ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা কুলাচারার পক্ষাঘাত আক্রান্ত চন্দ্রদাসের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ : রেফার্ড

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে

ল্যাম্পের আলোয় ভাত খেতে গিয়ে পুড়লো বৃদ্ধের শরীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা কুলাচারা গ্রামে শ্রী কুমার চন্দ্রদাস নামের এক প্যারালাইসিস (পক্ষাঘাত) রোগী আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ল্যাম্পের আগুন জ্বেলে ভাত খাওয়ার সময় অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। প্যারালাইসিস রোগী হওয়ায় তিনি শরীরের আগুন নেভাতে পারেন নি। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, বৃদ্ধ চন্দ্রদাসের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক।
জানা গেছে, কুলচারা গ্রামের স্কুলপাড়ার স্বর্গীয় নন্দলাল দাসের ছেলে শ্রী কুমার চন্দ্রদাস (৬৫) দীর্ঘ চার বছর যাবত প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় বিছানাগত। গতকাল রাতে বিদ্যুত না থাকায় ল্যাম্পের আগুন জালিয়ে একাই কোনরকমে শুয়ে-বসে ভাত খাচ্ছিলেন। হঠাত অসাবধানতাবশত ল্যাম্পের আগুন তার গায়ের জামায় লেগে যায়। এসময় তিনি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে তার গোঙরানির শব্দ শুনে তার স্ত্রী দিপালী রাণী দাস বাইরে থেকে ঘরে ছুটে আসে। পরে তিনি অনেক চেষ্টা করে আগুন নেভান। অবশ্য ততক্ষনে বৃদ্ধ চন্দ্রদাসের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, রোগির শরীরের অর্ধেকের বেশী অংশ পুড়ে গেছে। তার বুকে দগ্ধ হয়েছে বেশী। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা কুলাচারার পক্ষাঘাত আক্রান্ত চন্দ্রদাসের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ : রেফার্ড

আপলোড টাইম : ১১:১৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭

ল্যাম্পের আলোয় ভাত খেতে গিয়ে পুড়লো বৃদ্ধের শরীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা কুলাচারা গ্রামে শ্রী কুমার চন্দ্রদাস নামের এক প্যারালাইসিস (পক্ষাঘাত) রোগী আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ল্যাম্পের আগুন জ্বেলে ভাত খাওয়ার সময় অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। প্যারালাইসিস রোগী হওয়ায় তিনি শরীরের আগুন নেভাতে পারেন নি। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, বৃদ্ধ চন্দ্রদাসের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক।
জানা গেছে, কুলচারা গ্রামের স্কুলপাড়ার স্বর্গীয় নন্দলাল দাসের ছেলে শ্রী কুমার চন্দ্রদাস (৬৫) দীর্ঘ চার বছর যাবত প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় বিছানাগত। গতকাল রাতে বিদ্যুত না থাকায় ল্যাম্পের আগুন জালিয়ে একাই কোনরকমে শুয়ে-বসে ভাত খাচ্ছিলেন। হঠাত অসাবধানতাবশত ল্যাম্পের আগুন তার গায়ের জামায় লেগে যায়। এসময় তিনি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে তার গোঙরানির শব্দ শুনে তার স্ত্রী দিপালী রাণী দাস বাইরে থেকে ঘরে ছুটে আসে। পরে তিনি অনেক চেষ্টা করে আগুন নেভান। অবশ্য ততক্ষনে বৃদ্ধ চন্দ্রদাসের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, রোগির শরীরের অর্ধেকের বেশী অংশ পুড়ে গেছে। তার বুকে দগ্ধ হয়েছে বেশী। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।