ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৫ তম মহান বিজয় দিবস পালিত বিজয় দিবসে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৪৫তম বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় বীর শহীদদের স্মরণ করেছে জাতি। একই সঙ্গে মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল দেশজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। সরকারি-বেসরকারি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিনটি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪৫তম দিবসে গতকাল শুক্রবার বীর শহীদদের স্মরণে লাখো জনতার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সকাল থেকে হাতে লাল সবুজের পতাকা আর রঙ-বেরঙের ফুল নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন লাখো জনতা। সব বয়সের সাধারণ মানুষ তাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে স্মরণ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ জাতির সূর্য সন্তানদের। একই সঙ্গে শপথ নেন যুদ্ধাপরাধীমুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার।  ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (তেজগাঁও পুরানা বিমানবন্দর) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪৫তম বার্ষিকী উদযাপন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করে জাতি। ভোর সাড়ে ৬টায় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর সেনানিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় শহীদদের প্রতি সালাম জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দলের পক্ষে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আবারও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাদহসহ সারাদেশে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় এ দিবসটি পালন করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় নানা কর্মসূচির মধ্যে শহীদ হাসান চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং আলোকসজ্জা করা হয়। এছাড়া বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবন সমূহেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছে অনেকেই। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে পৌর এলাকার সকল সড়ক ও সড়কদ্বীপ সমুহে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দ্বারা সাজানো হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের ছিলো বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বয়েজস্কাউটস, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ, হলদে পাখি, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর পাইলট করপোরাল ও সার্জেন্ট গার্ড অব অনারের মাধ্যমে এবং জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন প্যারেড কমা-ার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই চৌকস প্রহরায় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করান। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক সকলের উদ্দেশ্যে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে প্রাণবন্ত বক্তব্য শেষ করেন। বক্তব্য শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালাম গ্রহণ। এরপর তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক অনুষ্ঠিত শরীরচর্চা প্রদর্শনী উপভোগ করেন। মার্চপাস্ট, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক সাইদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার আবু হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান। বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলার প্রাক্তন খেলোয়াড় বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশ, মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বনাম সোনালি অতীত একাদশ এবং জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের আলোচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আঞ্জুমান আরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা শিশু সদন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সকালে শিশু সদন, দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযোদ্ধা শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন মুহা.সিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাক, দামুড়হুদা সার্কেল এসপি কলিমুল্লাহ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক। এদিকে সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় র‌্যালীটি টাউন ফুটবল মাঠ থেকে বের হয়ে শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে এসে শেষ হয়। সকালে জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন জেলা, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামজিক, সংগঠন স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। জেলা আওয়ামীলীগ বিজয় র‌্যালী বের করে র‌্যালীটি দলীয় কার্যলয় থেকে বের হয়ে আবারও দলীয় ক্যার্যলয়ে এসে শেষ হয়। র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন জাতীয় সংসদের হুইপ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রথম প্রহরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা বিএনপির কার্যালয় হইতে বীর শহীদের স্মরণে জননেতা জনাব মুহা:অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের হয় উক্ত মিছিলটি সহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ করে। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আদর্শ সরকারী মহিলা কলেজে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আদর্শ সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ। বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহসিন কবির, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপধ্যক্ষ ড. মোহা: জাহাঙ্গীর আলম।  আলোচনাসভা শেষে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বন্ধন বন্ধুবর্গ একটি জমকালো প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলায় লাল-সবুজ দুইটি দল অংশগ্রহণ করে। টসে সবুজ দল ব্যাটিং এ সিদ্ধান্ত নেয়। নির্ধারিত ওভারে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করে নিধারিত ওভারে জয়লাভ করে লাল দল। খেলাটি পরিচালনা করেন সবুজ, রাজা, বাবু, আলাউদ্দিন, সোহেল ও নান্টু।
আমাদের শহর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দৈনিক সময়ের সমীকরণের পক্ষ থেকে সম্পাদক ও প্রকাশক শরীফুজ্জামান শরীফ এর নেতৃত্বে মহান বিজয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষে গতকাল সকাল ৭টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিকসহ পত্রিকার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ এর নেতৃত্বে মহান বিজয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, আহবায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহানারা পারভীন, পৌর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফাতুল্লা মহলদার, সাবেক পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী মাসুদ জোয়ার্দ্দার বাবু, কামরুজ্জামান বাবলু, সহ-সভাপতি খাইরুল ইসলাম, পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পিটু, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মহিলা দল নেত্রী ও পৌর কাউন্সিলর শেফালী খাতুন, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন হাসান কাকন, বদর উদ্দিন বাদল, আবু রায়াহান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোকারম হোসেন, রেজাউল ইসলাম সৌদি, আনিসুর হক বিশু, শামিউল ওয়াহিদ শিমুল, বজলুর রহমান,আসাদুল হক বটুল, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, জেলা জাসাস সাধারণ সম্পাদক মো: সেলিমুল হাবিব সেলিম, সাবেক ছাত্র নেতা সুমন পারভেজ খান, তরুণ দলের আহবায়ক মাবুদ সরকার, যুবদল নেতা রুবেল হাসান, কাজল, মেহেবুব, তুহিন ইসলাম, সানোয়ার হোসেন, আব্দুস সালাম, জেলা ছাত্রদল নেতা আরিফ আহাম্মেদ শিপ্লব, পারভেজ মহলদার, রিন্টু মহলদার, সাহাবুদ্দিন।
ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গাতে ৪৫তম মহান বিজয় দিবস-২০১৬ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্িফল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল, সকাল ৮টার সময় ৪৫তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট্রিজ বোর্ডের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ সকল শিক্ষক কর্মচারী গণকে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গার উদ্দ্যোগে সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনসহ ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গার ট্রাস্টিজ বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান। এছাড়া বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে বিজয় দিবস সমন্ধে এক আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসার আব্দুল মোতালিব ট্রেজারার। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
