ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা মাছের আড়ৎপট্টিতে চেক জালিয়াতির ঘটনায় তুলকালাম কাণ্ড

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে

235tt

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা মাছের আড়ত পট্টিতে চেক জালিয়াতির ঘটনায় তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। দোকান মালিক সমিতির হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসার প্রক্রিয়াধিন বলে জানাগেছে। শহরের গোরস্থান পাড়ার মৃত ফরিদ উদ্দিনের ছেলে দরবেশ আলী দুই বছর আগে মাছ ব্যবসায়ী আব্দুস ছাত্তার বিশ্বাসের শিমুলের ছেলের কাছ থেকে ১লক্ষ ৮০হাজার টাকায় তার একটি ঘর ভাড়া নেন পাঁচ বছরের চুক্ততে। চুিক্তর কিছুদিন পরেই একই এলাকার ডিউক মিয়া দরবেশের কাছে শিমুলের ভাড়া দেওয়া দোকান গোপনে কেনার জন্য ৫লাখ টাকা দাম দেন এবং নগদ ২লাখ টাকা বায়না করেন। কিন্তু শিমুল মদের দোকানের ম্যানেজার ডিউককে বলেন আমি দোকান বিক্রি করবো কিন্তু দরবেশ পাচঁবছর চুক্তি অনুযায়ী থাকবে। ডিউক শর্ত মেনেই টাকা বায়না দেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই বাধে বিপত্তি ডিউক শর্ত না মেনে দরবেশকে ওই দোকান থেকে উচ্ছেদের জন্য উঠেপড়ে লাগেন বলে দরবেশ জানাই। দরবেশ দিশেহারা হয়ে অবশেষে মৎস ব্যবসায়ী সমিতির কাছে বিষয়টি জানান। মৎস ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা ডিউক মিয়া ও শিমুলকে সাথে নিয়ে অনেক সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তাকে জানান। কাউন্সিলর মুক্তার কাছে ডিউক মিয়া গত বৃহস্পতিবার শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকার একটি চেক দেন। চেক নিয়ে মৎস আড়ৎ সমিতির দুই জন সদস্য গত রবিবার টাকা তুলতে গেলে বাধে বিপওি। ব্যাংকার চেক ডিজ অনার করে এবং টাকা তুলতে যাওয়া দুইজনকে আটকে রাখে। উল্লেখ্য, ডিউক মিয়া চেক দেয়ার সময় মৎস আড়ৎ সমিতির সভাপতির কাছ থেকে চেক বুঝে পাওয়ার লিখিত নেন এবং লিখিত প্রমান তার কাছে রেখে পরবর্তীতে থানায় গিয়ে চেক হারিয়েছে মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার কারণে টাকা তুলতে যাওয়া দুইজন মৎস ব্যবসায়ীকে আটকে রাখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মৎস আড়ৎ সমিতির সদস্যরা ডিউক মিয়ার কাছে গেলে তিনি বলেন আমি আপনাদের সব টাকা পরিশোধ করেছি এই তার লিখিত প্রমান। আজ সকালে বিষয়টি নিয়ে দোকান মালিক সমিতি বসবে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা মাছের আড়ৎপট্টিতে চেক জালিয়াতির ঘটনায় তুলকালাম কাণ্ড

আপলোড টাইম : ০১:০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

235tt

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা মাছের আড়ত পট্টিতে চেক জালিয়াতির ঘটনায় তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। দোকান মালিক সমিতির হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসার প্রক্রিয়াধিন বলে জানাগেছে। শহরের গোরস্থান পাড়ার মৃত ফরিদ উদ্দিনের ছেলে দরবেশ আলী দুই বছর আগে মাছ ব্যবসায়ী আব্দুস ছাত্তার বিশ্বাসের শিমুলের ছেলের কাছ থেকে ১লক্ষ ৮০হাজার টাকায় তার একটি ঘর ভাড়া নেন পাঁচ বছরের চুক্ততে। চুিক্তর কিছুদিন পরেই একই এলাকার ডিউক মিয়া দরবেশের কাছে শিমুলের ভাড়া দেওয়া দোকান গোপনে কেনার জন্য ৫লাখ টাকা দাম দেন এবং নগদ ২লাখ টাকা বায়না করেন। কিন্তু শিমুল মদের দোকানের ম্যানেজার ডিউককে বলেন আমি দোকান বিক্রি করবো কিন্তু দরবেশ পাচঁবছর চুক্তি অনুযায়ী থাকবে। ডিউক শর্ত মেনেই টাকা বায়না দেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই বাধে বিপত্তি ডিউক শর্ত না মেনে দরবেশকে ওই দোকান থেকে উচ্ছেদের জন্য উঠেপড়ে লাগেন বলে দরবেশ জানাই। দরবেশ দিশেহারা হয়ে অবশেষে মৎস ব্যবসায়ী সমিতির কাছে বিষয়টি জানান। মৎস ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা ডিউক মিয়া ও শিমুলকে সাথে নিয়ে অনেক সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তাকে জানান। কাউন্সিলর মুক্তার কাছে ডিউক মিয়া গত বৃহস্পতিবার শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকার একটি চেক দেন। চেক নিয়ে মৎস আড়ৎ সমিতির দুই জন সদস্য গত রবিবার টাকা তুলতে গেলে বাধে বিপওি। ব্যাংকার চেক ডিজ অনার করে এবং টাকা তুলতে যাওয়া দুইজনকে আটকে রাখে। উল্লেখ্য, ডিউক মিয়া চেক দেয়ার সময় মৎস আড়ৎ সমিতির সভাপতির কাছ থেকে চেক বুঝে পাওয়ার লিখিত নেন এবং লিখিত প্রমান তার কাছে রেখে পরবর্তীতে থানায় গিয়ে চেক হারিয়েছে মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার কারণে টাকা তুলতে যাওয়া দুইজন মৎস ব্যবসায়ীকে আটকে রাখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মৎস আড়ৎ সমিতির সদস্যরা ডিউক মিয়ার কাছে গেলে তিনি বলেন আমি আপনাদের সব টাকা পরিশোধ করেছি এই তার লিখিত প্রমান। আজ সকালে বিষয়টি নিয়ে দোকান মালিক সমিতি বসবে বলে জানা গেছে।