ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা এখন সারাদেশের মডেল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৫৮৪ বার পড়া হয়েছে

সকল পৌরসভাকে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে প্রকল্প তদারকির পরামর্শ
বিশেষ প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ সরকার, এডিবি ও ওএফআইডি’র সহায়তাপুষ্ট তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর), (ইউজিআইআইপি-৩) প্রকল্পের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ তদারকিতে পৌরসভা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিয়োজিত রয়েছে। এরপরেও ঠিকাদাররা সুযোগ পেলে কারচুপির আশ্রয় নেয়। ফলে টেকসই উন্নয়নে বড় সমস্যা থেকেই যায়। ঠিকাদারদের দুর্নীতি, অনিয়ম ও কারচুপি ঠেকাতে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্প এলাকায় সিসিটিভি বা গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়। এরপর থেকে কোন অনিয়ম হলেই তা মেয়রের চোখে পড়ে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। এ নিয়ে দৈনিক সময়ের সমীকরণসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা নজরে পড়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সকল পৌরসভাকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্প তদারকির পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক এ.কে.এম. রেজাউল ইসলাম।
এ সংক্রান্ত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন শেষে পৌরসভাকেই তা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ঠিকাদার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসব কাজ পৌরসভাকে সঠিকভাবে তদারকি করা এবং বুঝে নেয়া দরকার।
চিঠিতে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়, প্রকল্পের বাস্তবায়নাধীন কাজ তদারকির ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ‘ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা’ (সিসি ক্যামেরা) স্থাপন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আধুনিক এবং কার্যকরী এই পদক্ষেপ উন্নয়নমূলক কাজ তদারকির ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পের বাস্তবায়নাধীন কাজের গুনগত মান বজায় রাখার স্বার্থে অধিকতর তদারকি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বিধায় পৌরসভা তা অনুসরণ করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন সময় বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কারচুপি করে থাকে। উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে তাদেরকে ১০ শতাংশ লাভ দেয়ার পরেও দেখা যায় তারা নি¤œ মানের কাঁচামাল ও ভেজাল পণ্য ব্যবহার করে। কিছুদিন আগেও একটি সাইটে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বিটুমিন গলানোর ফলে তিন ড্রাম বিটুমিন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। পরে তা বাতিল করে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বিটুমিন গলিয়ে পাথরের মিশ্রণ তদারকি করি। সবসময় সাইটগুলোতে থাকতে না পারায় আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ সমস্ত অবৈধ কাজ করা হয়। এ কারণে প্রকল্প এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এরমাধ্যমে সার্বক্ষণিক প্রকল্পের কাজ ও ব্যবহৃত মালামালের উপর নজর রাখা সম্ভব হয়। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার এ উদ্যোগ এখন সারাদেশের সকল পৌরসভার জন্য অনুসরণীয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা এখন সারাদেশের মডেল

আপলোড টাইম : ১১:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

সকল পৌরসভাকে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে প্রকল্প তদারকির পরামর্শ
বিশেষ প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ সরকার, এডিবি ও ওএফআইডি’র সহায়তাপুষ্ট তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর), (ইউজিআইআইপি-৩) প্রকল্পের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ তদারকিতে পৌরসভা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিয়োজিত রয়েছে। এরপরেও ঠিকাদাররা সুযোগ পেলে কারচুপির আশ্রয় নেয়। ফলে টেকসই উন্নয়নে বড় সমস্যা থেকেই যায়। ঠিকাদারদের দুর্নীতি, অনিয়ম ও কারচুপি ঠেকাতে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্প এলাকায় সিসিটিভি বা গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়। এরপর থেকে কোন অনিয়ম হলেই তা মেয়রের চোখে পড়ে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। এ নিয়ে দৈনিক সময়ের সমীকরণসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা নজরে পড়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সকল পৌরসভাকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্প তদারকির পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক এ.কে.এম. রেজাউল ইসলাম।
এ সংক্রান্ত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন শেষে পৌরসভাকেই তা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ঠিকাদার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসব কাজ পৌরসভাকে সঠিকভাবে তদারকি করা এবং বুঝে নেয়া দরকার।
চিঠিতে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়, প্রকল্পের বাস্তবায়নাধীন কাজ তদারকির ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ‘ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা’ (সিসি ক্যামেরা) স্থাপন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আধুনিক এবং কার্যকরী এই পদক্ষেপ উন্নয়নমূলক কাজ তদারকির ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পের বাস্তবায়নাধীন কাজের গুনগত মান বজায় রাখার স্বার্থে অধিকতর তদারকি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বিধায় পৌরসভা তা অনুসরণ করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন সময় বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কারচুপি করে থাকে। উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে তাদেরকে ১০ শতাংশ লাভ দেয়ার পরেও দেখা যায় তারা নি¤œ মানের কাঁচামাল ও ভেজাল পণ্য ব্যবহার করে। কিছুদিন আগেও একটি সাইটে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বিটুমিন গলানোর ফলে তিন ড্রাম বিটুমিন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। পরে তা বাতিল করে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বিটুমিন গলিয়ে পাথরের মিশ্রণ তদারকি করি। সবসময় সাইটগুলোতে থাকতে না পারায় আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ সমস্ত অবৈধ কাজ করা হয়। এ কারণে প্রকল্প এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এরমাধ্যমে সার্বক্ষণিক প্রকল্পের কাজ ও ব্যবহৃত মালামালের উপর নজর রাখা সম্ভব হয়। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার এ উদ্যোগ এখন সারাদেশের সকল পৌরসভার জন্য অনুসরণীয়।’