১৬ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা সাথে বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা দিনব্যাপী বিস্তর কর্মসূচী গ্রহন করে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল, সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলোন, ‘মুক্তিযুদ্ধো ও শহীদ জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিজয় র‌্যালী সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়মে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের ১ম যুগ্ম আহবায়ক শামীম হাসান টুটুল। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক তানভীর হোসেন রাজিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক পরিস্থিতিতে জেলা বিএনপির পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সাবেক এবং বর্তমান ছাত্রদল নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক হামিদুল হক টুটুল, চুয়াডাঙ্গা  জেলা ছাত্রদলের সাবেক ক্রিয়া  সম্পাদক হামিদ উদ্দিন বাবু, চুয়াডঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ বাবুল, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেক উজ্জামান লিংকন, সাবেক ছাত্রনেতা  সামিউল আলম সানা, জেলা ছাত্রদরের আহবায়ক কমিটির সদস্য শামিম আহমেদ, সদর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ ছাত্রদল সভাপতি আশিকুল হক শিপুল, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান, জীবননগর উপজেলা ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিবুর রেজা কানন। জেলা ছাত্রদলের সদস্য সরোয়ার উদ্দিন, ইকরামুল হক, রহমত উল্লাহ খোকন, একলাসুর রহমান রাসেল, আমিনুল ইসলাম রশিদ, ফিরোজ হাসান মন্টু। আলোচনাসভা শেষে প্রেসক্লাব চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলি প্রদক্ষিণ করে সাহিত্য পরিষদ চত্ত্বরে শেষ হয়। উক্ত আলোচনা সভা ও বিজয় র‌্যালীতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সকল ইউনিটের সাবেক এবং বর্তমান ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। ভোর ৬টায় ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন। সূর্যদয়ের সাথে সাথে সরকারি বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মাজারে ও আলমডাঙ্গা বধ্যভূমির বেদিতে পূষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় গোবিন্দপুর শহীদ টগর ক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও তার একমাত্র ভাই খন্দকার জামসেদ নূরি বকুল শহীদ টগরের ছবি ও ফুল নিয়ে শহীদ মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদ টগরের ছবি টাঙিয়ে দেন। সকাল ৯টায় আলমডাঙ্গা উপজেলা চত্ত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান। সকাল ৯টা ১৫মিনিটে পুলিশ আনছার ও ভিডিপ, সিভিল ডিফেন্স, স্কাউটস, গার্লস গাইড ও স্কুল, মাদ্রাসা এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়। বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে বিজয় র‌্যালি প্রদর্শিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলহাজ¦ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডাঃ শাহাবুদ্দিন শাবু, এ্যাড. আব্দুর রশীদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, যুদ্ধকালীন গেরিলা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন কমান্ডার, শেখ নূর মোহাম্মদ জকু, সাবেক কমান্ডার আবুল কাশেম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিবর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শামিমুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম হাসিবুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ মাষ্টার, মঈন উদ্দিন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে মোট ১৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়। এরা হলেন শহীদ খন্দকার আশরাফ আলী আশু, শহীদ কিয়াম উদ্দিন, শহীদ জামসেদ নূরি টগর, শহীদ হাসান জামান, শহীদ আবু তালেব, শহীদ আব্দুল গনি, শহীদ আকবর হোসেন, শহীদ ফলেহার আলী, শহীদ হাবিবুর রহমান, শহীদ নজরুল ইসলাম, শহীদ মুরাদ হোসেন, শহীদ খন্দকার তালাত মাহমুদ, শহীদ শওরন আলম, শহীদ মোল্লা আবুল হোসেন নান্নু, শহীদ নজরুল ইসলাম, শহীদ হামিদার রহমান, বীর প্রতিক শহীদ নজরুল ইসলাম। এছাড়াও আলমডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর এলাকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বেলা ৩টায় পৌরসভা হলরুমে সংবর্ধনার আয়োজন করে। সংবর্ধনা অন্ষ্ঠুানে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। অতিথি ছিলেন ডাঃ শাহাব উদ্দিন, এ্যাড. আব্দুর রশীদ মোল্লা, আব্দুল হান্নান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, জামাল উদ্দিন কমান্ডার প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা ও পৌরসভায় মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নতমানের খাবর পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও দুপুর ২ঘটিকায় হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বাদ জুম্মা উপজেলার সকল মসজিদে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। বেলা সাড়ে ৩টায় আলমডাঙ্গা ফুটবল মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বনাম বণিক সমিতি। পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী ও উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষকগণ ও সূধিজন খেলায় অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মঞ্চে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমে আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে কবিতা আবৃতি, মাটি সাংষ্কৃতি গোষ্ঠি, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংসদ, বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশন, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংসদ অপরাংশ আলাদা আলাদাভাবে সংগীত পরিবেশন করে। এছাড়াও আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালি শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাউছার আহমেদ বাবলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, ইউপি সদস্য মনা, নিজাম উদ্দিন, তাসলিমা, আমিরুল ইসলাম প্রমূখ।
গতকাল মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা, সাংগঠনিক স¤পদাক আতিয়ার রহমান, আলম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মূছা, সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদা খাতুন, কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, আব্দুল গফ্ফার, জাহিদুল ইসলাম, সদর উদ্দিন ভোলা, সামসাদ রানু, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহমেদ ডনসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগের নেতাকর্র্র্মীরা। অন্যদিকে আলমডাঙ্গা কৃষকলীগের উদ্যোগে একটি বিশাল বিজয় র‌্যলি আলমডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আজিজুল হক, সহ-সভাপতি মানোয়ার হোসেন মহন, সাধারন সম্পাদক বজলুর রহমান প্রমূখ। অন্যদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপি’র সভাপতি আনিসুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ¦ মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, সিনিয়র সহসভাপতি দাউদ হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক চেয়ারম্যান আজিবার রহমান, বিএনপি নেতা হাসানুজ্জামান, আইনাল হক, নুরুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, মানোয়ার হোসেন, টিপু সুলতান, সোহেল হুদা, মসলেম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, হাফিজুর রহমান চমক, মামুন অর রশীদ, কামাল হোসেন, ফরহাদ হোসেন, বিল্লাল হোসেন, তমিজ উদ্দিন, রাজাবুল, ওহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালি শহর প্রদক্ষিন করে শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সামসুল আবেদীন খোকন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন, সাবেক কাউন্সিলর শাহীন রেজা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম রিফাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, জেলা যুবলীগের সদস্য সাদেকুর রহমান পলাশ, শাহীন টুকুল, বাবু, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, সাহাব উদ্দিন, বেলগাছী যুবলীগের আনোয়ার, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিজানুর রহমান মিজান, যুবলীগ নেতা সজীব, রনি, দিপক, টিক্কা, সুরুজসহ প্রায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আমাদের সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদরে সরোজগঞ্জ বাজারে সকল শিক্ষা পতিষ্ঠান হতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করেন। গতকাল শুক্রবার সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ জুয়েল রানার সভাপতিত্বে, সকাল ৯টার দিকে সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালেয় মহান বিজয় দিবস র‌্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মোঃ আজিজুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন মোঃ মজিবর রহমান, মোঃ আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান (মানিক) কুতুবপুর ইউ.