ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় শাশুড়ীর ওপর অভিমানে গৃহবধূর আত্মহত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, তিতুদহ:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহে শাশুড়ীর ওপর অভিমান করে শারমিন খাতুন (২৭) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তিতুদহ ইউনিয়নের ৬৩ আড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শারমিন ৬৩ আড়িয়া গ্রামের কাজলের স্ত্রী ও কিরনগাছি গ্রামের শাহ্ আলমের মেয়ে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারমিনের ছেলে জুনায়েদ (৯) পাশের বাড়ির অন্য এক ছেলের সঙ্গে খেলার সময় মারামারি করে। এর জের ধরে শাশুড়ী মাছুরা বেগমের সঙ্গে শারমিনের বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এ সময় শাশুড়ীর ওপর অভিমান করে শারমিন নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মাছুরা বেগম দরজার কছে যেয়ে শারমিনকে ডাকাডাকি করে। শারমিনের কোনো সাড়া না পেয়ে দরজার পাশ থেকে ভেতরে তাকালে শারমিনকে ঝুলন্ত অবস্তায় দেখতে পেয়ে চিৎকার-চেচামেচি করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে শারমিনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে কিরণগাছি গ্রামের শাহ্ আলমের মেয়ে শারমিনের সঙ্গে কাজলের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে কোনো বনিবনা হয়নি শারমিনের। বিভিন্ন সময় শারমিনকে কটু কথা শোনাতো তাঁর শাশুড়ী। এ কারণেই শারমিন আত্মহত্যা করেছে।
তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আলামত সংগ্রহ করেছি। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে, গতকাল বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে শারমিনের মৃতদেহ বিকেল ৫টার দিকে স্বামীর বাড়ি ৬৩ আড়িয়াতে পৌঁছায়। গতকালই রাত সাতটার দিকে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে শারমিনের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় শাশুড়ীর ওপর অভিমানে গৃহবধূর আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ০৯:৫২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০

প্রতিবেদক, তিতুদহ:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহে শাশুড়ীর ওপর অভিমান করে শারমিন খাতুন (২৭) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তিতুদহ ইউনিয়নের ৬৩ আড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শারমিন ৬৩ আড়িয়া গ্রামের কাজলের স্ত্রী ও কিরনগাছি গ্রামের শাহ্ আলমের মেয়ে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারমিনের ছেলে জুনায়েদ (৯) পাশের বাড়ির অন্য এক ছেলের সঙ্গে খেলার সময় মারামারি করে। এর জের ধরে শাশুড়ী মাছুরা বেগমের সঙ্গে শারমিনের বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এ সময় শাশুড়ীর ওপর অভিমান করে শারমিন নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মাছুরা বেগম দরজার কছে যেয়ে শারমিনকে ডাকাডাকি করে। শারমিনের কোনো সাড়া না পেয়ে দরজার পাশ থেকে ভেতরে তাকালে শারমিনকে ঝুলন্ত অবস্তায় দেখতে পেয়ে চিৎকার-চেচামেচি করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে শারমিনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে কিরণগাছি গ্রামের শাহ্ আলমের মেয়ে শারমিনের সঙ্গে কাজলের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে কোনো বনিবনা হয়নি শারমিনের। বিভিন্ন সময় শারমিনকে কটু কথা শোনাতো তাঁর শাশুড়ী। এ কারণেই শারমিন আত্মহত্যা করেছে।
তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আলামত সংগ্রহ করেছি। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে, গতকাল বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে শারমিনের মৃতদেহ বিকেল ৫টার দিকে স্বামীর বাড়ি ৬৩ আড়িয়াতে পৌঁছায়। গতকালই রাত সাতটার দিকে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে শারমিনের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।