ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে মেয়র প্রার্থী টোটন জোয়ার্দ্দারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবন মিলনায়তনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন হেলা। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন (পিপি) এবং সাহিত্য পরিষদের সভাপতি হামিদুল হক মুন্সীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা পরিষদের সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহিদুল ইসলাম শাহানের উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, লিটু বিশ্বাস, আব্দুস সালাম সৈকত, নজির আহম্মেদ, জহির রায়হান, জাহাঙ্গীর আলম মান্নান, বসির আহম্মেদ হিটু, কাজল মাহমুদ, সাহেদুজ্জামান খোকন, আনছার আলী, মনোয়ারা খুশি ও লায়লা শিরিন।
এসময় সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, শহর বাউল একাডেমী, চুয়াডাঙ্গা আবৃত্তি পর্ষদ, চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ, অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠণ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, সঙ্গীত শিল্পী কল্যাণ পরিষদ, প্রগতি লেখক সংঘ, সরগম সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠী এবং রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময়সভায় বক্তারা বলেন, টোটন জোয়ার্দ্দারের সময় পৌরসভায় গেলে কোনো সময় আমরা খালি হাতে ফিরিনি। অথচ, বিগত পাঁচ বছরে সাংস্কৃতিক অঙ্গন অবহেলিত হয়েছে। মনে হয়েছে আমরা অভিভাবক শুন্য।
মেয়র প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মীরা যখন যেভাবে আমার কাছে এসেছে কেউ খালি হাতে ফেরেননি। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়ানোর এবং দাঁড়িয়েছি। ১৯৭১ সালে সাংস্কৃতিক কর্মীরা যেভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছিলেন, তেমনিভাবেই আসছে নির্বাচনে আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন। আমি আমার পরিষদকে কোনো সময়ই দলীয় পরিষদ মনে করিনি। আমি মনে করতাম এটা আমার পরিবার। ওই সময় কাউন্সিলর রেজাউল হক রেজা মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে আমি ১ লাখ টাকা দিয়ে এবং তার ছেলের পড়াশুনার জন্য আমার সম্মানীর টাকা থেকে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা করে দিয়েছি। তার লেখাপড়া শেষ করিয়েছি। অথচ, তিনি বিএনপি সমর্থীত কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়া, কাউন্সিলর নাজমুস সালেহীন লিটনকে চিকিৎসার জন্য অনেক বার ভারতে পাঠিয়েছিলাম। তার মৃত্যুর পর তার বাড়ি দেখা করতে গেলে একজন মুরুব্বী বলেন, টোটন আপনি মেয়র থাকলে লিটন এত তাড়াতাড়ি মরতো না। তিনিও বিএনপি সমর্থীত কাউন্সিলর ছিলেন। আমার থেকে বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন কোনো প্রার্থী থাকলে আমি আপনাদের সাথে নিয়ে তাকে মেয়র বানানোর চেষ্টা করবো। আমাকে যোগ্য মনে করলে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ভোট দিলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে মনোরম ও সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে মেয়র প্রার্থী টোটন জোয়ার্দ্দারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ০৯:১৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবন মিলনায়তনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন হেলা। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন (পিপি) এবং সাহিত্য পরিষদের সভাপতি হামিদুল হক মুন্সীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা পরিষদের সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহিদুল ইসলাম শাহানের উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, লিটু বিশ্বাস, আব্দুস সালাম সৈকত, নজির আহম্মেদ, জহির রায়হান, জাহাঙ্গীর আলম মান্নান, বসির আহম্মেদ হিটু, কাজল মাহমুদ, সাহেদুজ্জামান খোকন, আনছার আলী, মনোয়ারা খুশি ও লায়লা শিরিন।
এসময় সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, শহর বাউল একাডেমী, চুয়াডাঙ্গা আবৃত্তি পর্ষদ, চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ, অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠণ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, সঙ্গীত শিল্পী কল্যাণ পরিষদ, প্রগতি লেখক সংঘ, সরগম সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠী এবং রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময়সভায় বক্তারা বলেন, টোটন জোয়ার্দ্দারের সময় পৌরসভায় গেলে কোনো সময় আমরা খালি হাতে ফিরিনি। অথচ, বিগত পাঁচ বছরে সাংস্কৃতিক অঙ্গন অবহেলিত হয়েছে। মনে হয়েছে আমরা অভিভাবক শুন্য।
মেয়র প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মীরা যখন যেভাবে আমার কাছে এসেছে কেউ খালি হাতে ফেরেননি। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাঁড়ানোর এবং দাঁড়িয়েছি। ১৯৭১ সালে সাংস্কৃতিক কর্মীরা যেভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছিলেন, তেমনিভাবেই আসছে নির্বাচনে আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন। আমি আমার পরিষদকে কোনো সময়ই দলীয় পরিষদ মনে করিনি। আমি মনে করতাম এটা আমার পরিবার। ওই সময় কাউন্সিলর রেজাউল হক রেজা মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে আমি ১ লাখ টাকা দিয়ে এবং তার ছেলের পড়াশুনার জন্য আমার সম্মানীর টাকা থেকে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা করে দিয়েছি। তার লেখাপড়া শেষ করিয়েছি। অথচ, তিনি বিএনপি সমর্থীত কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়া, কাউন্সিলর নাজমুস সালেহীন লিটনকে চিকিৎসার জন্য অনেক বার ভারতে পাঠিয়েছিলাম। তার মৃত্যুর পর তার বাড়ি দেখা করতে গেলে একজন মুরুব্বী বলেন, টোটন আপনি মেয়র থাকলে লিটন এত তাড়াতাড়ি মরতো না। তিনিও বিএনপি সমর্থীত কাউন্সিলর ছিলেন। আমার থেকে বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন কোনো প্রার্থী থাকলে আমি আপনাদের সাথে নিয়ে তাকে মেয়র বানানোর চেষ্টা করবো। আমাকে যোগ্য মনে করলে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ভোট দিলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে মনোরম ও সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।