পি। মোঃ আশিকুর রহমান, মোঃ নাসির উদ্দীন, মোঃ জিল¬ুর রহমান, সদস্য।  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, মোঃ আকবর আলী, মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার, মোঃ গোলজার হোসেন। এছাড়াও সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজ প্রতিষ্ঠাতা হাজী মোঃ আব্দুল¬াহ শেখের সভাপতিত্বে, ছাদেমাননেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু সালেহ এবং তেতুল শেখ কলেজ মহান বিজয় দিবস পালন করেন, ঐ বিজয়ের কেতন ওড়ে কাল বৈশাখী ঝড় তোরা সব জয়ের ধ্বনি কর, মহান বিজয় দিবস র‌্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, আবু তাহের বিশ্বাস পদ্মবিলা ইউ.পি। কলেজের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম কিবরিয়া প্রমূখ।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে দর্শনা সকল স্কুল, কলেজ, থিয়েটার ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবি, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনের নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় দর্শনা পৌরসভা কার্যালয় চত্ত্বর কলেজ মাঠ থেকে এক বর্নাঢ্য বিজয় র‌্যালী বের হয়। বিজয় র‌্যালীটি দর্শনা শহর প্রদক্ষিন শেষে দর্শনা কেরু চিনিকলের আনন্দ বাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধে নিজ নিজ দল, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এসব সংগঠনের মধ্যে ছিলো দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ, দর্শনা পৌর বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, জাতীয় পাটি, ওর্য়াকাস পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, দর্শনা পৌরসভা, কেরু চিনিকলের পক্ষে কর্মকর্তাবৃন্দ, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দর্শনা মেমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটার, অংকুর আর্দশ বিদ্যালয়, দর্শনা নান্দনিক, দর্শনা অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য সংগঠন, দর্শনা প্রেসক্লাব, দর্শনা সরকারী কলেজ, দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা, দর্শনা আস্থা সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান, দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক উপধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন। এছাড়া দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ছাত্রদল, যুবদলসহ দর্শনা পৌর এলাকার বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় র‌্যালীতে অংশ নেয়। র‌্যালী শেষে দর্শনা আনন্দ বাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে শপথ পাঠ করা হয়। শপথ পাঠ করান দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক উপধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন। এসময় শপথে অংশ সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফিুজুর রহমান মনজু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম আরশাদ হোসেন, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, দর্শনা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ, সহকার অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, ফজলুল হক, বদরুল আলম ফিট্টু, সমাজ সেবক আকমত আলী, অনির্বাণ থিয়েটারের সদস্য বৃন্দসহ অন্যান্য সংগঠনের সদস্য ও কর্মীবৃন্দ।  বিজয় র‌্যালী বের হওয়ার আগে সকাল সাড়ে ৬টায় দর্শনা পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠন নিজ নিজ কার্যালয়ে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়া দর্শনা কেরুজ ক্লাব মাঠে কুচকাওয়াজ পরিবেশিত হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে দর্শনা শহরের বিভিন্ন স্থানে খেলাধুলাসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আমাদের তিতুদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক শামীম তুহিনের উপস্থাপনায় ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান (নান্নু), বিশেষ অতিথির আসন অলংকার করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জাসদ সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সকাল ৭.৩০ মিনিটে কোরআন তেলওয়াত হয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলণ এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। সকাল ৮.৩০ মিনিটে সমাবেশ ও পথযাত্রা হয়। সকাল ৯টার সময় ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের স্মরণে সংগীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতা ও পরিচালনায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান রাজু।
বদরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এ মাস কাহারো বিদায়ের, কাহারো হৃদয়ের। কাহারো আনান্দের, কাহারো বেদনার। আনন্দ অশ্রু ব্যাথা আর প্রিয় আপনের যোগ বিয়োগটাই যেন স্বরণের। তাই বছর ফিরে ডিসেম্বর এলেই যেন প্রতিটি মানুষ চেতনাই জেগে উঠে একটি ইতিবৃত্ত ঘটনার পূর্বাপর উদ্দীপনা জানার শত কৌতুহল। এ নিয়ে গতকাল সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা সদরের বদরগঞ্জ বাজার এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। শুরুতেই সকাল সাড়ে ৮ টায় বদরগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি বাজার প্রদিক্ষন করে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে যেয়ে শেষ হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা। আলোচনা শেষে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। একই সময়ে আলিয়ারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় র‌্যালী বের করে। বেলা ৯টায় আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যঃ বিদ্যালয় র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি বাজার ঘুরে আবারো প্রতিষ্ঠানে যেয়ে শেষ হয়। মিষ্টি বিতরণ শেষে দোয়া করা হয়। এছাড়াও বেলা ১০টায় বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ র‌্যালী বের করে। র‌্যালীটি বাজার ঘুরে কলেজে যেয়ে শেষ হয়। শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনায় কলেজ ছাত্র/ছাত্রী ও বিভিন্ন আলোচক গন বিজয়ের গুরুত্বপূর্ন তুলে ধরে বক্তব্য দান করে। পরে মিষ্টি বিতরণ ও দোয়া শেষে আলোচনা সমাপ্ত করা হয়।
আমাদের দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর পালন করেছে। দিবসটি পালনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা ব্রিজ রোডে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেনের সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে বিজয় দিবসের তাৎপর্য্য তুলেধরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সেক্রেটারী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রহমান মালিথা, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, সেক্রেটারী লিপু, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অহিদুল ইসলাস, নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মেম্বার, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী সহিদ বিশ্বাস, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ: ওয়াহেদ, বিএনপি নেতা ওয়াহেদুজ্জামান, যুবদল নেতা শামসুজ্জোহা পলাশ, একরামুল মেম্বার, ছাত্রদল নেতা আরিফ, সবুজ, ইজাজুল, রানা প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান মিল্টন। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধো নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
