ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা ডিসি করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানালেন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০
  • / ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নভেল করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর সরকারি ফেসবুক একাউন্টে (উপ ঈযঁধফধহমধ) একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে তিনি কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের হাঁচি, কাশির শিষ্টাচার মেনে চলাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
প্রিয় জেলাবাসী, আসসালামু আলাইকুম। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ঝুঁকির কথা এতো দিনে আমরা সবাই জেনে গিয়েছি। করোনাভাইরাস মূলত বাতাসে ধরৎ ফৎড়ঢ়ষবঃ-এর মাধ্যমে হাঁচি ও কাশির ফলে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে, ভাইরাস আছে এমন কিছুকে স্পর্শ করে হাত না ধুয়ে চোখে, মুখে, নাকে হাত দিলে ছড়িয়ে পড়ে। এর লক্ষণসমূহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং আমাদের প্রচারিত লিফলেটের মাধ্যমে সবার কাছে পরিচিত। আজকে মূলত এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলতে চাই, যেমন জনসাধারণের ভিড় থেকে দূরে থাকা, হ্যান্ডশেক করা থেকে বিরত থাকা, প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করা এবং কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা। ভীতি ও আতঙ্ক নয়, আমরা যদি সবাই সচেতন হয়ে নিজেদেরকে সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারি, তাহলে আমরা সবাই নিরাপদে থাকব। এজন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে। সংক্রমণ এড়াতে ইতালি, চীন, ইরানসহ বিদেশ থেকে যারা সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন, তারা অবশ্যই স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। তাদের স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারিতে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। উক্ত ১৪ দিনে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি নিজ বাড়ির নির্ধারিত কক্ষে অবস্থান করবেন এবং পরিবারের সদস্যদের থেকেও কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখবেন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ থেকে বিরত থাকবেন। হাঁচি এবং কাশির শিষ্টাচার মেনে চলবেন, প্রয়োজন অনুযায়ী সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলবেন। আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে শারীরিক সমস্যার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করবেন। এতে আপনি আপনার পরিবার ও আপনার আশেপাশের সবাই তথা পুরো দেশ করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকবে। বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। কেউ যদি এই নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী তাদের জেল-জরিমানা উভয় দণ্ড হতে পারে। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আপনার ব্যক্তিগত সচেতনতা ও স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করে দেশকে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিমুক্ত রাখবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা ডিসি করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানালেন

আপলোড টাইম : ১০:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নভেল করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর সরকারি ফেসবুক একাউন্টে (উপ ঈযঁধফধহমধ) একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে তিনি কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের হাঁচি, কাশির শিষ্টাচার মেনে চলাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
প্রিয় জেলাবাসী, আসসালামু আলাইকুম। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ঝুঁকির কথা এতো দিনে আমরা সবাই জেনে গিয়েছি। করোনাভাইরাস মূলত বাতাসে ধরৎ ফৎড়ঢ়ষবঃ-এর মাধ্যমে হাঁচি ও কাশির ফলে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে, ভাইরাস আছে এমন কিছুকে স্পর্শ করে হাত না ধুয়ে চোখে, মুখে, নাকে হাত দিলে ছড়িয়ে পড়ে। এর লক্ষণসমূহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং আমাদের প্রচারিত লিফলেটের মাধ্যমে সবার কাছে পরিচিত। আজকে মূলত এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলতে চাই, যেমন জনসাধারণের ভিড় থেকে দূরে থাকা, হ্যান্ডশেক করা থেকে বিরত থাকা, প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করা এবং কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা। ভীতি ও আতঙ্ক নয়, আমরা যদি সবাই সচেতন হয়ে নিজেদেরকে সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারি, তাহলে আমরা সবাই নিরাপদে থাকব। এজন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে। সংক্রমণ এড়াতে ইতালি, চীন, ইরানসহ বিদেশ থেকে যারা সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন, তারা অবশ্যই স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। তাদের স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারিতে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। উক্ত ১৪ দিনে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি নিজ বাড়ির নির্ধারিত কক্ষে অবস্থান করবেন এবং পরিবারের সদস্যদের থেকেও কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখবেন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ থেকে বিরত থাকবেন। হাঁচি এবং কাশির শিষ্টাচার মেনে চলবেন, প্রয়োজন অনুযায়ী সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলবেন। আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে শারীরিক সমস্যার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করবেন। এতে আপনি আপনার পরিবার ও আপনার আশেপাশের সবাই তথা পুরো দেশ করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকবে। বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। কেউ যদি এই নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী তাদের জেল-জরিমানা উভয় দণ্ড হতে পারে। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আপনার ব্যক্তিগত সচেতনতা ও স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করে দেশকে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিমুক্ত রাখবেন।