি যদি এর বিচার চাই, প্রয়োজনে আমি বাদি হয়ে আরএমও’র বিরুদ্ধে মামলা করবো এবং তাদের আইনগত সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত আমরা।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও দ্বারা শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি জনসাধারণের মনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সাধারণ জনগণের দাবি, শিশু নির্যাতনে অভিযুক্ত আরএমওসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মোবাইল চুরির ঘটনায় আটক শিশু শুভ সেইফ হোমে আরএমও’র শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

আপলোড টাইম : ০৬:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০১৭

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মোবাইল চুরির ঘটনায় আটক শিশু শুভ সেইফ হোমে
আরএমও’র শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
বিএমএ’র নিন্দা জ্ঞাপন : সু-বিচার পেতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করতেও প্রস্তুত লোকমোর্চা ও মানবতা
DSCN9876নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইলফোন চুরির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের লাশ রাখা ঘরে শিশুকে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগম। একইসাথে এ ঘটনার নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখাসহ লোকমোর্চা, মানবতা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ জনগণ ফুঁসে উঠেছে ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. আবু হাসান মো. ওয়াহেদ রানার বিরুদ্ধে। গত বুধবার সকালে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে রোগির মোবাইলফোন চুরির অপরাধে আরএমওসহ হাসপাতালের কর্মচারিরা শিশু শুভকে উপর্যুপরি নির্যাতন শেষে লাশ রাখা ঘরে ১০ ঘন্টা আটকে রাখে। 20227465_510461255953884_1901278719_n
হাসপাতালের এই জঘন্য শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি জানাজানি হলে জনরোষে পরিনত হয়। সর্বশেষ ছুটিতে থাকায় তত্ত্বাবধায়ক ডা. রওশন আরা বেগম বিষয়টি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালকের মাধ্যমে জানার পর কর্তব্যরত আরএমও ডা. আনু হাসান মো. ওয়াহেদ রানাকে মোবাইলফোনে নির্দেশ দেয় শিশুকে অনবিলম্বে পুলিশ হেফাজতে দেয়া হোক। পরে আরএমও সিভিল সার্জনের নির্দেশ মোতাবেক চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় খবর দিয়ে রাত ৮টার দিকে শিশু শুভকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, শিশু শুভকে আরএমও মোবাইল চুরির অপরাধে আটক রাখে। আমরা তাকে উদ্ধার করে শিশুটির কাছে জানতে পারি সে ঝিনাইদহ জেলার কালিহাটি গ্রামের মৃত বাদলের ছেলে। তার মা তার থেকে পৃথক থাকে। সে বর্তমানে ঝিনাইদহ আরাপপুরে নানীর আশ্রয়ে থাকে। কোন অভিভাবকের তত্ত্বাবধানের অভাবে শিশুটি ভবঘুরে অবস্থায় বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াই। সে মোবাইল চুরির অপরাধের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। এরপর তার কথামত বুধবার রাতেই তার প্রকৃত অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়ার জন্য ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের মাধ্যমে তার অভিভাবকের খোঁজ করা হয়। কিন্তু তাকে গ্রহণ করার কোন অভিভাবক যোগাযোগ না করায় তাকে সেইফ হোমে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে মোতাবেক শিশু হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় শিশু অপরাধি হিসেবে ৫১ ধারায় ভবঘুরে হিসেবে ধৃত করে চুয়াডাঙ্গা আদালতের মাধ্যমে নিরাপদ আশ্রয় সেইফ হোমে পাঠানো হয়েছে।
শিশু নির্যাতনের ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ঢাকাতে অবস্থান করা কালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালকের মাধ্যমে মোবাইলফোনে খবর পাওয়া মাত্র ওই শিশুকে থানা হেফাজতে দেয়ার জন্য বলেছি। তবে, আরএমও যেটি করেছেন, সেটা আসলেই দুঃখজনক বিষয়। আইন সবার জন্য সমান। তিনি কখনোই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। আগামি শনিবার যদিও আমার অফিস নেই, তবুও চিকিৎসক নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে বসবো। তদন্ত করে আরএমও’র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হিরক চৌধুরী বলেন, চুরির অপরাধে একটি শিশুকে দিনভর লাশ রাখা ঘরে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনাটি কোন চিকিৎসক ঘটাবেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাকে সারাদিন আটকে রাখা হয়েছে লাশ রাখা ঘরে, খাবার পানি পর্যন্তও দেয়া হয়নি। অপরাধীদের জন্য পুলিশ আছে, প্রয়োজনে তাকে পুলিশে সোপর্দ করতো। তা না করে তিনি শিশুকে আটকে রেখে দিনভর নির্যাতন করেছেন। যা মানবতা লঙ্ঘন করার মত অপরাধ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। ইতোমধ্যে সিভিল সার্জনের সাথে কথা হয়েছে। তিনি ঢাকাতে আছেন, চুয়াডাঙ্গা ফিরে বৈঠকে আরএমও’র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হবে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেন বলেন, গত বুধবার হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারি সহ আরএমও নিজে একটি শিশুকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে তা দৃষ্টান্তমূলক অপরাধ। তারা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি লাশ কাটা ঘরে আটকে রেখেছে, যা মানবতা বিরোধী। চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যদি কেউ আমাদের কাছে এ ঘটনায় অভিযোগ নিয়ে আসে, তাহলে আমরা জেলা লোকমোর্চার মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা করবো।
মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার বলেন, মোবাইল চুরির অপরাধে একজন নাবালক শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও আটকে রেখে নির্যাতন করেছেন, তা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেও অন্যায় এবং বাংলাদেশ দন্ডবিধি অনুসারেই অন্যায়। আমি শুধু একজন অ্যাডভোকেটই নই, মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক। বাদি যদি এর বিচার চাই, প্রয়োজনে আমি বাদি হয়ে আরএমও’র বিরুদ্ধে মামলা করবো এবং তাদের আইনগত সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত আমরা।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও দ্বারা শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি জনসাধারণের মনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সাধারণ জনগণের দাবি, শিশু নির্যাতনে অভিযুক্ত আরএমওসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।