কার্পাসডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসহ সরকারী বেসসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানে জাঁকজমকভাবে বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। জানা গেছে গত শক্রবার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ: লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে তপধ্বনি ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান রানা ও সানাউল কবির শিরিনের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল করে ছাত্রলীগ। সকালে কার্পাসডাঙ্গা ব্রীজমোড়ে ইউনিয়ন আ: লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন বিজয় মিছিল করে ইউনিয়ন আ: লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আ: লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্ট, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ:লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আলী তরফদার, সাধারন সম্পাদক নজীর আহমেদ, ১নং ওয়ার্ড আ: লীগের সভাপতি আ: কাদের বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক শ্রমিক নেতা শওকত আলী, ২নং ওয়ার্ড আ: লীগের সভাপতি এমএ জলিল, সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম মিন্টু, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আ: সালাম বিশ্বাস, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল সর্দ্দার, যুবলীগ নেতা জাহিদুর রহমান মুকুল, সাইফুল ইসলাম, মোস্তাফিজ কচি, শরীফ রতন, শরীফুজ্জামান শরীফ, বখতিয়ার খলজি বকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল বিশ্বাস মিঠু, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান রানা, সাধারন সম্পাদক সানাউল কবির শিরিনসহ ইউনিয়ন আ: লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সকল নেতৃবৃন্দ।
আমাদের জীবননগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জীবননগর ১৬ই ডিসেম্বার মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাসষ্ট্যান্ডের মুক্ত মঞ্চে এক সংগীতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে গতকাল শুক্রবার পৌরসভার উদ্দ্যোগে গোটা জীবননগর পৌরসভার শহরটা জাতীয় পতাকা দিয়ে বর্নীল সাজে সাজিয়ে রাখেন রাস্তার চারপাশে লাল সবুজের সমাহার এ জন এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়। সাথে সাথে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশাত্ববধক গানের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংগীতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর এমপি। অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান ছিলেন মাননীয় এমপি মহোদ্বয়ের সহধর্মীনী মাবিয়া আজগার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু.মো.আ. লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহী অপিসার নুরুল হাফিজ, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর, সমাজ সেবক কাজী বদরুদ্দৌজা অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু.মো .আ.লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজ, শিল্পকলার সাবেক ফুটবলার মোজাম্মেল হক, হাবিবুর রহমান, কাজী বাবলুর রহমান, নাজমুল প্রমূখ। উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন ও সোহেল।
আমাদের মেহেরপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় মেহেরপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ, আনছার, ভিডিপি, বিএনসিসি, রোভারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহন করে। এ সময় জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ ও পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে তারা শরীর চর্চা প্রদর্শন করেন। অনুষ্ঠান শেষে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ, পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উল্ল¬াহ, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হালিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবীর, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক খাইরুল হাসান, হেমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) শেখ ফরিদ আহামেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভ্রা দাস, এনডিসি রামানন্দপাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহাম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কে.এম আতাউল হাকিম লাল মিয়াসহ জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাগন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয়ী ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরষ্কার প্রদান করা হয়। ক গ্রুপের কুচকাওয়াজে ১ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গার্ল গাইডর্স, ২য় একই বিদ্যালয়ের গার্ল ইন স্কাইট, ৩য় সরকারী শিশু পরিবার, খ গ্রুপে ১ম জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ, ২য় ছহিউদ্দিন ব্রিলিয়ান্ট প্রি ক্যাডেট একাডেমী, ৩য় গ্লে¬ারিয়াস প্রি ক্যাডেট একাডেমী, শরীর চর্চায় ক গ্রুপে ১ম সরকারী শিশু পরিবার, ২য় ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন, ৩য় মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খ গ্রুপে ১ম ছহিউদ্দিন ব্রিলিয়ান্ট প্রিক্যাডেট একাডেমী, ২য় জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজ, ৩য় মেহেরপুর কিন্ডার গার্টেন।
অপরদিকে, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে সাবেক এমপি ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন-এর নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক বদরুদ্দিন বিশ্বাসসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শহীদ স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়। শোভাযাত্রা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাসুদ অরুন বলেন, আজকের অঙ্গিকার শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের, যারা সেই স্বপ্নকে কুক্ষিগত করে একদলীয় বাকশাল কায়েমের অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে।
বারাদী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর বীজ উৎপাদন খামার বিএডিসি‘র আয়োজনে একাত্তরের মহান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে বিজয় র‌্যালী ও শ্রদ্ধা নিবেদনের নিমিত্তে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। বারাদী খামারের কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিয়ে খামার প্রাঙ্গন থেকে একটি র‌্যালী বের করে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিজয় র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন খামারের উপ-পরিচালক মুজিবর রহমান খান, উপ-সহকারী পরিচালক বিএম মাহমুদ ও হুমায়ন কবির। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি আলতাব হোসেন, ফার্ম শ্রমিকলীগের সভাপতি আজগার আলী খোকন, আঃ রশিদ, ৫নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি জামিল  রাজু,  শামীম শাহাবদ্দীন ও ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রানা। অপর দিকে মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে।
আমাদের মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছে, গতকাল ১৬ই ডিসেম্বর সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যথাযথ মর্যাদার সহিত ৪৫তম মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়। ভোর ছয়টার দিকে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ৩১বার তোপধনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাতটার দিকে মুজিবনগর সৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।  পুষ্পমাল্য অর্পন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উদ্দীন এর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন। মুজিবনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলীল এর নেতৃত্বে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসেনের এর নেতৃত্বে মুজিবনগর থানা। এছাড়াও মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ, সৈনিকলীগ, সেচ্ছা সেবকলীগ, জাতীয়পাটি ও মুজিবনগর শিশু পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।পরে সকাল নয়টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেমায়েত উদ্দীন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলীল। এর পর শুরু হয় কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শন উপজেলা পরিষদ চত্বরে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনে অংশ নেন বীরমুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার ভিডিপি, বাংলাদেশ স্কাউট ও স্কুল কলেজেরর ও মাদ্রসার শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে দশটার সময় সকল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাড়ে ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে ক্রীড়া প্রতিযোগী  বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৫ তম মহান বিজয় দিবস পালিত বিজয় দিবসে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ

