ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার মামলাসহ জরিমানা আদায় ২০ লাখ টাকা : আটক-৪৫

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে

নানা কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে মেহেরপুরসহ সারাদেশে শেষ হলো বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ
ডেস্ক রিপোর্ট: “ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করুন” স্লোগানে শুরু হওয়া দেশব্যাপি ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ হয়েছে। ট্রাফিক সপ্তাহর শেষদিনে গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় ২৪৭টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও ৩টি মোটরসাইকেল আটক এবং মেহেরপুরে ১০২ জন চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, নানা কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে গতকাল শেষ হলো দেশব্যাপী চলা ট্রাফিক সপ্তাহ’র ১০ম দিন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে সরকার বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ’র ঘোষণা করেন। দেশব্যাপী চলা এই ট্রাফিক সপ্তাহ’র ফলাফল ভালো পাওয়াতে এক পর্যায়ে এর মেয়াদ আরো তিনদিন বাড়িয়ে ১০দিন করা হয়। চলতি মাসের ৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই ট্রাফিক সপ্তাহ গতকাল ১৪ আগস্ট মঙ্গলবার শেষ হয়। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গাতে ২ হাজারের উপরে মামলাসহ জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও আটক করা হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর ৪৫টি যানবাহন। আটককৃত এসকল যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের পরিমানই বেশি বলে জানায় ট্রাফিক পুলিশ অফিস।ট্রাফিক সপ্তাহর শেষ দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে শহরের শহীদ হাসান চত্তরসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অভিযান চালিয়ে ২৪৭টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এছাড়াও কয়েক হাজার জরিমানা আদায়সহ আটক করেছে ৩টি মোটরসাইকেল। গতকালও এ অভিযানে সহায়তা করেন জেলা স্কাউটের সদস্যরা।জানা যায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে সরাদেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে সরকার বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ’র ঘোষণা করে। ফলাফল ভালো পাওয়াতে এর মেয়াদ তিনদিন বাড়িয়ে ১০দিন করা হয়। এই দশদিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ এ জেলার মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন সমন্ধে সচেতন করতে নানামুখি কর্মকান্ডও পরিচালনা করেছে। কম দামে চালকদের কাছে হেলমেট বিক্রি করা থেকে শুরু করে গাড়িসহ চালকের কাগজপাতি ঠিকঠাক থাকায় তাদেরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এছাড়াও শহরের মোড়ে মোড়ে মাইকিং করা হয়েছে ট্রাফিক আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে। সর্বসধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে চালক ও যাত্রীদের করণীয় বিষয়ে।

এদিকে, গতকাল শেষ হওয়া এ ট্রাফিক সপ্তাহের কার্যক্রম নিয়ে এ জেলার সচেতন মহল চুয়ডাঙ্গা জেলাসহ ট্রাফিক পুলিশকে সাধুবাদ জনিয়েছে। তারা বলছে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থকলে সড়কে চলা নৈরাজ্য অনেকটা স্বাভাবিক হবে। তাছাড়া বন্ধ হবে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা। বন্ধ হবে চালকদের নিয়মনীতি না মানার প্রবণতা। বন্ধ হবে উঠতি যুবকদের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো। এসময় তারা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, দেখার বিষয় এই ১০দিন চুয়াডাঙ্গা পুলিশের যে ভূমিকা দেখলাম তা কতদিন স্বাভাবিক থাকে।
এবিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আহসান হাবিব জানান, উপর থেকে নির্দেশ ছিলো, কাউকে যেন কোন ছাড় দেয়া না হয়। কোনো তদবির চলবে না। কোন অনিয়ম থাকলে কিংবা গাড়ির কনো কাগজপত্র না থাকলে মোটরযান আইন অনুযায়ী মামলা দিতে হবে। এছাড়াও লাইসেন্স, গাড়ির কাগজসহ ফিটনেস, হেলমেট না পড়া এসব দিকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছে আমরা। ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ হলেও আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলতে থাকবে। তবে এই ট্রাফিক সপ্তাহের মধ্যে এ জেলার মানুষ অনেকটা সচেতন হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, “মেহেরপুরে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করুন”- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ হলো। জেলা ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ দিনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে পরিচালনা করে ১০২টি চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৯৯টি মোটরসাইকেল, ১টি ট্রাক, ১টি মাইক্রোবাস ও ১টি পিকআপ ভ্যানের চালকের নামে মামলা এবং ৫টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। ট্রাফিক সপ্তাহে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ইন্স্যুরেন্স না থাকাই এসকল মামলা দেওয়া হয়। ট্রাফিক পুলিশের টি.আই-১ ইসমাইল হোসেন জানান, সড়ক দূর্ঘটনা হ্রাস এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য সরকারের মূল উদ্দেশ্য। ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের মামলা দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনামূলক ও দুর্ঘটনারোধে সতর্ক করতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ট্রাফিক সপ্তাহে গাড়ির চালক ও হেলপারদের নিয়ে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন সরকার। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পথচারী, যানবাহন চালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইন মেনে চলতে ও সচেতন থাকার অনুরোধ জানান তিনি। এসময় ট্রাফিক পুলিশের ট্রাফিক পুলিশের টি.আই-২ মুসতবা, টি.আই-৩ মনির হোসেন, সার্জেন্ট নাজমুল হাসান, টিপু সুলতান, এটিএসআই মামুনসহ বিভিন্ন কলেজের রোভার সদস্যরা এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার মামলাসহ জরিমানা আদায় ২০ লাখ টাকা : আটক-৪৫

