ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা উইমেন সার্পোট সেন্টারের সফলতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
  • / ২১১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকে, কর্মের গুনে অমর হয় মানুষ। চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ইতিমধ্যে তাঁর নিজ কর্মগুণে জেলাবাসীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ প্রদানসহ বেশ কিছু ভালো কাজ করে নিজ কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থিত উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের শেষ পর্যায় থেকে ফিরিয়ে এনে সুখের সংসার উপহার দিলেন এক দম্পতির।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের বাক্কার ছেলে আব্দুল করিমের সঙ্গে ৫ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের মহাসিন আলীর মেয়ে মিলা খাতুনের (২৪)। সংসার জীবন এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত ৪ বছর যাবত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরই মধ্যে তাঁদের সংসারে আলোকিত করে জন্ম নেয় ফুটফুটে পুত্র সন্তান মশি উর রহমান জীবন (৩)। সংসারের বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌছায় যে স্বামী স্ত্রী উভয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁদের ডির্ভোস যখন চুড়ান্ত পর্যায়ে তখন মিলা খাতুনের মা শিল্পী খাতুন নাতি ছেলে জীবনের ভবিষ্যৎ জীবনের বিষয়টি চিন্তা করে সংসারটি জোড়া লাগানোর জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানান।
আবেদন পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে অবস্থিত ও তাঁরই উদ্বোাধনকৃত উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের এ কর্মরত নারী এএসআই বিভা রানীকে দিয়ে উভয়পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পরে তিনি নিজে মধ্যস্থতা করে আব্দুল করিম ও মিলা খাতুনকে তাঁদের মধ্যেকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান করান। সেই সঙ্গে একসঙ্গে সংসার করাতে রাজি করেন। পুলিশ সুপারের এমন মহৎ উদ্যোগের মাধ্যমে অবুঝ শিশু জীবন ভবিষ্যৎ অন্ধকার জীবনের হাত থেকে রক্ষা পেল। একটি পরিবার ফিরে পেল সুখের সংসার

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা উইমেন সার্পোট সেন্টারের সফলতা

আপলোড টাইম : ১০:২৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকে, কর্মের গুনে অমর হয় মানুষ। চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ইতিমধ্যে তাঁর নিজ কর্মগুণে জেলাবাসীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ প্রদানসহ বেশ কিছু ভালো কাজ করে নিজ কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থিত উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের শেষ পর্যায় থেকে ফিরিয়ে এনে সুখের সংসার উপহার দিলেন এক দম্পতির।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের বাক্কার ছেলে আব্দুল করিমের সঙ্গে ৫ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় একই উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের মহাসিন আলীর মেয়ে মিলা খাতুনের (২৪)। সংসার জীবন এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত ৪ বছর যাবত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরই মধ্যে তাঁদের সংসারে আলোকিত করে জন্ম নেয় ফুটফুটে পুত্র সন্তান মশি উর রহমান জীবন (৩)। সংসারের বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌছায় যে স্বামী স্ত্রী উভয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁদের ডির্ভোস যখন চুড়ান্ত পর্যায়ে তখন মিলা খাতুনের মা শিল্পী খাতুন নাতি ছেলে জীবনের ভবিষ্যৎ জীবনের বিষয়টি চিন্তা করে সংসারটি জোড়া লাগানোর জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানান।
আবেদন পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে অবস্থিত ও তাঁরই উদ্বোাধনকৃত উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের এ কর্মরত নারী এএসআই বিভা রানীকে দিয়ে উভয়পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পরে তিনি নিজে মধ্যস্থতা করে আব্দুল করিম ও মিলা খাতুনকে তাঁদের মধ্যেকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান করান। সেই সঙ্গে একসঙ্গে সংসার করাতে রাজি করেন। পুলিশ সুপারের এমন মহৎ উদ্যোগের মাধ্যমে অবুঝ শিশু জীবন ভবিষ্যৎ অন্ধকার জীবনের হাত থেকে রক্ষা পেল। একটি পরিবার ফিরে পেল সুখের সংসার