আপলোড টাইম : ১২:৩২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

সমীকরণ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৪৫তম বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় বীর শহীদদের স্মরণ করেছে জাতি। একই সঙ্গে মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল দেশজুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ। সরকারি-বেসরকারি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিনটি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪৫তম দিবসে গতকাল শুক্রবার বীর শহীদদের স্মরণে লাখো জনতার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সকাল থেকে হাতে লাল সবুজের পতাকা আর রঙ-বেরঙের ফুল নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন লাখো জনতা। সব বয়সের সাধারণ মানুষ তাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে স্মরণ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ জাতির সূর্য সন্তানদের। একই সঙ্গে শপথ নেন যুদ্ধাপরাধীমুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার।  ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (তেজগাঁও পুরানা বিমানবন্দর) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪৫তম বার্ষিকী উদযাপন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করে জাতি। ভোর সাড়ে ৬টায় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর সেনানিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় শহীদদের প্রতি সালাম জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দলের পক্ষে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আবারও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাদহসহ সারাদেশে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় এ দিবসটি পালন করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় নানা কর্মসূচির মধ্যে শহীদ হাসান চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে শহীদ হাসান চত্বরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং আলোকসজ্জা করা হয়। এছাড়া বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবন সমূহেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছে অনেকেই। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে পৌর এলাকার সকল সড়ক ও সড়কদ্বীপ সমুহে জাতীয় পতাকা ও রঙিন পতাকা দ্বারা সাজানো হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের ছিলো বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার-ভিডিপি, বয়েজস্কাউটস, গার্লসগাইড, শিশুপরিবার, মুকুলফৌজ, হলদে পাখি, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর পাইলট করপোরাল ও সার্জেন্ট গার্ড অব অনারের মাধ্যমে এবং জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন প্যারেড কমা-ার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই চৌকস প্রহরায় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করান। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক সকলের উদ্দেশ্যে দেশের মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে প্রাণবন্ত বক্তব্য শেষ করেন। বক্তব্য শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মনোজ্ঞ মার্চপাস্ট ও সালাম গ্রহণ। এরপর তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক অনুষ্ঠিত শরীরচর্চা প্রদর্শনী উপভোগ করেন। মার্চপাস্ট, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক সাইদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার আবু হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান। বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলার প্রাক্তন খেলোয়াড় বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশ, মুক্তিযোদ্ধা একাদশ বনাম সোনালি অতীত একাদশ এবং জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহিলাদের আলোচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আঞ্জুমান আরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা শিশু সদন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সকালে শিশু সদন, দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযোদ্ধা শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন মুহা.সিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাক, দামুড়হুদা সার্কেল এসপি কলিমুল্লাহ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক। এদিকে সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় র‌্যালীটি টাউন ফুটবল মাঠ থেকে বের হয়ে শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে এসে শেষ হয়। সকালে জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন জেলা, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামজিক, সংগঠন স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। জেলা আওয়ামীলীগ বিজয় র‌্যালী বের করে র‌্যালীটি দলীয় কার্যলয় থেকে বের হয়ে আবারও দলীয় ক্যার্যলয়ে এসে শেষ হয়। র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন জাতীয় সংসদের হুইপ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রথম প্রহরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা বিএনপির কার্যালয় হইতে বীর শহীদের স্মরণে জননেতা জনাব মুহা:অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের হয় উক্ত মিছিলটি সহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ করে। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আদর্শ সরকারী মহিলা কলেজে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আদর্শ সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ। বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহসিন কবির, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপধ্যক্ষ ড. মোহা: জাহাঙ্গীর আলম।  আলোচনাসভা শেষে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বন্ধন বন্ধুবর্গ একটি জমকালো প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলায় লাল-সবুজ দুইটি দল অংশগ্রহণ করে। টসে সবুজ দল ব্যাটিং এ সিদ্ধান্ত নেয়। নির্ধারিত ওভারে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করে নিধারিত ওভারে জয়লাভ করে লাল দল। খেলাটি পরিচালনা করেন সবুজ, রাজা, বাবু, আলাউদ্দিন, সোহেল ও নান্টু।
আমাদের শহর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দৈনিক সময়ের সমীকরণের পক্ষ থেকে সম্পাদক ও প্রকাশক শরীফুজ্জামান শরীফ এর নেতৃত্বে মহান বিজয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষে গতকাল সকাল ৭টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিকসহ পত্রিকার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ এর নেতৃত্বে মহান বিজয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটি সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, আহবায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহানারা পারভীন, পৌর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফাতুল্লা মহলদার, সাবেক পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী মাসুদ জোয়ার্দ্দার বাবু, কামরুজ্জামান বাবলু, সহ-সভাপতি খাইরুল ইসলাম, পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পিটু, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মহিলা দল নেত্রী ও পৌর কাউন্সিলর শেফালী খাতুন, দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন হাসান কাকন, বদর উদ্দিন বাদল, আবু রায়াহান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোকারম হোসেন, রেজাউল ইসলাম সৌদি, আনিসুর হক বিশু, শামিউল ওয়াহিদ শিমুল, বজলুর রহমান,আসাদুল হক বটুল, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, জেলা জাসাস সাধারণ সম্পাদক মো: সেলিমুল হাবিব সেলিম, সাবেক ছাত্র নেতা সুমন পারভেজ খান, তরুণ দলের আহবায়ক মাবুদ সরকার, যুবদল নেতা রুবেল হাসান, কাজল, মেহেবুব, তুহিন ইসলাম, সানোয়ার হোসেন, আব্দুস সালাম, জেলা ছাত্রদল নেতা আরিফ আহাম্মেদ শিপ্লব, পারভেজ মহলদার, রিন্টু মহলদার, সাহাবুদ্দিন।
ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গাতে ৪৫তম মহান বিজয় দিবস-২০১৬ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্িফল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল, সকাল ৮টার সময় ৪৫তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট্রিজ বোর্ডের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ সকল শিক্ষক কর্মচারী গণকে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গার উদ্দ্যোগে সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনসহ ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বংলাদেশ, চুয়াডাঙ্গার ট্রাস্টিজ বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান। এছাড়া বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে বিজয় দিবস সমন্ধে এক আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসার আব্দুল মোতালিব ট্রেজারার। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
