ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মাওলা মসজিদের ইমাম হাফেজ হারুন বরখাস্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ২২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মাওলা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ হারুন অর রশিদকে এক সপ্তাহের জন্য বরখাস্ত করেছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান ও জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হারুন অর রশিদ চুয়াডাঙ্গা সদরের ডিঙ্গেদহ তেলপাম্প এলাকার হাফিজ উদ্দীনের ছেলে।
জানা যায়, জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান ও জামে মসজিদের সামনে মাহাবুব ম্যানশন নামের একটি বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় দুটি দোকান ভাড়া নিয়ে ‘মুসলিম সুপার সপ’ নামে একটি দোকান গত রমজান মাস থেকে দোকান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদরের দীননাথপুরের মোজাফ্ফর নামের এক ব্যক্তি। এরপর থেকে দোকানের মালিক মোজাফ্ফর বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকাও ধার নেন। গত তিন মাস আগেও জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান ও জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হারুন অর রশিদের কাছ থেকে ‘মুসলিম সুপার সপ’ এর তিন লাখ টাকা ধার নেন। এই তিন লাখ টাকার জন্য মোজাফ্ফর প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে হাফেজ মাওলানা হারুন অর রশিদকে দেবেন বলেও চুক্তি হয় বলে জানা গেছে। টাকা ধার নেওয়ার পরে প্রথম মাসের সুদ হিসেবে ১০ হাজার টাকাও মোজাফ্ফর মাওলানা হারুন অর রশিদকে দেন বলে জানা গেছে। এরপর আরও দুই মাস পেরিয়ে গেলে ‘মুসলিম সুপার সপ’ এর মালিক মোজাফ্ফর মাওলানা হারুন অর রশিদকে মাসিক চুক্তি অনুযায়ী ১০ হাজার টাকাও দেননি। এমনকি সুদের ওপর ধার দেওয়া ৩ লাখ টাকাও ফেরত দেননি। এদিকে টাকা ফেরত না পেয়ে, মোজাফফরের কাছ থেকে টাকা আদায়ে হাফেজ হারুন অর রশিদ বিভিন্ন মানুষের সহায়তা নিতে প্রকাশ হয়ে যায় তিনি সুদের ওপর টাকা ছেড়েছেন। আর এতেই বাধে যত বিপত্তি। গতকাল জুমার নামাজের পর হাফেজ হারুন অর রশিদকে সুদ খাওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করে মসজিদ কমিটি। এর আগে শিশু বলাৎকার, পর্দার বিষয়ে ওল্টা-পাল্টা বক্তব্যসহ ইত্যাদি নানা অভিযোগে সমালোচিত ছিলেন হাফেজ হারুন অর রশিদ বলে চুয়াডাঙ্গা শহরের আরামপাড়ার অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মাওলা মসজিদের ইমাম হাফেজ হারুন বরখাস্ত

আপলোড টাইম : ১০:৩১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মাওলা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ হারুন অর রশিদকে এক সপ্তাহের জন্য বরখাস্ত করেছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান ও জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হারুন অর রশিদ চুয়াডাঙ্গা সদরের ডিঙ্গেদহ তেলপাম্প এলাকার হাফিজ উদ্দীনের ছেলে।
জানা যায়, জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান ও জামে মসজিদের সামনে মাহাবুব ম্যানশন নামের একটি বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় দুটি দোকান ভাড়া নিয়ে ‘মুসলিম সুপার সপ’ নামে একটি দোকান গত রমজান মাস থেকে দোকান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদরের দীননাথপুরের মোজাফ্ফর নামের এক ব্যক্তি। এরপর থেকে দোকানের মালিক মোজাফ্ফর বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকাও ধার নেন। গত তিন মাস আগেও জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান ও জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হারুন অর রশিদের কাছ থেকে ‘মুসলিম সুপার সপ’ এর তিন লাখ টাকা ধার নেন। এই তিন লাখ টাকার জন্য মোজাফ্ফর প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে হাফেজ মাওলানা হারুন অর রশিদকে দেবেন বলেও চুক্তি হয় বলে জানা গেছে। টাকা ধার নেওয়ার পরে প্রথম মাসের সুদ হিসেবে ১০ হাজার টাকাও মোজাফ্ফর মাওলানা হারুন অর রশিদকে দেন বলে জানা গেছে। এরপর আরও দুই মাস পেরিয়ে গেলে ‘মুসলিম সুপার সপ’ এর মালিক মোজাফ্ফর মাওলানা হারুন অর রশিদকে মাসিক চুক্তি অনুযায়ী ১০ হাজার টাকাও দেননি। এমনকি সুদের ওপর ধার দেওয়া ৩ লাখ টাকাও ফেরত দেননি। এদিকে টাকা ফেরত না পেয়ে, মোজাফফরের কাছ থেকে টাকা আদায়ে হাফেজ হারুন অর রশিদ বিভিন্ন মানুষের সহায়তা নিতে প্রকাশ হয়ে যায় তিনি সুদের ওপর টাকা ছেড়েছেন। আর এতেই বাধে যত বিপত্তি। গতকাল জুমার নামাজের পর হাফেজ হারুন অর রশিদকে সুদ খাওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করে মসজিদ কমিটি। এর আগে শিশু বলাৎকার, পর্দার বিষয়ে ওল্টা-পাল্টা বক্তব্যসহ ইত্যাদি নানা অভিযোগে সমালোচিত ছিলেন হাফেজ হারুন অর রশিদ বলে চুয়াডাঙ্গা শহরের আরামপাড়ার অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান।