ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা যদুপুরে বীর প্রতীকের কবর সংস্কার করল শেকড়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বেগমপুর তিতুদহ নবগঠিত নেহালপুর ও গড়াইটুপি ইউনিয়ন ইতিহাস ঐহিত্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ শেকড়-এর উদ্যোগে দীর্ঘ ৪৮ বছর পর চুয়াডাঙ্গা সদরের যদুপুরে আগাছায় ঢেকে যাওয়া রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত হারুন অর রশিদের কবর সংস্কার করা হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি শামীম হোসেন মিজি ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আরিফ হাসানের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা গতকাল মহান বিজয় দিবসের দিন এ আগাছা পরিস্কার করে কবরটি চিহিৃত করে সংস্কার করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেকড়-এর সহসভাপতি আব্দুল মতিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন মিজি, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য ইব্রাহিম চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বীর প্রতীক হারুন অর রশিদ বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাত্র ২৩ বছর বয়সে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর যুদ্ধকালীন উইং কমান্ডার বেগমপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলীর নেত্বতে যদুপুরে অবস্থিত পাকবাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। এসময় বীর প্রতিক হারুন অর রশিদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে এই মুক্তিযোদ্ধাকে যদুপুরে দাফন করে গ্রামবাসী। পরবর্তীতে স্বাধীনতাযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার হারুন অর রশিদকে বীর প্রতিক খেতাব দেয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা যদুপুরে বীর প্রতীকের কবর সংস্কার করল শেকড়

আপলোড টাইম : ১০:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বেগমপুর তিতুদহ নবগঠিত নেহালপুর ও গড়াইটুপি ইউনিয়ন ইতিহাস ঐহিত্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ শেকড়-এর উদ্যোগে দীর্ঘ ৪৮ বছর পর চুয়াডাঙ্গা সদরের যদুপুরে আগাছায় ঢেকে যাওয়া রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত হারুন অর রশিদের কবর সংস্কার করা হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি শামীম হোসেন মিজি ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আরিফ হাসানের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা গতকাল মহান বিজয় দিবসের দিন এ আগাছা পরিস্কার করে কবরটি চিহিৃত করে সংস্কার করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেকড়-এর সহসভাপতি আব্দুল মতিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন মিজি, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য ইব্রাহিম চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বীর প্রতীক হারুন অর রশিদ বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাত্র ২৩ বছর বয়সে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর যুদ্ধকালীন উইং কমান্ডার বেগমপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলীর নেত্বতে যদুপুরে অবস্থিত পাকবাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। এসময় বীর প্রতিক হারুন অর রশিদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে এই মুক্তিযোদ্ধাকে যদুপুরে দাফন করে গ্রামবাসী। পরবর্তীতে স্বাধীনতাযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার হারুন অর রশিদকে বীর প্রতিক খেতাব দেয়।