আপলোড টাইম : ০৯:২৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৮

নানা কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে মেহেরপুরসহ সারাদেশে শেষ হলো বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ
ডেস্ক রিপোর্ট: “ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করুন” স্লোগানে শুরু হওয়া দেশব্যাপি ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ হয়েছে। ট্রাফিক সপ্তাহর শেষদিনে গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় ২৪৭টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও ৩টি মোটরসাইকেল আটক এবং মেহেরপুরে ১০২ জন চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, নানা কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে গতকাল শেষ হলো দেশব্যাপী চলা ট্রাফিক সপ্তাহ’র ১০ম দিন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে সরকার বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ’র ঘোষণা করেন। দেশব্যাপী চলা এই ট্রাফিক সপ্তাহ’র ফলাফল ভালো পাওয়াতে এক পর্যায়ে এর মেয়াদ আরো তিনদিন বাড়িয়ে ১০দিন করা হয়। চলতি মাসের ৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই ট্রাফিক সপ্তাহ গতকাল ১৪ আগস্ট মঙ্গলবার শেষ হয়। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গাতে ২ হাজারের উপরে মামলাসহ জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও আটক করা হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর ৪৫টি যানবাহন। আটককৃত এসকল যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের পরিমানই বেশি বলে জানায় ট্রাফিক পুলিশ অফিস।ট্রাফিক সপ্তাহর শেষ দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে শহরের শহীদ হাসান চত্তরসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অভিযান চালিয়ে ২৪৭টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এছাড়াও কয়েক হাজার জরিমানা আদায়সহ আটক করেছে ৩টি মোটরসাইকেল। গতকালও এ অভিযানে সহায়তা করেন জেলা স্কাউটের সদস্যরা।জানা যায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে সরাদেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে সরকার বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ’র ঘোষণা করে। ফলাফল ভালো পাওয়াতে এর মেয়াদ তিনদিন বাড়িয়ে ১০দিন করা হয়। এই দশদিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ এ জেলার মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন সমন্ধে সচেতন করতে নানামুখি কর্মকান্ডও পরিচালনা করেছে। কম দামে চালকদের কাছে হেলমেট বিক্রি করা থেকে শুরু করে গাড়িসহ চালকের কাগজপাতি ঠিকঠাক থাকায় তাদেরকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এছাড়াও শহরের মোড়ে মোড়ে মাইকিং করা হয়েছে ট্রাফিক আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে। সর্বসধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে চালক ও যাত্রীদের করণীয় বিষয়ে।

এদিকে, গতকাল শেষ হওয়া এ ট্রাফিক সপ্তাহের কার্যক্রম নিয়ে এ জেলার সচেতন মহল চুয়ডাঙ্গা জেলাসহ ট্রাফিক পুলিশকে সাধুবাদ জনিয়েছে। তারা বলছে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থকলে সড়কে চলা নৈরাজ্য অনেকটা স্বাভাবিক হবে। তাছাড়া বন্ধ হবে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা। বন্ধ হবে চালকদের নিয়মনীতি না মানার প্রবণতা। বন্ধ হবে উঠতি যুবকদের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো। এসময় তারা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, দেখার বিষয় এই ১০দিন চুয়াডাঙ্গা পুলিশের যে ভূমিকা দেখলাম তা কতদিন স্বাভাবিক থাকে।
এবিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আহসান হাবিব জানান, উপর থেকে নির্দেশ ছিলো, কাউকে যেন কোন ছাড় দেয়া না হয়। কোনো তদবির চলবে না। কোন অনিয়ম থাকলে কিংবা গাড়ির কনো কাগজপত্র না থাকলে মোটরযান আইন অনুযায়ী মামলা দিতে হবে। এছাড়াও লাইসেন্স, গাড়ির কাগজসহ ফিটনেস, হেলমেট না পড়া এসব দিকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছে আমরা। ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ হলেও আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলতে থাকবে। তবে এই ট্রাফিক সপ্তাহের মধ্যে এ জেলার মানুষ অনেকটা সচেতন হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, “মেহেরপুরে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করুন”- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ হলো। জেলা ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ দিনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে পরিচালনা করে ১০২টি চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৯৯টি মোটরসাইকেল, ১টি ট্রাক, ১টি মাইক্রোবাস ও ১টি পিকআপ ভ্যানের চালকের নামে মামলা এবং ৫টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। ট্রাফিক সপ্তাহে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ইন্স্যুরেন্স না থাকাই এসকল মামলা দেওয়া হয়। ট্রাফিক পুলিশের টি.আই-১ ইসমাইল হোসেন জানান, সড়ক দূর্ঘটনা হ্রাস এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য সরকারের মূল উদ্দেশ্য। ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের মামলা দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনামূলক ও দুর্ঘটনারোধে সতর্ক করতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ট্রাফিক সপ্তাহে গাড়ির চালক ও হেলপারদের নিয়ে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন সরকার। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পথচারী, যানবাহন চালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইন মেনে চলতে ও সচেতন থাকার অনুরোধ জানান তিনি। এসময় ট্রাফিক পুলিশের ট্রাফিক পুলিশের টি.আই-২ মুসতবা, টি.আই-৩ মনির হোসেন, সার্জেন্ট নাজমুল হাসান, টিপু সুলতান, এটিএসআই মামুনসহ বিভিন্ন কলেজের রোভার সদস্যরা এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।