ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ বন্ধ ঘোষণা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০
  • / ২০১ বার পড়া হয়েছে

করোনা আতঙ্কে বাজারগুলোতে বেড়েছে বেঁচা-কেনা, অনেকেই চাহিদার তুলনায় কিনছেন বেশি পণ্য

বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ রয়েছে -ডিসি নজরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা আতঙ্কে চুয়াডাঙ্গার পোশাক মার্কেটে জনগণের ভিড় কম থাকলেও চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে ক্রেতার ভিড়। ফুসকা হাউজ, ফাস্টফুডের দোকান প্রায় বন্ধ, শহরে ধীরে ধীরে কমছে সাধারণ মানুষের চলাচল। এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সব প্রকার সভা-সমাবেশ, সেমিনার, মিটিং-মিছিল, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গণজমায়েতের আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। এছাড়াও, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সব প্রকার কমিউনিটি সেন্টার, পার্টি সেন্টার ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার জন্যও বলা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার নিত্যপণ্য নিয়ে আতঙ্কিত না হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, করোনা আতঙ্কে চুয়াডাঙ্গার বাজারগুলোতে বেঁচা-কেনা হচ্ছে ঈদের চেয়েও বেশি। এতে করে বাজারগুলোতে রয়েছে প্রচণ্ড ভিড়। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য ও মুদি দোকানগুলোতে বেশি ভিড় রয়েছে। এ সুযোগে চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ অনেক পণ্যের দামও কিছুটা বেড়ে গেছে। দাম-দরের দিকে খেয়াল না করে ইচ্ছা মতো কেনা-কাটা করছেন সবাই।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্যের মজুদ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে ক্রেতা হিসেবে স্বাভাবিক ক্রয় করলে কোনো ধরনের সঙ্কট তৈরি হবে না। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। কাল (আজ) সকাল থেকে মনিটরিং আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। আমরা বাজারে মাইকিং করেছি। আলমডাঙ্গায় বেশি মূল্য রাখায় দুজনকে জরিমানা করা হয়েছে। কেউ যদি পণ্যের দাম বাঁড়াই আমরা ভোক্তা অধিকার আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
আতঙ্কের কারণে অনেকেই চাহিদার তুলনায় বাজার বেশি করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এটা একটি মারাত্মক অন্যায়। আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি, যাতে এ রকম কেউ না করে। একটা সাধারণ বিষয় বুঝতে হবে, যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে বাজার করে কী হবে? মানুষের এটা বোঝা দরকার। এটা অন্যায়। আমরা মনিটরিং করছি এবং কাল (আজ) থেকে আরও বেশি মনিটর করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ বন্ধ ঘোষণা

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০

করোনা আতঙ্কে বাজারগুলোতে বেড়েছে বেঁচা-কেনা, অনেকেই চাহিদার তুলনায় কিনছেন বেশি পণ্য

বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ রয়েছে -ডিসি নজরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা আতঙ্কে চুয়াডাঙ্গার পোশাক মার্কেটে জনগণের ভিড় কম থাকলেও চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে ক্রেতার ভিড়। ফুসকা হাউজ, ফাস্টফুডের দোকান প্রায় বন্ধ, শহরে ধীরে ধীরে কমছে সাধারণ মানুষের চলাচল। এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সব প্রকার সভা-সমাবেশ, সেমিনার, মিটিং-মিছিল, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গণজমায়েতের আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। এছাড়াও, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সব প্রকার কমিউনিটি সেন্টার, পার্টি সেন্টার ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার জন্যও বলা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার নিত্যপণ্য নিয়ে আতঙ্কিত না হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, করোনা আতঙ্কে চুয়াডাঙ্গার বাজারগুলোতে বেঁচা-কেনা হচ্ছে ঈদের চেয়েও বেশি। এতে করে বাজারগুলোতে রয়েছে প্রচণ্ড ভিড়। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য ও মুদি দোকানগুলোতে বেশি ভিড় রয়েছে। এ সুযোগে চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ অনেক পণ্যের দামও কিছুটা বেড়ে গেছে। দাম-দরের দিকে খেয়াল না করে ইচ্ছা মতো কেনা-কাটা করছেন সবাই।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্যের মজুদ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে ক্রেতা হিসেবে স্বাভাবিক ক্রয় করলে কোনো ধরনের সঙ্কট তৈরি হবে না। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। কাল (আজ) সকাল থেকে মনিটরিং আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। আমরা বাজারে মাইকিং করেছি। আলমডাঙ্গায় বেশি মূল্য রাখায় দুজনকে জরিমানা করা হয়েছে। কেউ যদি পণ্যের দাম বাঁড়াই আমরা ভোক্তা অধিকার আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
আতঙ্কের কারণে অনেকেই চাহিদার তুলনায় বাজার বেশি করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এটা একটি মারাত্মক অন্যায়। আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি, যাতে এ রকম কেউ না করে। একটা সাধারণ বিষয় বুঝতে হবে, যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে বাজার করে কী হবে? মানুষের এটা বোঝা দরকার। এটা অন্যায়। আমরা মনিটরিং করছি এবং কাল (আজ) থেকে আরও বেশি মনিটর করা হবে।’