১৬ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা সাথে বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা দিনব্যাপী বিস্তর কর্মসূচী গ্রহন করে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল, সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলোন, ‘মুক্তিযুদ্ধো ও শহীদ জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিজয় র‌্যালী সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়মে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের ১ম যুগ্ম আহবায়ক শামীম হাসান টুটুল। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক তানভীর হোসেন রাজিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক পরিস্থিতিতে জেলা বিএনপির পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সাবেক এবং বর্তমান ছাত্রদল নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক হামিদুল হক টুটুল, চুয়াডাঙ্গা  জেলা ছাত্রদলের সাবেক ক্রিয়া  সম্পাদক হামিদ উদ্দিন বাবু, চুয়াডঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ বাবুল, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেক উজ্জামান লিংকন, সাবেক ছাত্রনেতা  সামিউল আলম সানা, জেলা ছাত্রদরের আহবায়ক কমিটির সদস্য শামিম আহমেদ, সদর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ ছাত্রদল সভাপতি আশিকুল হক শিপুল, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান, জীবননগর উপজেলা ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিবুর রেজা কানন। জেলা ছাত্রদলের সদস্য সরোয়ার উদ্দিন, ইকরামুল হক, রহমত উল্লাহ খোকন, একলাসুর রহমান রাসেল, আমিনুল ইসলাম রশিদ, ফিরোজ হাসান মন্টু। আলোচনাসভা শেষে প্রেসক্লাব চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলি প্রদক্ষিণ করে সাহিত্য পরিষদ চত্ত্বরে শেষ হয়। উক্ত আলোচনা সভা ও বিজয় র‌্যালীতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সকল ইউনিটের সাবেক এবং বর্তমান ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। ভোর ৬টায় ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন। সূর্যদয়ের সাথে সাথে সরকারি বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মাজারে ও আলমডাঙ্গা বধ্যভূমির বেদিতে পূষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় গোবিন্দপুর শহীদ টগর ক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও তার একমাত্র ভাই খন্দকার জামসেদ নূরি বকুল শহীদ টগরের ছবি ও ফুল নিয়ে শহীদ মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদ টগরের ছবি টাঙিয়ে দেন। সকাল ৯টায় আলমডাঙ্গা উপজেলা চত্ত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান। সকাল ৯টা ১৫মিনিটে পুলিশ আনছার ও ভিডিপ, সিভিল ডিফেন্স, স্কাউটস, গার্লস গাইড ও স্কুল, মাদ্রাসা এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়। বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে বিজয় র‌্যালি প্রদর্শিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলহাজ¦ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডাঃ শাহাবুদ্দিন শাবু, এ্যাড. আব্দুর রশীদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, যুদ্ধকালীন গেরিলা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন কমান্ডার, শেখ নূর মোহাম্মদ জকু, সাবেক কমান্ডার আবুল কাশেম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিবর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শামিমুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম হাসিবুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ মাষ্টার, মঈন উদ্দিন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে মোট ১৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়। এরা হলেন শহীদ খন্দকার আশরাফ আলী আশু, শহীদ কিয়াম উদ্দিন, শহীদ জামসেদ নূরি টগর, শহীদ হাসান জামান, শহীদ আবু তালেব, শহীদ আব্দুল গনি, শহীদ আকবর হোসেন, শহীদ ফলেহার আলী, শহীদ হাবিবুর রহমান, শহীদ নজরুল ইসলাম, শহীদ মুরাদ হোসেন, শহীদ খন্দকার তালাত মাহমুদ, শহীদ শওরন আলম, শহীদ মোল্লা আবুল হোসেন নান্নু, শহীদ নজরুল ইসলাম, শহীদ হামিদার রহমান, বীর প্রতিক শহীদ নজরুল ইসলাম। এছাড়াও আলমডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর এলাকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বেলা ৩টায় পৌরসভা হলরুমে সংবর্ধনার আয়োজন করে। সংবর্ধনা অন্ষ্ঠুানে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। অতিথি ছিলেন ডাঃ শাহাব উদ্দিন, এ্যাড. আব্দুর রশীদ মোল্লা, আব্দুল হান্নান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, জামাল উদ্দিন কমান্ডার প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা ও পৌরসভায় মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নতমানের খাবর পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও দুপুর ২ঘটিকায় হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বাদ জুম্মা উপজেলার সকল মসজিদে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। বেলা সাড়ে ৩টায় আলমডাঙ্গা ফুটবল মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বনাম বণিক সমিতি। পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী ও উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষকগণ ও সূধিজন খেলায় অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মঞ্চে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমে আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে কবিতা আবৃতি, মাটি সাংষ্কৃতি গোষ্ঠি, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংসদ, বাউল সাধুগুরু ফাউন্ডেশন, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংসদ অপরাংশ আলাদা আলাদাভাবে সংগীত পরিবেশন করে। এছাড়াও আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালি শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাউছার আহমেদ বাবলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, ইউপি সদস্য মনা, নিজাম উদ্দিন, তাসলিমা, আমিরুল ইসলাম প্রমূখ।
গতকাল মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা, সাংগঠনিক স¤পদাক আতিয়ার রহমান, আলম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মূছা, সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদা খাতুন, কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, আব্দুল গফ্ফার, জাহিদুল ইসলাম, সদর উদ্দিন ভোলা, সামসাদ রানু, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহমেদ ডনসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগের নেতাকর্র্র্মীরা। অন্যদিকে আলমডাঙ্গা কৃষকলীগের উদ্যোগে একটি বিশাল বিজয় র‌্যলি আলমডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আজিজুল হক, সহ-সভাপতি মানোয়ার হোসেন মহন, সাধারন সম্পাদক বজলুর রহমান প্রমূখ। অন্যদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপি’র সভাপতি আনিসুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ¦ মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, সিনিয়র সহসভাপতি দাউদ হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক চেয়ারম্যান আজিবার রহমান, বিএনপি নেতা হাসানুজ্জামান, আইনাল হক, নুরুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, মানোয়ার হোসেন, টিপু সুলতান, সোহেল হুদা, মসলেম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, হাফিজুর রহমান চমক, মামুন অর রশীদ, কামাল হোসেন, ফরহাদ হোসেন, বিল্লাল হোসেন, তমিজ উদ্দিন, রাজাবুল, ওহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালি শহর প্রদক্ষিন করে শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সামসুল আবেদীন খোকন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন, সাবেক কাউন্সিলর শাহীন রেজা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম রিফাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, জেলা যুবলীগের সদস্য সাদেকুর রহমান পলাশ, শাহীন টুকুল, বাবু, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, সাহাব উদ্দিন, বেলগাছী যুবলীগের আনোয়ার, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিজানুর রহমান মিজান, যুবলীগ নেতা সজীব, রনি, দিপক, টিক্কা, সুরুজসহ প্রায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আমাদের সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদরে সরোজগঞ্জ বাজারে সকল শিক্ষা পতিষ্ঠান হতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করেন। গতকাল শুক্রবার সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ জুয়েল রানার সভাপতিত্বে, সকাল ৯টার দিকে সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালেয় মহান বিজয় দিবস র‌্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মোঃ আজিজুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন মোঃ মজিবর রহমান, মোঃ আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান (মানিক) কুতুবপুর ইউ.