চুয়াডাঙ্গা ভি.জে স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক শরীফ উদ্দীন বিশ্বাসের ইন্তেকাল অকাল মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ
- আপলোড টাইম : ০১:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৬
- / ৯৭২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শরীফ উদ্দীন বিশ্বাস আর নেই। তিনি গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০:২০ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না……..রাজিউন)। তিনি দামুড়হুদা থানাধীন ফকিরপাড়ার মৃত বজলুর রহমান বিশ্বাস ও হাফেজা খাতুনের জেষ্ঠ পুত্র। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র সন্তান এক কন্যা সন্তান ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জানা গেছে, তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। শরীফ উদ্দীন বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ বেতারের একজন নিয়মিত সংগীত শিল্পী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত দু’বছর পূর্বে শিক্ষকতার চাকুরি থেকে অবসর গ্রহন করেন। তাঁর অসংখ্য গুণীবলীর মধ্যে তার প্রিয় ছিল সংগীত। তাই ব্যস্ত সময়ের মাঝেই সংগীতের জন্য সময় ব্যয় করতেন। এমনকি তিনি বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারের একজন নিয়মিত শিল্পী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উচ্চাঙ্গ সংগীত বিভাগের প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সকলেই তার নজরুল সংগীতের সুরেলা কন্ঠ ও সংগীতের ভক্ত ছিল। তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত— হয়ে একমাস আগেও তিনি ঢাকা মাল্টিমিডিয়া হাসাপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত ৩দিন আগে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে আমাদের সকলকে শোকাহত করে না ফেরার দেশে চলে যান। রেখে গেলেন তার দেওয়া সুশিক্ষা সকলের প্রতি তার উপদেশ এবং অনেক অনেক ভালবাসা। সকলে মুগ্ধ ছিলেন তাঁর অসংখ্য গুণাবলীতে। তাঁর সর্বশেষ ফেসবুকে লেখা হাসপাতালের বেডে বসে গত ১৯শে অক্টোবর। জীবন সায়হ্নে উপস্থিত চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে বসে আছি। মৃত্যুর সাথে আমার দুরুত্ব বেশি দূর নেই। আমি যদি কখনও কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন। আমার জন্য আল¬াহর কাছে দোয়া করবেন। সবচেয়ে কাঙ্গাল হবে আমার ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী, নিজের অবস্থান জানান। তিনি মারা যাওয়ার পর লাশ গ্রামের পৈত্রিক বাড়ি চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা থানার ফকিরপাড়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল বাদ আসর ফকিরপাড়া ঈদগাহ মাঠে নামাজের জানাযা শেষে ফকিরপাড়া কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। তার অকাল মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।