পি। মোঃ আশিকুর রহমান, মোঃ নাসির উদ্দীন, মোঃ জিল¬ুর রহমান, সদস্য।  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, মোঃ আকবর আলী, মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার, মোঃ গোলজার হোসেন। এছাড়াও সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজ প্রতিষ্ঠাতা হাজী মোঃ আব্দুল¬াহ শেখের সভাপতিত্বে, ছাদেমাননেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু সালেহ এবং তেতুল শেখ কলেজ মহান বিজয় দিবস পালন করেন, ঐ বিজয়ের কেতন ওড়ে কাল বৈশাখী ঝড় তোরা সব জয়ের ধ্বনি কর, মহান বিজয় দিবস র‌্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, আবু তাহের বিশ্বাস পদ্মবিলা ইউ.পি। কলেজের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম কিবরিয়া প্রমূখ।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে দর্শনা সকল স্কুল, কলেজ, থিয়েটার ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, পেশাজীবি, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনের নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় দর্শনা পৌরসভা কার্যালয় চত্ত্বর কলেজ মাঠ থেকে এক বর্নাঢ্য বিজয় র‌্যালী বের হয়। বিজয় র‌্যালীটি দর্শনা শহর প্রদক্ষিন শেষে দর্শনা কেরু চিনিকলের আনন্দ বাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধে নিজ নিজ দল, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। এসব সংগঠনের মধ্যে ছিলো দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগ, দর্শনা পৌর বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, জাতীয় পাটি, ওর্য়াকাস পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, দর্শনা পৌরসভা, কেরু চিনিকলের পক্ষে কর্মকর্তাবৃন্দ, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দর্শনা মেমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটার, অংকুর আর্দশ বিদ্যালয়, দর্শনা নান্দনিক, দর্শনা অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য সংগঠন, দর্শনা প্রেসক্লাব, দর্শনা সরকারী কলেজ, দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা, দর্শনা আস্থা সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান, দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক উপধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন। এছাড়া দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ছাত্রদল, যুবদলসহ দর্শনা পৌর এলাকার বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় র‌্যালীতে অংশ নেয়। র‌্যালী শেষে দর্শনা আনন্দ বাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে শপথ পাঠ করা হয়। শপথ পাঠ করান দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক উপধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন। এসময় শপথে অংশ সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফিুজুর রহমান মনজু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম আরশাদ হোসেন, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, দর্শনা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ, সহকার অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, ফজলুল হক, বদরুল আলম ফিট্টু, সমাজ সেবক আকমত আলী, অনির্বাণ থিয়েটারের সদস্য বৃন্দসহ অন্যান্য সংগঠনের সদস্য ও কর্মীবৃন্দ।  বিজয় র‌্যালী বের হওয়ার আগে সকাল সাড়ে ৬টায় দর্শনা পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠন নিজ নিজ কার্যালয়ে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়া দর্শনা কেরুজ ক্লাব মাঠে কুচকাওয়াজ পরিবেশিত হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে দর্শনা শহরের বিভিন্ন স্থানে খেলাধুলাসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আমাদের তিতুদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক শামীম তুহিনের উপস্থাপনায় ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান (নান্নু), বিশেষ অতিথির আসন অলংকার করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জাসদ সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সকাল ৭.৩০ মিনিটে কোরআন তেলওয়াত হয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলণ এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। সকাল ৮.৩০ মিনিটে সমাবেশ ও পথযাত্রা হয়। সকাল ৯টার সময় ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের স্মরণে সংগীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতা ও পরিচালনায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান রাজু।
বদরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এ মাস কাহারো বিদায়ের, কাহারো হৃদয়ের। কাহারো আনান্দের, কাহারো বেদনার। আনন্দ অশ্রু ব্যাথা আর প্রিয় আপনের যোগ বিয়োগটাই যেন স্বরণের। তাই বছর ফিরে ডিসেম্বর এলেই যেন প্রতিটি মানুষ চেতনাই জেগে উঠে একটি ইতিবৃত্ত ঘটনার পূর্বাপর উদ্দীপনা জানার শত কৌতুহল। এ নিয়ে গতকাল সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা সদরের বদরগঞ্জ বাজার এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। শুরুতেই সকাল সাড়ে ৮ টায় বদরগঞ্জ কামিল মাদ্রাসা র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি বাজার প্রদিক্ষন করে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে যেয়ে শেষ হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা। আলোচনা শেষে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। একই সময়ে আলিয়ারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় র‌্যালী বের করে। বেলা ৯টায় আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যঃ বিদ্যালয় র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি বাজার ঘুরে আবারো প্রতিষ্ঠানে যেয়ে শেষ হয়। মিষ্টি বিতরণ শেষে দোয়া করা হয়। এছাড়াও বেলা ১০টায় বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ র‌্যালী বের করে। র‌্যালীটি বাজার ঘুরে কলেজে যেয়ে শেষ হয়। শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনায় কলেজ ছাত্র/ছাত্রী ও বিভিন্ন আলোচক গন বিজয়ের গুরুত্বপূর্ন তুলে ধরে বক্তব্য দান করে। পরে মিষ্টি বিতরণ ও দোয়া শেষে আলোচনা সমাপ্ত করা হয়।
আমাদের দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর পালন করেছে। দিবসটি পালনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা ব্রিজ রোডে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেনের সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে বিজয় দিবসের তাৎপর্য্য তুলেধরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সেক্রেটারী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রহমান মালিথা, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, সেক্রেটারী লিপু, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অহিদুল ইসলাস, নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মেম্বার, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী সহিদ বিশ্বাস, কুড়ালগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ: ওয়াহেদ, বিএনপি নেতা ওয়াহেদুজ্জামান, যুবদল নেতা শামসুজ্জোহা পলাশ, একরামুল মেম্বার, ছাত্রদল নেতা আরিফ, সবুজ, ইজাজুল, রানা প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান মিল্টন। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধো নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
কার্পাসডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসহ সরকারী বেসসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানে জাঁকজমকভাবে বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। জানা গেছে গত শক্রবার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ: লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে তপধ্বনি ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান রানা ও সানাউল কবির শিরিনের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল করে ছাত্রলীগ। সকালে কার্পাসডাঙ্গা ব্রীজমোড়ে ইউনিয়ন আ: লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন বিজয় মিছিল করে ইউনিয়ন আ: লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আ: লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্ট, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ:লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আলী তরফদার, সাধারন সম্পাদক নজীর আহমেদ, ১নং ওয়ার্ড আ: লীগের সভাপতি আ: কাদের বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক শ্রমিক নেতা শওকত আলী, ২নং ওয়ার্ড আ: লীগের সভাপতি এমএ জলিল, সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম মিন্টু, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আ: সালাম বিশ্বাস, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল সর্দ্দার, যুবলীগ নেতা জাহিদুর রহমান মুকুল, সাইফুল ইসলাম, মোস্তাফিজ কচি, শরীফ রতন, শরীফুজ্জামান শরীফ, বখতিয়ার খলজি বকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল বিশ্বাস মিঠু, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান রানা, সাধারন সম্পাদক সানাউল কবির শিরিনসহ ইউনিয়ন আ: লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সকল নেতৃবৃন্দ।
আমাদের জীবননগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জীবননগর ১৬ই ডিসেম্বার মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাসষ্ট্যান্ডের মুক্ত মঞ্চে এক সংগীতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে গতকাল শুক্রবার পৌরসভার উদ্দ্যোগে গোটা জীবননগর পৌরসভার শহরটা জাতীয় পতাকা দিয়ে বর্নীল সাজে সাজিয়ে রাখেন রাস্তার চারপাশে লাল সবুজের সমাহার এ জন এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়। সাথে সাথে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশাত্ববধক গানের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংগীতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর এমপি। অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান ছিলেন মাননীয় এমপি মহোদ্বয়ের সহধর্মীনী মাবিয়া আজগার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু.মো.আ. লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহী অপিসার নুরুল হাফিজ, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর, সমাজ সেবক কাজী বদরুদ্দৌজা অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু.মো .আ.লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজ, শিল্পকলার সাবেক ফুটবলার মোজাম্মেল হক, হাবিবুর রহমান, কাজী বাবলুর রহমান, নাজমুল প্রমূখ। উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন ও সোহেল।
আমাদের মেহেরপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় মেহেরপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ, আনছার, ভিডিপি, বিএনসিসি, রোভারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহন করে। এ সময় জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ ও পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে তারা শরীর চর্চা প্রদর্শন করেন। অনুষ্ঠান শেষে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ, পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উল্ল¬াহ, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হালিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবীর, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক খাইরুল হাসান, হেমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) শেখ ফরিদ আহামেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভ্রা দাস, এনডিসি রামানন্দপাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহাম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কে.এম আতাউল হাকিম লাল মিয়াসহ জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাগন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয়ী ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরষ্কার প্রদান করা হয়। ক গ্রুপের কুচকাওয়াজে ১ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গার্ল গাইডর্স, ২য় একই বিদ্যালয়ের গার্ল ইন স্কাইট, ৩য় সরকারী শিশু পরিবার, খ গ্রুপে ১ম জিনিয়াস ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ, ২য় ছহিউদ্দিন ব্রিলিয়ান্ট প্রি ক্যাডেট একাডেমী, ৩য় গ্লে¬ারিয়াস প্রি ক্যাডেট একাডেমী, শরীর চর্চায় ক গ্রুপে ১ম সরকারী শিশু পরিবার, ২য় ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন, ৩য় মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খ গ্রুপে ১ম ছহিউদ্দিন ব্রিলিয়ান্ট প্রিক্যাডেট একাডেমী, ২য় জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজ, ৩য় মেহেরপুর কিন্ডার গার্টেন।
অপরদিকে, মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে সাবেক এমপি ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন-এর নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক বদরুদ্দিন বিশ্বাসসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শহীদ স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়। শোভাযাত্রা পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাসুদ অরুন বলেন, আজকের অঙ্গিকার শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের, যারা সেই স্বপ্নকে কুক্ষিগত করে একদলীয় বাকশাল কায়েমের অপচেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে।
বারাদী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর বীজ উৎপাদন খামার বিএডিসি‘র আয়োজনে একাত্তরের মহান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে বিজয় র‌্যালী ও শ্রদ্ধা নিবেদনের নিমিত্তে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। বারাদী খামারের কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিয়ে খামার প্রাঙ্গন থেকে একটি র‌্যালী বের করে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিজয় র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন খামারের উপ-পরিচালক মুজিবর রহমান খান, উপ-সহকারী পরিচালক বিএম মাহমুদ ও হুমায়ন কবির। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি আলতাব হোসেন, ফার্ম শ্রমিকলীগের সভাপতি আজগার আলী খোকন, আঃ রশিদ, ৫নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি জামিল  রাজু,  শামীম শাহাবদ্দীন ও ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রানা। অপর দিকে মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে।
আমাদের মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছে, গতকাল ১৬ই ডিসেম্বর সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যথাযথ মর্যাদার সহিত ৪৫তম মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়। ভোর ছয়টার দিকে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ৩১বার তোপধনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাতটার দিকে মুজিবনগর সৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।  পুষ্পমাল্য অর্পন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উদ্দীন এর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন। মুজিবনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলীল এর নেতৃত্বে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসেনের এর নেতৃত্বে মুজিবনগর থানা। এছাড়াও মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ, সৈনিকলীগ, সেচ্ছা সেবকলীগ, জাতীয়পাটি ও মুজিবনগর শিশু পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।পরে সকাল নয়টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেমায়েত উদ্দীন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলীল। এর পর শুরু হয় কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শন উপজেলা পরিষদ চত্বরে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনে অংশ নেন বীরমুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার ভিডিপি, বাংলাদেশ স্কাউট ও স্কুল কলেজেরর ও মাদ্রসার শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে দশটার সময় সকল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাড়ে ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে ক্রীড়া প্রতিযোগী  বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।